লাখো তরুণের স্বপ্ন ভালো চাকরি পাওয়া। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণে প্রথম ধাপ সিভি তৈরিতেই সমস্যায় পড়েন অনেকে। চাকরিতে আবেদনের জন্য ভালো সিভি তৈরি করা প্রয়োজন। অনেকেই জানেন না, দৃষ্টিনন্দন সিভি কীভাবে তৈরি হয়। আবার যারা জানেন, তারা প্রায়ই সঠিক গঠন বা বর্তমান চাকরির বাজারের মান অনুযায়ী সিভি তৈরি করতে পারেন না। অনেকে ইংরেজিতে দুর্বল, আবার কেউ কেউ দামি সিভি পরিষেবা বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন না। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাবে কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি থেকে যায় অধরা।
অনেক ক্ষেত্রে ভালো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মানহীন সিভির কারণে অনেকের চাকরির সুযোগ হয়ে যায় হাতছাড়া।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহজলভ্যতা অনেক কাজের মতো সিভি লেখাতেও পরিবর্তন এনেছে। চ্যাটজিপিটি, ডিপসিকের মতো এআই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহজেই সিভির কনটেন্ট তৈরি করা যায়। সঠিক নির্দেশ দিলে বা ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের সঙ্গে কথা বললেই সিভির লেখা তৈরি হয়ে যায়; করা যায় ইচ্ছামতো ডিজাইন। এ জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। অনলাইনে পাওয়া যাবে ক্যানভা, অ্যানহ্যান সিভিসহ বেশ কিছু অনলাইন সিভি টুলস। এমন সব প্ল্যাটফর্মে সিভি তৈরি করতে হলে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হয়। অন্যদিকে, সিভিকে আকর্ষণীয় করতে প্রয়োজন হয় কিছুটা ডিজাইন দক্ষতার। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এআই ফিচার যুক্ত করে সময় বাঁচাতে সক্ষম হলেও ইংরেজিতে অদক্ষ গ্রাহকের জন্য এখনও খুব কাজে আসেনি এসব প্ল্যাটফর্ম। ইতোমধ্যে মেশিন লার্নিং চ্যাটবটভিত্তিক সিভি বিল্ডার নিয়ে এসেছে প্রবাসে চাকরিপ্রার্থীদের অভিবাসন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘আমি প্রবাসী’।
এই অ্যাপের সিভি বিল্ডারে চ্যাটবটের বাংলায় করা প্রশ্নোত্তর দিয়ে সহজেই মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটে আধুনিক ও চাকরি বুঝে মানসম্মত সিভি তৈরি করা সম্ভব। অ্যাপে বানানো সিভি পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড করে চাইলে সংরক্ষণ বা শেয়ার করা যায়। পরিষেবাটি পাওয়া যাবে বিনামূল্যে।
টুলটি দেশের তরুণদের ভেতর যারা প্রযুক্তিতে খুব বেশি দক্ষ নন বা বিদেশে কাজ খুঁজছেন, তাদের জন্য বিশেষ সহায়ক। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক আগ্রহী এটি ব্যবহার করেছেন, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর। চাকরিপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। তালিকায় আছেন ইঞ্জিনিয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। সহজ ও ব্যবহারবান্ধব প্রযুক্তি শুধু সময় সাশ্রয় করছে না, তৈরি করছে কর্মজীবনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং ও ডিজিটাল টুলস ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করলে দেশের তরুণরা ভবিষ্যৎ বিশ্ববাজারে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সংসার জীবনে ৩৩ বছর পার করে আসিফের উপলব্ধি
প্রেম, বিয়ে আর সংসার জীবনের দিনগুলো সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরকে স্মৃতিকাতর করে তোলে। দীর্ঘদিন প্রেমের পর মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করেন ভালোবাসার মানুষকে। দিনটি ছিল ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই। আজ ১০ জুলাই তাদের বিয়ের ৩৩ বছর পূর্ণ হলো।
বিশেষ এই দিনে এক আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন আসিফ আকবর। আসিফ লিখেছেন, ‘১০ জুলাই, ১৯৯২। এক থেকে দুই, দুই থেকে পাঁচ। মাঝখানে তেত্রিশ বছর। বড় বৌমা এসেছে, ছোট বৌ’মার শুভ আগমনের অপেক্ষায় আছি। ৯২ সালে ওয়েদার ঠিক এমনই ছিল, দু'জন ছোট মানুষ সংসারী হই ভালবেসে।’
আসিফ লিখেছেন, ‘চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জ এসেছে। সামনের দিকে তাকিয়ে পিছু হটেছি, আবার এগিয়ে গিয়েছি। বেগম সালমা আসিফের অসাধারণ সাহস, ত্যাগ, ধৈর্য্য আর শক্তিশালী ভালবাসা এই সংসারের মূলমন্ত্র।’
শেষে লিখেছেন, ‘আমি ক্যাজ্যুয়াল ছিলাম আগেও, এখনো আছি। এলোমেলো সময়ও পার করেছি, আমার মেয়ে আইদাহ্ এসে সব রাস্তার গন্তব্য সেটল্ করে দিয়েছে। ১৯৯২ থেকে ২০২৫ সাল, এইতো সেদিনের কথা। বেগম সালমা আসিফকে ধন্যবাদ, বিয়ে বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্ থাকুন, সুন্দর থাকুন। ভালবাসা অবিরাম।’
আসিফ যখন জনপ্রিয় হননি তখনই তার প্রেমে পড়েছিলেন সালমা। আসিফ ছিলেন ক্রিকেটার। যার খেলার ভক্ত ছিলেন প্রেমিকা।
এক সাক্ষাৎকারে আগে জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিচয়টা আরও অনেক আগে। সেই সময় আসিফের খেলার একমাত্র মেয়ে দর্শক ছিলেন সালমা মিতু। ১৯৯০ সালে তাঁদের প্রেম চূড়ান্ত রূপ নেয়। এর মধ্যে কিছু অঘটনও ঘটে। সেসব তোয়াক্কা না করেই জুলাই মাসের ৮ তারিখ বিকেল পাঁচটায় অজানা এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হন তাঁরা। দুই দিন পরে তাঁরা বিয়ে করেন।