হুট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো বিজ্ঞাপন দেখে বা কোনো ফরোয়ার্ড লিঙ্ক বা মেসেজ থেকে কোনো অ্যাপ কখনও ডাউনলোড না করাই শ্রেয়।

অপরিচিত কোনো অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোডের সময়ে ভালো করে যাচাই করে নিন, ডাউনলোডে কোন কোন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কোনো তথ্য, যেমন– ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড নম্বর, ব্যাংক তথ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এমন সব তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। অ্যাপ ডাউনলোডের আগে তার রিভিউ যাচাই করে নেবেন। এর আগে গ্রাহক অ্যাপটি সম্পর্কে কী রেটিং করেছেন, খারাপ কোনো দিকের কথা উল্লেখ করেছেন কিনা, তা জানা জরুরি।

অ্যাপ নির্মাতা সংস্থার প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পরই তা ইনস্টলের চেষ্টা করবেন। নিজের স্মার্টফোনে নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, দেখে নেবেন। ম্যালিশিয়াস অ্যাপ ডাউনলোডের আগে অবশ্যই সতর্কবার্তা দৃশ্যমান হবে।

হরহামেশা প্রতারক চক্র অনেকাংশে হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামে গ্রুপ তৈরি করে নতুন কাজের সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিশেষ অ্যাপ ডাউনলোডের অনুরোধ করে। ওই ধরনের কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন বিশ্লেষকরা।

কম বিনিয়োগে বেশি মুনাফার প্রলোভন দিয়ে অনেকে ঋণ ঘরানার অ্যাপ ডাউনলোডে উৎসাহিত করে। বুদ্ধি বিবেচনায় এ ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড থেকে বিরত থাকবেন। অনেকে আবার কোনো পরিষেবার ছুতোয় রিমোট অ্যাপ ডাউনলোডের প্রলুব্ধ করে। এসব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য প ড উনল ড র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপনে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৩৩তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়’-এর মিশন স্থাপন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের’ একটি পরিপূরক প্রটোকল হলো এর ঐচ্ছিক প্রটোকল, যা জাতিসংঘের আওতাধীন। প্রটোকলটি ২০০২ সালে গৃহীত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরও জোরদার করা।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের এই মূল কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়। সম্প্রতি, জাতিসংঘের ‘নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশনের ঐচ্ছিক প্রটোকল’-এ বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মালয়েশিয়ার জোহর বাহরু’তে বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। 

এছাড়া ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। 

অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা ও জলাবদ্ধতার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করা হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা বন্যা ও পরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে বক্তব্য দেন। উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজার এর নকশা চূড়ান্তকরণ, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্তকরণ ও নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীকে অবহিত করা হয়। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে উল্লিখিত তিন জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে থেকে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ