প্রভাসের নায়িকা হতে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিলেন তৃপ্তি
Published: 28th, May 2025 GMT
প্রভাসকে নিয়ে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা নির্মাণ করছেন ‘স্পিরিট’ সিনেমা। অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছিল, সিনেমাটিতে প্রভাসের বিপরীতে অভিনয় করবেন দীপিকা পাড়ুকোন। কয়েক দিন আগে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা ঘোষণা দেন— সিনেমাটিতে প্রভাসের নায়িকা তৃপ্তি দিমরি।
পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের এ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়। চটে যান দীপিকার ভক্ত-অনুরাগীরা। পাশাপাশি গুঞ্জন শোনা যায়, মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক (২০ কোটি রুপি) ও সিনেমার লভ্যাংশ দাবি করেছেন দীপিকা। যার কারণে তাকে বাদ দিয়ে তৃপ্তিকে নিয়েছেন নির্মাতা। যদিও এসব তথ্যের কোনো সত্যতা নেই। তবে এ সিনেমার জন্য তৃপ্তি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন।
ইন্ডিয়া টুডে-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘স্পিরিট’ সিনেমার পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। এ নির্মাতা জানান, ‘স্পিরিট’ সিনেমায় অভিনয়ের তৃপ্তি দিমরি নিয়েছেন ৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা)। এটি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া সিনেমা।
আরো পড়ুন:
মুকুল দেবের সংসার কেন ভেঙেছিল?
বিশালের হবু স্ত্রী সাইকে কতটা জানেন?
তৃপ্তির ক্যারিয়ারেও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা হতে যাচ্ছে ‘স্পিরিট’। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে শুটিং শুরু করবেন সন্দীপ। এখন প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। ২০২৬ সালে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা।
কয়েক বছর আগে বলিউডে পা রাখেন অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। কিন্তু তার শুরুটা মধুর ছিল না। ‘বুলবুল’ ও ‘কলা’ সিনেমায় অভিনয় করে খ্যাতি লাভ করেন ৩১ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী।
তৃপ্তির ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ‘অ্যানিমেল’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার এই সিনেমা। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে অনেকটা বদলে গেছে তৃপ্তির ক্যারিয়ার-জীবন। একের পর এক সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে থাকেন। ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় অভিনয়ের আগে ৩০-৪০ লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিতেন তৃপ্তি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
দায়িত্ব ছাড়ছেন ট্রাম্পের ‘ঘনিষ্ঠজন’ ইলন মাস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ঘনিষ্ঠজন’ হিসেবে পরিচিত ধনকুবের ইলন মাস্ক মার্কিন প্রশাসনে তাঁর বিশেষ দায়িত্ব ছাড়ছেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা স্থানীয় সময় বুধবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, ইলন মাস্ক প্রশাসন ছেড়ে যাচ্ছেন। দ্রুতই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্ক জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অনুদানদাতাও ছিলেন। তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠতা সব মহলে আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছে। রয়টার্স জানায়, গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেন মাস্ক। তিনি লেখেন, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগে’র (ডোজ নামে পরিচিত) অংশ হিসেবে তাঁর বিশেষ সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব শেষ হয়ে আসছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর নতুন প্রশাসনে ইলন মাস্ককে যুক্ত করেন। তাঁকে নবগঠিত ডোজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন এ বিভাগের কাজ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মিবহর কমানো।
বিবিসি জানায়, ইলন মাস্কের দায়িত্ব ছিল সাময়িক। তাই এ বিদায় কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩০ মে। ১৩০ দিনের মেয়াদে তিনি দায়িত্বে এসেছিলেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ফেডারেল সরকারকে পুনর্গঠন ও ব্যয়-কর্মী কমাতে ডোজের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মাস্ক বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডোজের কার্যক্রম আরও জোরদার হবে। সরকারের মাধ্যমে এটা জীবনের অংশ হয়ে উঠবে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন মাস্ক। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলেও তিনি সতর্ক করেন। মধ্যপ্রাচ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সংক্রান্ত তথ্যকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির হাতে চলে যাওয়া নিয়েও তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন।
এক সময় মাস্ককে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ’ মনে করা হতো। তবে এখন তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। ইলন মাস্ক জানান, নিজের কোম্পানিগুলোকে বেশি সময় দিতেই তিনি সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।