Risingbd:
2025-05-31@18:51:14 GMT

আর কতদিন থাকবে বৃষ্টি?

Published: 30th, May 2025 GMT

আর কতদিন থাকবে বৃষ্টি?

টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।আকাশ ঢেকে আছে কালো মেঘে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে, ২৮৫ মিলিমিটার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ঘনীভুত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার কারণেই বর্ষা মৌসুমের আগে আগে এমন বৃষ্টির দেখা দিয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্থলভাগে উঠে এসে এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাতে শুরু হওয়া বৃষ্টি বিকেলেও অব্যাহত, জলাবদ্ধতা নেই চট্টগ্রামে

দুর্বল হচ্ছে নিম্নচাপ, শুক্রবারও ভারী বৃষ্টির আভাস

সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি জানিয়ে প্রকাশিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে টাঙ্গাইল ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছিল নিম্নচাপটি। এটি আরো উত্তর বা উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে বৃ্ষ্টি ঝরিয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে।

স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় অঞ্চলে মেঘের উপস্থিতি রয়েছে এবং উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এর প্রভাবে ঢাকাসহ সারা দেশে আজো বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। তবে তার মাত্রায় হেরফের ঘটবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড.

আবুল কালাম মল্লিক।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ দেশের আটটি বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী রবিবার পর্যন্ত এ পরিস্থিতি মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকবে। তারপর থেকে বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করবে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মল্লিক।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালের বৃষ্টিও এর সঙ্গে মিলে যাওয়ার কথা বলছেন তিনি। ফলে, আগামী সপ্তাহজুড়েই বৃষ্টির দেখা মিলবে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় এলাকার অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর ক্ষেত্রে সংকেত দুই এবং অন্যস্থানে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে পূর্বাভাসে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস। সেই সাথে ভারী বর্ষণ জনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও তারা সতর্কবার্তা দেয়।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে ঢাকা শহরের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে পথে নামা মানুষকে পোহাতে হয় ভোগান্তি।

৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস
দেশের ৬ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।এসব এলাকার নদ-নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সংস্থা।

জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট ও নেত্রকোনা। ফেনী ছাড়া বাকি পাঁচ জেলা হাওর অঞ্চলের।

বৃহস্পতিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বুলেটিনে জানিয়েছে, আগামী দুই দিন ফেনীর মুহুরী নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি রয়েছে।

কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলছে, ভারী বৃষ্টির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি বাড়তে পারে। আর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। পরের এক দিনে এসব নদীর পানি কমে যাওয়ার আভাসও দিয়েছে সংস্থাটি।

আগামী তিন দিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এক বুলেটিনে সংস্থাটি বলছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও আগামী তিন দিন বাড়তে পারে। তিস্তার পানি নদীর সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

আগামী দুইদিন পর্যন্ত বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় জোয়ার হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

এছাড়া সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি কমছে, তবে আগামী তিন দিন বাড়ার আভাস থাকলেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি কমছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আগামী এক দিন স্থিতিশীল থাকলেও পরবর্তী চার দিন পানি বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচে থাকার আভাস রয়েছে।

এই বুলেটিনে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। নদী দুটির পানি আগামী ৫ দিন বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা বিপৎসীমার নিচে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র ব ভ স ও সতর ক করণ ক ন দ র নদ র প ন পর স থ ত ব পৎস ম উপক ল য় এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

কালভার্ট ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খনন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার আয়মন নদীর ওপর নির্মিত গহুর মোল্লার কালভার্ট ধসে পড়ায় দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আয়মন নদীতে পানির চাপ বৃদ্ধি এবং কালভার্টের দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে পাটাতন ধসে যায়। কালভার্টটি দ্রুত মেরামত করে মানুষের দুর্ভোগ কমানোর আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কালভার্টটি ভেঙে পড়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত নদী খননকে দায়ী করেছে মুক্তাগাছা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। তাদের দাবি, কালভার্টের উভয় পাশে ৩০ মিটারের মধ্যে কোনো খনন কাজ করা হয়নি। সুতরাং কালভার্ট ধসে পড়ার দায় নিতে রাজি নয় পাউবো।
জানা গেছে, খেরুয়াজানী ইউনিয়নের পলশা ভিটিবাড়ী গ্রামের কালভার্টটি ২০০১ সালের দিকে নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সম্প্রতি পাউবোর অপরিকল্পিত নদী খননের কারণে গোড়ার মাটি সরে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে পড়ে কালভার্টটি। এ কারণে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানির তীব্র স্রোতে শুক্রবার সকালে কালভার্টটি ধসে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুল ইসলাম জানান, এ কালভার্ট দিয়ে পলশার স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করত। হঠাৎ করে শুক্রবার সকালে কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মনিরুজ্জামান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘কালভার্টটি পলশা গহুর মোল্লা ব্রিজ নামেই পরিচিত। অপরিকল্পিতভাবে আয়মন নদী খননের কারণেই চোখের সামনে ভেঙে পড়তে দেখলাম। আমাদের ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে। কালভার্টটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ভাষ্য, কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় শুক্রবার সকাল থেকে পণ্য পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। কয়েক গ্রামের মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আয়মন নদীর ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এই কালভার্টের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী। হঠাৎ করে এটি ভেঙে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে। দ্রুত কালভার্টটি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মুক্তাগাছা উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বক্স কালভার্টটি আমরাই নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করার কারণে বক্স কালভার্টটি ভেঙে গেছে।’ তাঁর ভাষ্য, আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠাবেন। দ্রুত সময়ের ভেতর এটি পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা করবেন। আগের মতো বক্স কালভার্ট দিয়ে চললে কালভার্টটিই নির্মাণ করা হবে, তা না হলে কালভার্টের জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তবে জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, কালভার্ট ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন তারা। দু’পাশের মাটি সরে যাওয়ার কারণে এটি ঢলে পড়েছে। আবহাওয়া ভালো হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন  ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল। তিনি বলেন, ‘আমরা নদ খনন করার আগে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি সেটি সংরক্ষণ করার জন্য। কালভার্টের দুই পাশে ৩০ মিটারের মধ্যে আমরা কোনো খনন কাজ করিনি। এখন যদি সেটি ভেঙে পড়ে তাহলে দায় কেন আমরা নেব?’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ময়মনসিংহে বজ্রপাতে কৃষক ও শিশুর মৃত্যু
  • গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেলেন কয়েক হাজার মানুষ
  • জুলাই আন্দোলনে জীবিত ভাইকে নিহত দেখিয়ে মামলা, নেপথ্যে কী?
  • কালভার্ট ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন খনন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
  • ঢাকায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
  • ময়মনসিংহে ১১ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত
  • সিলেটমুখী নিম্নচাপটি এখন টাঙ্গাইলে, আজ রূপ নিতে পারে লঘুচাপে  
  • বৃষ্টি ঝরবে আরও চারদিন
  • ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না নিম্নচাপ, ৪৮ ঘণ্টা থাকবে ভারী বৃষ্টি