সমকালের ২০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২১ বছরে পা রাখছে সমকাল। শুভেচ্ছা।  কৃতজ্ঞতা।

এই দিনে আমরা আমাদের পাঠক, লেখক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, পত্রিকা সরবরাহকারী এজেন্ট, হকার– সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২০ বছর সমকালের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের অভিবাদন।

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন, বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকারী গণঅভ্যুত্থানজয়ী মানুষের গগনচুম্বী আকাঙ্ক্ষা, রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য নির্বাচন– সব মিলে সাধ ও সাধ্যের মাঝখানের দূরত্ব কমিয়ে আনার কষ্টকর যাত্রায় সমকাল গণমানুষের পাশে আছে, থাকবে। 
সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মমুখরতাকে সঙ্গী করে সমকাল তার বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও গণমুখী সাংবাদিকতা চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই পথচলায় সমকালের সবচেয়ে বড় শক্তি– পাঠক। 

প্রতিবছরের মতো এবারও সুবিধাজনক সময়ে নতুন প্রত্যয়সহ সমকালের বিশেষ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংখ্যা প্রকাশ করা হবে। থাকবে নানা আয়োজন ও মিলনমেলা। বরাবরের মতো এবারও সকল আয়োজনে আপনাদের প্রত্যেককে পাশে পাব– এই বিশ্বাস আমাদের আছে। 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র এবং চব্বিশের অর্জনকে পাথেয় করে সমকাল তার নিজস্ব লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে। স্বাধীন সংবাদপত্র প্রকাশের ধারা আমরা অব্যাহত রাখব। বৈষম্য, বিবাদবিসংবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।

আমাদের আছে সম্ভাবনাময় তরুণ জনগোষ্ঠী। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশের সামনে আরও অগ্রগতির সুযোগ এখন স্পষ্ট। সমকাল এই আগুয়ান বাংলাদেশের সঙ্গে এককাতারে হাঁটতে চায়, হাঁটবে।
খবরে বস্তুনিষ্ঠতা, পেশায় সততাকে মূল ধরে সাংবাদিকতাকে এগিয়ে নেওয়াই আমাদের মূল কাজ। আসছে সময়ে সমকাল আরও নিবিড়ভাবে পাঠকের স্বার্থ রক্ষার কাজ করে যাবে।
প্রিয় পাঠক, সুখে-দুঃখে সমকালের সঙ্গে থাকার জন্য আপনার প্রতি আমাদের বিশেষ কৃতজ্ঞতা।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল সমক ল র আম দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষ ২০ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়। 

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সে পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

তিনি মনে করেন, ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়।

বিচার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করে। বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরো প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

সরকারের কি এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, বিএনপি বিষয়টি কীভাবে দেখছে? এ প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “আমি একটা জিনিস মনে করি, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং, সবাই তাদের মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই নিজেদের মতামত দেবে। এর মধ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

বিএনপি এত দিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। এবং এত সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগে ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছে। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরো দীর্ঘ সময়। তবে, যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

আমীর খসরু বলেন, “আমি আগেও বলেছি, যত বেশি ঐকমত্যের মাধ্যমে আমরা নিজেদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সেটা জাতির জন্য তত ভালো। আমরা যে ঐকমত্যের মধ্যে এসেছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “ঐকমত্য থাকার ফলেই আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা চেষ্টা করব, যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।”

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা বা বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো— একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বৈঠকে সংস্কারের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমান বলেছেন, এখানে যতটুকু ঐকমত্য হবে, সংস্কারও ততটুকুই হবে। বাকি অংশটা নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। এটি এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, নির্বাচনের পরেও এটি চলমান থাকবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংকট এখনও কাটেনি, বললেন রিজভী
  • মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক শাখাপ্রধানের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক
  • যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক শাখাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করল জামায়াত
  • ‘পূর্ব আলোচনা ছাড়া’ জাতীয় পার্টির সম্মেলন স্থগিত, ‘বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন’ দুই কো-চেয়ারম্যান
  • লন্ডন বৈঠক এবং গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের প্রশ্ন 
  • প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রূপান্তরে যেতে হবে
  • রাজনীতির নতুন সমীকরণে উপেক্ষিত প্রসঙ্গ
  • গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চান আলী রীয়াজ
  • গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য তিন ধরনের সংস্কারের কথা বললেন বদিউল আলম মজুমদার
  • দেশবাসী দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চায়: আমীর খসরু