যশোরে ‘কুড়িয়ে পাওয়া’ ককটেল বিস্ফোরণে খাদিজা খাতুন (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে তার দুই সহোদর সজিব হোসেন (৬) ও আয়েশা খাতুন (৩)। সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের শংকরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ও আহত শিশুরা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার শাহাদৎ হোসেনের সন্তান।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিশুরা শহরের ছোটনের মোড়ের পাশে একটি মাঠে খেলা করছিল। খেলার সময় খাদিজা বলের মতো দেখতে একটি বস্তু (ককটেল) কুড়িয়ে পায়। সেটিকে বাসায় নিয়ে এসে অন্য দুই ভাই-বোনের সঙ্গে খেলা করার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর তিন শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে খাদিজাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১২টার দিকে সে মারা যায়। আহত বাকি দুজনের মধ্যে সজিব যশোর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আর আয়েশাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠানো হয়।

শিশুদের মা সুমি খাতুন বলেন, ককটেলটি তাদের ছেলে সজিব বাইরে কুড়িয়ে পায়।

যশোর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত সমকালকে জানান, কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণে তিনজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

ওসি বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে- ককটেলটি আসলে ঘরে ছিল, না বাইরে থেকে শিশুরা নিয়ে এসেছে। ঘটনার পরপরই যশোরের পুলিশ ও সেনাবাহিনী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র ন হত আহত ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার, আটক ২ 

কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের কবল থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৮ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী। এ সময় আটক করা হয় দুইজনকে। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনে নৌকাডুবি, নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

আরো পড়ুন: টেকনাফে যৌথ অভিযানে নারী-শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার

তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে ১৮ জন নারী, ১২ জন পুরুষ ও আটজন শিশুসহ মোট ৩৮ জনকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন: টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী-শিশুসহ উদ্ধার ৮

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, পাচারকারীরা মুক্তিপণ আদায় এবং বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের বন্দি রেখে নির্যাতন করছিল। উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের এবং আটককৃত পাচারকারীদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ