যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ ককটেল বিস্ফোরণে এক বোন নিহত, আহত অন্য ২ ভাইবোন
Published: 19th, May 2025 GMT
যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ ককটেল বিস্ফোরণে খাদিজা খাতুন (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে তার দুই সহোদর সজিব হোসেন (৬) ও আয়েশা খাতুন (৩)। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের শংকরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ও আহত শিশুরা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার শাহাদৎ হোসেনের সন্তান।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুরা শহরের ছোটনের মোড়ের পাশে একটি মাঠে খেলা করছিল। খেলার সময় খাদিজা বলের মতো দেখতে একটি বস্তু (ককটেল) কুড়িয়ে পায়। সেটিকে বাসায় নিয়ে এসে অন্য দুই ভাই-বোনের সঙ্গে খেলা করার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর তিন শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খাদিজাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে সে মারা যায়। আহত বাকি দুজনের মধ্যে সজিব যশোর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আর আয়েশাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠানো হয়।
শিশুদের মা সুমি খাতুন বলেন, ককটেলটি তাদের ছেলে সজিব বাইরে কুড়িয়ে পায়।
যশোর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত সমকালকে জানান, কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে তিনজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওসি বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে- ককটেলটি আসলে ঘরে ছিল, না বাইরে থেকে শিশুরা নিয়ে এসেছে। ঘটনার পরপরই যশোরের পুলিশ ও সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: যশ র ন হত আহত ককট ল
এছাড়াও পড়ুন:
নগদের লেনদেন চালু আছে, ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা
মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের হিসাব ব্যাংকগুলোতে যাদের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়, তা পরিবর্তন করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি ব্যাংকগুলো নগদের হিসাব থেকে অর্থ লেনদেন করতে পারবে না। তবে নগদের নিয়মিত লেনদেন চলবে। নগদ পরিচালনায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা জারি করেছে।
গ্রাহকের জমা করা অর্থ যাতে কোনোভাবে তছরুপের শিকার নয়, সে জন্য এই নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, নগদ অতিরিক্ত ৬৫০ কোটি টাকা ই-মানি তৈরি করে জালিয়াতি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া কারও টাকা তৈরির ক্ষমতা নেই। তারা শুধু জমা করা টাকার সমপরিমাণ ই-টাকা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি তারা সরকারি ভাতার ২ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষাতেও এটা উঠে এসেছে। সে জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গভর্নর বলেন, ‘আদালতের কারণে আমাদের প্রশাসক দল কাজ করতে পারছে না। আমরা আপিল করেছি, আশা করি ন্যায়বিচার পাব। এই সময় নগদ অনেক কিছু করে ফেলতে পারে। নথিপত্র নষ্ট করে বা প্রমাণ মুছে ফেলতে পারে। তবে গ্রাহকের অর্থের যেন ক্ষতি না হয়, সে জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নগদ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো টাকা স্থানান্তর করতে পারবে না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার নগদে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার পর নিরীক্ষায় উঠে আসে, নগদ লিমিটেডে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করেছে। এসব কারণে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না। সাবেক সরকারের আমলে নিয়মের বাইরে গিয়ে গ্রাহক বানানো, সরকারি ভাতা বিতরণসহ একচেটিয়া সুবিধা পায় নগদ। প্রতিষ্ঠানটিতে যখন এসব অনিয়ম হয়, তখন এর পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নগদ পরিচালনায় প্রশাসক দলের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক আপিল করেছে।