ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 30th, May 2025 GMT
নয় দিনের ব্যবধানে ফেনী সীমান্ত দিয়ে আরো ১৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার মথুয়া সীমান্তের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে বিজিবি।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আলতাফ (৩৯), মোমিনা বেগম (৩২), আমিনুল ইসলাম (৩৮), ঊর্মি বেগম (২৯), ওহিদুল ইসলাম (১১), মো.
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ছাগলনাইয়া বিওপির নিয়মিত টহল দল মথুয়া সীমান্ত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাদের দেখতে পায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্ত পিলার ২১৯৪/৪–এস এলাকা দিয়ে বিএসএফ সদস্যরা তাদের হাত ও চোখ বেঁধে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। রাতের অন্ধকার, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অপরিচিত পরিবেশে তারা মথুয়ার ওই পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নেন। এ ঘটনায় বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার বিএসএফ কমান্ডারকে মৌখিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে প্রতিবাদপত্র পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরো ১৪ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিজিবির কাছ থেকে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ১৩ জনকে পেয়েছি। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা বাংলাদেশি নাগরিক ও কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে। না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এর আগে, গত ২১ মে জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
ঢাকা/সাহাব/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ