মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এক্লাম্পসিয়া। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। এ রোগ প্রতিরোধে সব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখতে হবে।

শনিবার (২৪ মে) সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ব প্রি-এক্লাম্পসিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের ফিটোমেটারনাল মেডিসিন ইউনিটের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে সেমিনার, সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, ‘প্রি-এক্লাম্পসিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, জানুন’। 

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা.

ফারজানা সোহাইলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকি মোহাম্মদ জাকিউল আলম।

অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি ফারহানা দেওয়ান, জেস্টোসিস সোসাইটির (যারা গর্ভকালে হাইপারটেনশন নিয়ে কাজ করেন) সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, ওজিএসবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সালমা রউফ প্রমুখ।

প্রি-এক্লাম্পসিয়া গর্ভবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত  সমস্যার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া, যা চিকিৎসার অবহেলায় মা ও শিশুর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা মাতৃমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।

তিনি বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে  জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম চির প্রেমের কবি, আবার বিদ্রোহী কবিও। বাংলা কবিতায় নজরুলের আর্বিভাব একেবারেই উল্কার মতো।  ‘বল বীর, বল উন্নত মম শির’ অথবা মহা-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত/আমি সেই দিন হব শান্ত/ যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,/ অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না-’। এমন উচ্চারণে তিনি নিজেকে একটু আলাদাভাবেই চিনিয়েছিলেন।

তিনি যেমন ছিলেন নির্ভিক, তেমনি রোমান্টিক। রোমান্টিকতার আতিশয্য ও অভিমানে ভরা তার অনেক গান গত শতকের অনেকটা সময় ধরে বাঙালির হৃদয় রাজ্যে বিচরণ করছে। অধিকাংশ গান সুর প্রধান। বৈচিত্রপূর্ণ সুরের লহরী কাব্যকথাকে তরঙ্গায়িত করে এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।  তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল।

তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।

তিনি ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অন্তিম শয্যায় আছেন জাতীয় কবি।

আজ সারা দেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপিত হচ্ছে ‘নজরুলজয়ন্তী’। জাতীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় আজ (রবিবার) শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’। অনুষ্ঠানগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে এ উপলক্ষ্যে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ‘চেতনা ও জাগরণে নজরুল’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। 

এতে সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, একক সংগীত ও নাটক পরিবেশিত হবে।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর জাসাস’র প্রস্তুতি সভা
  • ‘ঠুমরির জলসা’তে নজরুলকে নিবেদন
  • ত্রিশালে নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি
  • জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ
  • ঈদযাত্রায় ট্রেনের ৪ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ
  • জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
  • ৩০ মিনিটে ১৩ কেজি চা পাতা তোলেন তিনি
  • ঈদযাত্রায় ৩ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ
  • বগুড়ায় ‘তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ কাল