তারা সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায় : রোজেল
Published: 30th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, দেশের চুরি, ডাকাতি, মারামারি বেড়ে গেছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোন সরকার এগুলো ঠেকাতে পারে না। তাই অবিলম্বে নির্বাচন দরকার।
যে দলগুলো ৩ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পায়। তারা আজ সংস্কারের নামে ভোটকে পিছিয়ে দিতে চায়। আমাদের দাবী নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন আলোচনার কোন সুযোগ নেই। জাতিকে অন্ধকারে না রেখে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে।
শুক্রবার (৩০ মে) ফতুল্লায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক মীর মুকবুল হোসেন বাবলু বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ।
উপস্থিত ছিলেন, কাউছার, সুরুজ হাওলাদার, সবুজ কাজী, সুমন দেওয়ান, শাহাদাত, শাহিন ভুইয়া, সুহেন আহম্মেদ, জসিম, সুমন খন্দকার, নজরুল, মামুন ভান্ডারী, হিমু, সুহেন, রাকিব, বাবু, আলগমীর, ওয়াসিম, আলাল, আবু বক্কর, মাসুদ, কামাল ও সম্রাট।
তিনি বলেন, আমরা যেন মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারি সেজন্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এই হত্যাকান্ডের পর ঘরে বসে থাকেনি। সারা বাংলাদেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের কফিনের পিছে ছুটেছিল। চল্লিশ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ শোক পালন করে। সেই শোককে বিএনপি শক্তিতে পরিনত করেছে।
তিনি আরো বলেন, এরশাদ যখন ক্ষমতা নিয়ে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে তছনছ করে দিল, সেই সময় খালেদা জিয়া আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আর শেখ হাসিনা তখন এরশাদের সাথে লং ড্রাইভে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা তার বাবা থেকে গণতন্ত্র হরণের যে শিক্ষা পেয়েছেন তিনি সেটাই করেছেন।
কথায় কথায় মামলা, হামলা, গুম করেছেন। আমাদের শতশত নেতাকর্মী এখনও গুম অবস্থায় আছেন। আমি বর্তমান সরকারের কাছে দাবী জানাই, এদের খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির সনদ ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর জন্য নির্বাচন দরকার। যখনই বিএনপি সরকার গঠন করবে তখনই ৩১ দফা বাস্তবায়ন হবে এবং বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পাবে।
তিনি বলেন, এখানে অনেক শ্রমিক রয়েছে। আপনারা তাদের দিকে সুদৃষ্টি রাখবেন। তাদের উপর যেখানে অত্যাচার হবে সেখানেই আপনারা গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন। আমাদের জানাবেন, আমরা এগুলো কঠের হাতে দমন করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন আওয় ম ল গ আম দ র ব এনপ রহম ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান
ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।
সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”
আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”
গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
ঢাকা/এএএম/এস