ক্যানসারের ফেরা ঠেকাতে শরীরচর্চা ‘ওষুধের চেয়ে ভালো’
Published: 1st, June 2025 GMT
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শরীরচর্চা ক্যানসার রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। একই সঙ্গে তা টিউমার পুনরায় হওয়া রোধ করে, এমনকি ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে। এই গবেষণার ফলাফল বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে ক্যানসার নির্ণয়ের পর শরীরচর্চার উপকারিতা নিয়ে এত দিন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রমাণ ছিল না। ফলে রোগীদের দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়াম যুক্ত করার দিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চা (স্ট্রাকচার্ড এক্সারসাইজ রেজিম) মৃত্যুর ঝুঁকি, ক্যানসার পুনরায় ফিরে আসা কিংবা নতুন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। এই গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডা ও ইসরায়েলের ক্যানসার রোগীরা অংশ নিয়েছেন।
গবেষণার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে অনুষ্ঠিত আমেরিকান সোসাইটি অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজির (এস্কো) বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যানসারবিষয়ক সম্মেলন। প্রায় ১৪ বছর ধরে পরিচালিত গবেষণাটির ফলাফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় একজন ক্যানসারবিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, শরীরচর্চা ক্যানসার পুনরাবৃত্তি ও মৃত্যু রোধে বর্তমানে ব্যবহৃত অনেক ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর হতে পারে। চিকিৎসা ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো এমন স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এস্কোর প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জুলি গ্রালো বলেন, গবেষণার এই ফলাফল ‘প্রমাণের সর্বোচ্চ স্তরের’, যা ‘চিকিৎসা চলাকালে ও চিকিৎসার পরে শরীরচর্চা উৎসাহিত করার গুরুত্ব নিয়ে আমাদের বোঝাপড়ায় বড় পরিবর্তন আনবে’। এক দশক ধরে চলা এই গবেষণায় অবশ্য জুলি গ্রালো যুক্ত ছিলেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর যেসব ব্যক্তি শুধু সাধারণ স্বাস্থ্য পরামর্শ পেয়েছিলেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক বা স্বাস্থ্য পরামর্শকের সহায়তায় নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চা শুরু করেছিলেন, তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৭ শতাংশ কমে। আর পুরোনো বা নতুন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমে ২৮ শতাংশ।
ক্যানসার রোগীদের ওপর শরীরচর্চার প্রভাব কেমন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জুলি গ্রালো বলেন, ‘আমরা (এস্কোর বার্ষিক সম্মেলনের) যে সেশনে গবেষণাটি উপস্থাপন করেছি, তার নাম রাখা হয়েছে অ্যাজ গুড অ্যাজ আ ড্রাগ (ওষুধের মতো কার্যকর)। কিন্তু আমি হলে এই সেশনের নাম রাখতাম বেটার দ্যান আ ড্রাগ (ওষুধের চেয়ে ভালো)। কারণ, শরীরচর্চায় ওষুধের মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনুমোদন পাওয়া অনেক ওষুধ সেবনের মাধ্যমেও ক্যানসার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুঝুঁকি ৩৭ শতাংশ কমে। এর চেয়ে কম উপকারিতার ক্ষেত্রেও ওষুধ অনুমোদন পায়। কিন্তু ওষুধগুলো অনেক ব্যয়বহুল। তা ছাড়া ওষুধগুলো শরীরের জন্যও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত হতে পারে।’
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ জুলি গ্রালো বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে আমি যখন চিকিৎসা পেশা শুরু করেছিলাম, তখন কেমোথেরাপি চলাকালে রোগীদের খুব সাবধানে বলতে হতো, “অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না।” কিন্তু এখন আমরা সেই ধারণা পুরোপুরি বদলে ফেলেছি। আমার মতে, শরীরচর্চা ওষুধের চেয়েও ভালো।’
এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ৮৮৯ জন রোগীকে তালিকাভুক্ত করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশেরই ছিল তৃতীয় স্তরের ক্যানসার। দৈবচয়নের ভিত্তিতে রোগীদের মধ্যে ৪৪৫ জনকে একটি নিয়মিত শরীরচর্চা কর্মসূচিতে নেওয়া হয়। বাকি ৪৪৪ জনকে শুধু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনসংক্রান্ত একটি ছোট বই (বুকলেট) দেওয়া হয়।
শরীরচর্চা দলে থাকা রোগীরা প্রথম দিকে মাসে দুবার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের সঙ্গে কোচিং সেশন ও তাঁদের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম সেশন করতেন। পরে তা মাসে একবার কমিয়ে আনা হয়। এই প্রক্রিয়া মোট তিন বছর চলে।
আরও পড়ুনচিকিৎসায় নতুন ওষুধের পরীক্ষা, ক্যানসার ফিরে আসার সময় বাড়ছে দ্বিগুণ৩১ মে ২০২৫শরীরচর্চা দলের রোগীদের নির্ধারিত ব্যায়ামের লক্ষ্য পূরণে কোচিং ও মানসিক সহায়তা দেওয়া হতো। তাঁদের সাপ্তাহিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল সপ্তাহে তিন থেকে চারবার, প্রতিবার ৪৫ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটার সমান শারীরিক কার্যক্রম করা। তবে তাঁরা তা কীভাবে করবেন, সেটি নিজেরাই বেছে নিতে পারতেন। এসব ব্যক্তির কেউ কেউ নদী বা হ্রদে ছোট নৌকা চালিয়েছেন (কায়াকিং) আর কেউ কেউ বরফে ঢাকা পাহাড় বা সমতলে পা-জোড়া স্কি পরে দৌড়েছেন (স্কিইং)।
পাঁচ বছর পর দেখা যায়, শরীরচর্চা করা রোগীদের মধ্যে পুরোনো বা নতুন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অন্য দলের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে গেছে। আট বছর পর তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি কমেছে ৩৭ শতাংশ।
গবেষণা দলের প্রধান গবেষক ও কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটির ক্রিস্টোফার বুথ বলেন, ‘সার্জারি ও কেমোথেরাপি সম্পন্ন করার পরও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের কোলন ক্যানসার রোগীদের প্রায় ৩০ শতাংশের রোগ শেষ পর্যন্ত পুনরায় ফিরে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগীরা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন করেন, ‘আমি আর কী করতে পারি, যাতে (চিকিৎসার) ফলাফল আরও ভালো হয়?’
এই গবেষণার ফলাফল আমাদের এখন একটি স্পষ্ট উত্তর দিচ্ছে জানিয়ে ক্রিস্টোফার বুথ বলেন, ‘একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকসহ একটি নিয়মিত শরীরচর্চা কর্মসূচি ক্যানসার পুনরাবৃত্তি বা নতুন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, আপনাকে আরও ভালো অনুভব করায় এবং দীর্ঘায়ু লাভে সহায়তা করে।’
ক্যানসার রিসার্চ ইউকের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা অধ্যাপক চার্লস সুয়ান্টন বলেন, ‘এই চমকপ্রদ গবেষণাটি শরীরচর্চার শক্তিকে তুলে ধরে, যা মানুষের স্বাস্থ্য পরিবর্তন করতে এবং চিকিৎসার পর ক্যানসার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। ওষুধ না হলেও শরীরচর্চা রোগীদের জন্য অসাধারণ উপকার নিয়ে আসে।’ এই অধ্যাপক কিছুটা সতর্ক করে বলেন, ‘কিন্তু এটা মনে রাখা জরুরি যে শরীরচর্চা সবার জন্য সবচেয়ে সেরা বিকল্প না–ও হতে পারে। আমার পরামর্শ হবে, ক্যানসার রোগীরা নতুন কোনো শারীরিক কার্যক্রম শুরু করার আগে অবশ্যই তাঁদের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
বান্দরবানের থানচি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে এই হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুরো হাসপাতাল চালাচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। গত পাঁচবছরে চিকিৎসাধীন ও রেফার্ড করা ২৪ জন রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে ৩১ শয্যার থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যাত্রা শুরু করে। পরে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন। তাদের মধ্যে একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন। এ কারণে রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ১৮ জন নার্স পদে রয়েছেন মাত্র চারজন। চারজন মিডওয়াইফ থাকার কথা, নেই একজনও।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে পাগলা ঘোড়ার কামড়ে আহত ২০
বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লেন কাদের সিদ্দিকী
প্রাথমিক থেকে শুরু করে জরুরি চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ছুটে যান পাহাড়ি ও বাঙালিরা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা যোগ হয়নি। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।
দুর্গম এলাকার রোগীরা অনেক সময় নদীপথ কিংবা পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে এলেও কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা পান না। বরং তাদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অনেক সময় বান্দরবানে যাওয়ার পথে রোগীরা মারা যান। এ কারণে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাসপাতালের পরিসংখ্যানবীদ পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখানে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৯৮ জন রোগী। এর মধ্যে ৪৫৬ জনকে রেফার্ড করা হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মংক্যসিং মারমা বলেন, “২০১৯ সালে চাকরিতে যোগদান করার পর থেকে অন্তত সাতজন রেফার্ড করা রোগী মাঝপথে আমার গাড়িতেই মারা গেছেন।”
শৈসাই মং মারমা তিন বছর আগে বিনা চিকিৎসায় তার মাকে মারা যেতে দেখেছেন। তিনি জানান, তার মা শৈমেপ্রু মারমা (৩৪) অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। রেমাক্রী বাজার থেকে নদীপথে থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ভাড়া গাড়িতে জেলা হাসপাতালে যাওয়ার সময় চিম্বুক বারো মাইল এলাকায় তার মা মারা যান।
লেংরু ম্রো নামে চার সন্তানের মা হারিয়েছেন স্বামীকে। তিনি জানান, তার স্বামী রেং য়ুং ম্রো (৪৫) কিডনি জটিলতা নিয়ে থানচি হাসপাতালে যান। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার মাঝপথে মারা যান তার স্বামী।
স্থানীয় বাসিন্দা মংমে মারমা বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসক, ওষুধ ও যন্ত্রপাতির সংকট দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বদলি হলেও অনেকেই থানচিতে যোগ দেন না, ডিপুটেশনে থেকে যান সদর হাসপাতালে। ফলে এ অঞ্চলের পাহাড়ি ও বাঙালি প্রায় ৩০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”
রিয়েং ম্রো নামে অপর বাসিন্দা বলেন, “পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশ গরিব। জেলা সদর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া ব্যয়বহুল ও কষ্টকর। রেমাক্রি, বড় মোদক, তিন্দু থেকে থানচি সদরে রোগী আনতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর আবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে রেফার্ড করলে সাধারণ মানুষ কীভাবে চিকিৎসা করাবে?”
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “বর্তমানে হাসপাতালে আমিসহ দুইজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন। তিন রোগীদের সেবা দিতে পারছেন না। ফলে পুরো হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “জনবল ও সরঞ্জাম সংকটের কারণে গুরুতর রোগীদের রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। দীর্ঘ পথের কারণে অনেকেই জীবিত অবস্থায় সদর হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেন না।”
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “শুধু বান্দরবান নয়, পুরো তিন পার্বত্য জেলাতেই চিকিৎসক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন করে ৪৮তম বিসিএসের ডাক্তার পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত এই সংকট পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আট-দশজন চিকিৎসককে বান্দরবানে বদলি করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
ঢাকা/মাসুদ