বাবার রেখে যাওয়া হাঁসের খামারেই সংসারের হাল ধরেছেন মিঠুন
Published: 28th, May 2025 GMT
বাবার হঠাৎ মৃত্যুতে সংসারের হাল ধরেন মিঠুন চন্দ্র ওঁরাও। বাবার রেখে যাওয়া হাঁসের খামারে কাজ শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি পড়ালেখাও চালাচ্ছেন এই তরুণ। হাঁস বিক্রির আয় দিয়ে পুরো সংসারের খরচ মেটানোসহ যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করেন তিনি।
মিঠুন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার একটি কলেজে স্নাতক (পাস) শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
গত রোববার দুপুরে মিঠুনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উঠানভর্তি হাঁসের ছানা। নিজ হাতে এগুলোকে খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছেন তিনি। একটু দূরে দাঁড়িয়ে তদারক করছেন তাঁর মা পদ্মমণি রানী ওঁরাও।
কথায় কথায় জানা গেল, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় (এনজিও) চাকরি করতেন মিঠুনের বাবা গজেন্দ্রনাথ ওঁরাও। পাশাপাশি বছর আটেক আগে হাঁসের বাচ্চা পালন শুরু করেন। গত বছর হঠাৎ করে তিনি মারা যান।
মিঠুন বলেন, বাবা চাকরির পাশাপাশি বছর আটেক আগে হাঁসের বাচ্চা পালন শুরু করেন। তাঁর মা এ কাজে সাহায্য করতেন। একটু বড় হয়ে মিঠুনও হাঁসের বাচ্চা পালনের সঙ্গে যুক্ত হন। পাশাপাশি পড়ালেখা চলতে থাকে। তাঁর বোন চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
বাড়িতে বর্তমানে প্রায় ৮০০টি হাঁসের বাচ্চা বড় করা হচ্ছে। প্রতিটি হাঁসের বাচ্চা তিনি ৩৭ টাকায় কিনেছেন। মাস তিনেক লালন-পালনের পর বিক্রির উপযোগী হবে এগুলো। তখন প্রতিটির দাম হবে ৪৫০-৫০০ টাকা বলে জানান মিঠুন।
হাঁসের রোগবালাই ও যত্ন নিয়ে অনেকটাই সচেতন জানিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমি স্থানীয় চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে চলি। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ পেলে আরও ভালো করতে পারব।’
মিঠুনের মা বলেন, তাঁর রেখে যাওয়া এই উদ্যোগের হাল ধরেছেন তাঁরা। এখন তাঁরা ভালো আছেন। বছর বছর তাঁদের পালিত হাঁসের বাচ্চার সংখ্যা বাড়ছে।
স্থানীয়ভাবে হাঁসের বাচ্চা পালনকে লাভজনক পেশা উল্লেখ করে উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাড়াশে চার শতাধিক মানুষ এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ৫০০-৯০০ হাঁসের বাচ্চা পালন করা হয়। যেকোনো প্রয়োজনে খামারিদের যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে