বিচারপতি নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
Published: 29th, May 2025 GMT
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ ও গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানকে আইনজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলে রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ সাঈদ খান জনস্বার্থে এই রিট করেন। রিটে আইন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
এম এ সাঈদ সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ সংবিধানের ২৭, ৩১, ৪৪, ৯৫ ও ১১০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই পুরো অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রিটে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগের বিষয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতাও স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক পদে নিয়োগের জন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২২ জুনের মধ্যে দরখাস্ত জমা দিতে বলা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব চ রক
এছাড়াও পড়ুন:
আনিস-সালমান রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার ৯
হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,ও নুরু মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া, যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মনিরুল ইসলাম মনু, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেত্রী রজনী আক্তার টুসী।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
এদিকন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার ধানমন্ডিতে মো. রিয়াজ (২৩) নামে এক যুবককে হত্যার মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, নুরু মিয়া এবং সোহানুর রহমান আজাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই'র পরিদর্শক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার।
আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে এবং রিমান্ড শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হয়। এরপর চার আসামির রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। সোহানুর রহমান আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। তবে তারা শুনানি করেননি। পরে আদালত সোহানুর রহমান আজাদ বাদে অপর তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। সোহানুর রহমান আজাদের রিমান্ডের বিষয়ে আদালত পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিদের মধ্যে আমির হোসেন আমুকে এক হত্যাচেষ্টা মামলায়, ইনু ও মেননকে একটি হত্যাচেষ্টা এবং দুটি হত্যা মামলায়, পলককে একটি একটি হত্যাচেষ্টা এবং একটি হত্যা মামলায়, মনিরুল ইসলাম মনুকে দুটি হত্যা মামলায়, কামরুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলামকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, জাহাঙ্গীর আলম ও টুসীকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সবগুলো মামলা যাত্রাবাড়ী থানার।
এছাড়া, সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়, আনিসুল হককে একই থানার একটি হত্যা মামলায় ও আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঢাকা/এম/ইভা