জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা মামলায় খালাস পেলেন শফিক রেহমান
Published: 27th, May 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায়ে খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজের আদালত এ রায় দেন। এ সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শফিক রেহমানের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। আদালত রায়ের জন্য ২৭ মে তারিখ ধার্য করেন।
আরো পড়ুন:
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাদী
ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ারও সাজা হয়।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। আদালত তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন। এরপর ২১ নভেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
ঢাকা/এম/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় এবার খালাস পেলেন শফিক রেহমান
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।
একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।জানতে চাইলে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
পরে ওই মামলায় সিএমএম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ২১ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিলের পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। সেদিন তিনি আদালত থেকে জামিন পান।
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল আজ মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। ফলে শফিক রেহমান এ মামলা থেকে খালাস পেলেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলায় শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিএমএম আদালত। অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
মামলায় শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সাজা স্থগিত করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেছিল পুলিশ।