হিরু চক্রকে ২০৮ কোটি অর্থদণ্ড, ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ
Published: 1st, June 2025 GMT
বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক ও শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগীদের মোট ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডজন খানেকের বেশি কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হিরু সিন্ডিকেট সদস্যদের জরিমানা করা হয়।
একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আবুল খায়ের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, তাই বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত ১৩ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর ‘পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজি এবং এ সম্পর্কিত বিষয়ে আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের ওপর আরোপিত অর্থদণ্ড’ প্রসঙ্গে বিএসইসি থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
সমন্বয় বাড়িয়ে আর্থিক বিবরণীর মানোন্নয়নে ৩ সংস্থাকে দিকনির্দেশনা
৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বিএসইসির স্পষ্টকরণ
একই সঙ্গে বিষয়টি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর একই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিল বিএসইসি।
শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আবুল খায়ের, তার পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের নাম উঠে এলেও কারো বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুনর্গঠিত বিএসইসির খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন আবুল খায়ের ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি, আবুল খায়েরের ব্যবসায়িক পার্টনার বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকেও ছাড় দেয়নি বিএসইসি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল খায়ের পুঁজিবাজারে একজন বিনিয়োগকারী। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। বর্তমানে তিনি সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি নিজে এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে মিলিতভাবে বিভিন্ন সময়ে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করেছেন। ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নেরও পরিপন্থী। তার এবং তার সহযোগীদের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজির কারণে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদেরকে বিভিন্ন সময়ে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং সমবায় অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, আবুল খায়ের এককভাবে এবং তার সহযোগীদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে কারসাজির কারণে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন প্রমাণিত হওয়ায় বিএসইসি আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদেরকে ২০২২ সালের ১৯ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৫ মে পর্যন্ত সময়ে ১৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। অর্থাৎ আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদেরকে সর্বমোট অর্থদণ্ডের পরিমাণ ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আবুল খায়ের একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। বিষয়টি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো।
এদিকে, ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আবুল খায়ের পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী। তার পরিচালিত বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট নম্বরগুলো হলো-১২০১৯৫০০৬২১৬৪৫৩৫, ১২০২৬০০০৭১০৯১১১৬, ১২০৪৫৯০০৬৭৭১২৭৮১, ১২০৫৫৯০০৭১০৯১১১৬, ১২০৫৯৫০০৭১০৯১১১৬, ১৬০৪৫৩০০৬২১৬৪৫৩৫ ও ১৬০৫১১০০৭১০৯১১১৬। তিনি সরকারি কর্মচারী, সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক (ইপি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে করসাজি করেছেন।
২০২২ সালের ১৯ জুন গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ও তাদের সহযোগীদের ৪২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান ও তাদের সহযোগীদের ৯৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের দেশ আইডিয়াল ট্রাস্ট কো-অপারেটিভকে ৭২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২২ সালের ৬ জুলাই ফরচুন সুজের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের বাবা আবুল কালাম মাতবর এবং তার সহযোগীদের ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।একই সময়ে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের বোন কনিকা আফরোজ এবং তার সহযোগীদের ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২২ সালের ২ আগস্ট ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের বাবা আবুল কালাম মাতবর এবং তার সহযোগীদের ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে বিডিকম অনলাইনের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভ এবং তার সহযোগীদের ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর আইপিডিসি ফাইন্যান্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।একই সময়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়েরের প্রতিষ্ঠান ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২৪ সালের ২১ মার্চ জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সে হিসেবে ২০২২ সালে ১৯ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়।
এদিকে, ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবু খায়েরকে ২৫ লাখ টাকা, সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৭৫ লাখ টাকা, আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট লিমিটেডকে ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ টাকা, লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ১ লক্ষ টাকা এবং ব্যবসায়িক পার্টনার মো.
২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ফরচুন সুজের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ৭৭ কোটি ২১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবু খায়ের হিরুকে ১১ কোটি টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ১৫ কোটি টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানকে ২৫ কোটি টাকা, কনিকা আফরোজকে ১৯ কোটি টাকা এবং আবুল খায়েরের ভাই সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ৪৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবু খায়েরকে ১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা টাকা, সাজিদ মাতবরকে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, আবুল খায়েরের ভাই মোহাম্মদ বাশারকে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানের ভাই কাজী ফুয়াদ হাসানকে ১ লাখ টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৮৪ লাখ টাকা এবং আবুল কালাম মাতবরকে ২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ১২ লাখ টাকা, আবুল খায়েরের মা আলেয়া বেগমকে ১ লাখ টাকা, আবুল খায়েরের ভাই মোহাম্মদ বাসারকে ১ লাখ টাকা, মোনার্ক হোল্ডিংসকে ১ লাখ টাকা ও সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ১ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ১ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানকে ২ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ১ লাখ টাকা, কাজী ফরিদ হাসানকে ৩৫ লাখ টাকা ও কাজী সাদিয়া হাসানের ভাই কাজী ফুয়াদ হাসানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ করা অভিযোগে আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ৮ এপ্রিল এশিয়া ইন্সুরেন্সের শেয়ার কারসাজির জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ১৯ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়ের হিরুকে ৪ কোটি টাকা টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৫ কোটি টাকা ও কাজী সাদিয়া হাসানকে ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ৫২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ৭৫ লাখ টাকা টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ৭৫ লাখ টাকা, কাজী ফরিদ হাসানকে ২৫ লাখ টাকা, কাজী ফুয়াদ হাসানকে ২৫ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ২৫ লাখ টাকা, সাজিদ মাতবরকে ২৫ লাখ টাকা, মোহাম্মদ বাসারকে ২৫ লাখ টাকা, মোনার্ক হোল্ডিংসকে ২৫ লাখ টাকা, মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টকে ২৫ লাখ টাকা, সাকিব আল হাসানকে ২৫ লাখ টাকা ও আবুল খায়েরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সফটভাসনকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ৯ এপ্রিল সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ২৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা টাকা, আবুল কালাম মাতবরকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হানাসকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, ডিআইটি কো-অপারেটিভকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, কাজী ফরিদ হাসানকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, কাজী ফুয়াদ হাসানকে ২৫ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, সাজিদ মাতবরকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, মোহাম্মদ বাসারকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, মোনার্ক হোল্ডিংসকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, সাকিব আল হাসানকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা, ব্যবসায়িক পার্টনার জাভেদ এ মতিনকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা ও সফটভাসনকে ২ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৭ মে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজি জন্য আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবুল খায়েরকে ৩৭ লাখ টাকা টাকা, ইশাল কমিউনিকেশনকে ৮৫ লাখ টাকা, কনিকা আফরোজকে ৫৯ লাখ টাকা, আবুল খায়েরের স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানের প্রতিষ্ঠান মোনার্ক এক্সপ্রেসকে ২২ লাখ টাকা, মোনার্ক মার্টকে ১৫ লাখ টাকা, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১৩ লাখ টাকা, সাকিব আল হাসানকে ৩ লাখ টাকা, আবুল কালাম মাতব্বরকে ৩ লাখ টাকা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজকে ৩ লাখ টাকা, ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ন কবিরকে ৩ লাখ টাকা ও মো. জাহেদ কামালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সে হিসেবে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের ১৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।
আর ২০২২ সালের ১৯ জুন থেকে ২০২৫ সালের ৭ মে পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদের মোট ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালাম বলেন, “শেয়ার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিনিয়োগকারী আবুল খায়েরকে একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে। যে কোনো কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে আগামীতে কমিশন আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ ন ন ক ম প ন র শ য় র ল নদ ন ব যবস য় ক প র টন র ত র সহয গ দ র ১ ২০২২ স ল র ২০২৫ স ল র ম হ ম মদ ব ২৫ ল খ ট ক ৪০ ল খ ট ক ৭৫ ল খ ট ক ১৫ ল খ ট ক একই সময় স ল র ১৯ র ব যবস ব যবস থ ব এসইস পর চ ল ১৯ জ ন আফর জ ন নয়ন সরক র ড আইট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিরক্ষা খাতে ৩৮,৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ৩৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪০ হাজার ৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে দাঁড়ায় ৩৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে এবার এ খাতে বাজেট কিছুটা বেড়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এই অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
আরো পড়ুন:
এনসিপির বাজেট প্রতিক্রিয়া মঙ্গলবার
বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা
তিন শূন্যের ওপর ভিত্তি করে সমাজ গঠনে কাজ করছে সরকার
এছাড়া, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশোধিত বাজেট ছিল, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৩৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব বাজেটের আকার ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের বিশেষ বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ