পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে সোনার বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের
Published: 28th, May 2025 GMT
পৃথিবীর কেন্দ্র প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। বলা যায়, পৃথিবীর কেন্দ্র একটি প্রজ্বলিত অগ্নিগোলক। সেখানে তাপমাত্রা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলিত লোহা ও নিকেলের উত্তপ্ত কেন্দ্র পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে। আর তাই পৃথিবীর কেন্দ্র নিয়ে আমাদের জানার অনেক আগ্রহ। আগ্নেয়গিরির শিলা বিশ্লেষণ করে জার্মানির গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে সোনার বিশাল ভান্ডার রয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ছিদ্রের মাধ্যমে কিছু সোনা ভূপৃষ্ঠের দিকে উঠে আসছে। শুধু সোনা নয়, অনেক মূল্যবান ধাতুও কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের দিকে চলে আসছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, হাওয়াই দ্বীপের আগ্নেয়গিরির শিলা বিশ্লেষণ করে সোনার পাশাপাশি মূল্যবান ধাতু রুথেনিয়ামের খোঁজ পাওয়া গেছে। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার নিচে থাকা কঠিন শিলার নিচে পৃথিবীর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশের বেশি সোনা চাপা পড়ে আছে। এ বিষয়ে গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিজ্ঞানী নিলস মেসলিং বলেন, প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পরই আমরা ধারণা করছিলাম, সোনার খোঁজ পেয়েছি। এখন নিশ্চিতভাবে আমরা বলতে পারছি, সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর ওপরের দিকে চলে আসছে।
আরও পড়ুনপৃথিবীর কেন্দ্র উত্তপ্ত হলেও সমুদ্রের তলদেশ হিমশীতল কেন১৮ এপ্রিল ২০২৫সাধারণভাবে মনে করা হয়, গোলাকার পৃথিবীর কেন্দ্রে অতি উত্তপ্ত ধাতব অভ্যন্তরীণ কোর রয়েছে। এরপর কঠিন কোর, তারপর পাথুরে আবরণ ও পৃষ্ঠের দিকে পাতলা ভূত্বক রয়েছে। গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্র থেকে কিছু মূল্যবান ধাতুসমৃদ্ধ উপাদান ধীরে ধীরে ওপরের পৃথিবীর আবরণের দিকে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা হাওয়াই থেকে প্রাপ্ত লাভায় অস্বাভাবিক আইসোটোপিক গঠনসহ মূল্যবান ধাতু রুথেনিয়ামের ক্ষুদ্র চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। নতুন অনুসন্ধান প্রমাণ করছে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ধাতব পদার্থ নির্গত হচ্ছে।
গবেষণায় পৃথিবীর পাথুরে আবরণের তুলনায় ধাতব কেন্দ্রে রুথেনিয়ামের পরিমাণ কিছুটা বেশি পাওয়া গেছে। এই রুথেনিয়াম প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সঙ্গে পৃথিবীর কেন্দ্রে আটকে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠের লাভায় বিজ্ঞানীরা অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ রুথেনিয়াম ১০০ আইসোটোপ স্তর খুঁজে পেয়েছেন। যার অর্থ, নমুনা পৃথিবীর কেন্দ্র ও আবরণের মধ্যবর্তী সীমানা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে সোনার বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের
পৃথিবীর কেন্দ্র প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। বলা যায়, পৃথিবীর কেন্দ্র একটি প্রজ্বলিত অগ্নিগোলক। সেখানে তাপমাত্রা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলিত লোহা ও নিকেলের উত্তপ্ত কেন্দ্র পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে। আর তাই পৃথিবীর কেন্দ্র নিয়ে আমাদের জানার অনেক আগ্রহ। আগ্নেয়গিরির শিলা বিশ্লেষণ করে জার্মানির গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে সোনার বিশাল ভান্ডার রয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন ছিদ্রের মাধ্যমে কিছু সোনা ভূপৃষ্ঠের দিকে উঠে আসছে। শুধু সোনা নয়, অনেক মূল্যবান ধাতুও কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের দিকে চলে আসছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, হাওয়াই দ্বীপের আগ্নেয়গিরির শিলা বিশ্লেষণ করে সোনার পাশাপাশি মূল্যবান ধাতু রুথেনিয়ামের খোঁজ পাওয়া গেছে। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার নিচে থাকা কঠিন শিলার নিচে পৃথিবীর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশের বেশি সোনা চাপা পড়ে আছে। এ বিষয়ে গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রসায়ন বিজ্ঞানী নিলস মেসলিং বলেন, প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পরই আমরা ধারণা করছিলাম, সোনার খোঁজ পেয়েছি। এখন নিশ্চিতভাবে আমরা বলতে পারছি, সোনাসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর ওপরের দিকে চলে আসছে।
আরও পড়ুনপৃথিবীর কেন্দ্র উত্তপ্ত হলেও সমুদ্রের তলদেশ হিমশীতল কেন১৮ এপ্রিল ২০২৫সাধারণভাবে মনে করা হয়, গোলাকার পৃথিবীর কেন্দ্রে অতি উত্তপ্ত ধাতব অভ্যন্তরীণ কোর রয়েছে। এরপর কঠিন কোর, তারপর পাথুরে আবরণ ও পৃষ্ঠের দিকে পাতলা ভূত্বক রয়েছে। গোটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্র থেকে কিছু মূল্যবান ধাতুসমৃদ্ধ উপাদান ধীরে ধীরে ওপরের পৃথিবীর আবরণের দিকে চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা হাওয়াই থেকে প্রাপ্ত লাভায় অস্বাভাবিক আইসোটোপিক গঠনসহ মূল্যবান ধাতু রুথেনিয়ামের ক্ষুদ্র চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন। নতুন অনুসন্ধান প্রমাণ করছে, পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ধাতব পদার্থ নির্গত হচ্ছে।
গবেষণায় পৃথিবীর পাথুরে আবরণের তুলনায় ধাতব কেন্দ্রে রুথেনিয়ামের পরিমাণ কিছুটা বেশি পাওয়া গেছে। এই রুথেনিয়াম প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর সঙ্গে পৃথিবীর কেন্দ্রে আটকে যায়। পৃথিবীর পৃষ্ঠের লাভায় বিজ্ঞানীরা অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ রুথেনিয়াম ১০০ আইসোটোপ স্তর খুঁজে পেয়েছেন। যার অর্থ, নমুনা পৃথিবীর কেন্দ্র ও আবরণের মধ্যবর্তী সীমানা থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
সূত্র: ডেইলি মেইল