‎আওয়ামী লীগ ক্যাডার ইয়াসিন গং কর্তৃক জোরপূর্বক মদিনা পেপার স্টোর নামক দোকান দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ই জুন) দুপুরে নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় ভুক্তভোগী সানজিদা আক্তারের ভাই জহির আহাম্মেদ সোহেল এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

‎‎লিখিত বক্তব্যে ‎মোঃ জহির আহাম্মেদ (সোহেল) উল্লেখ করেন, বিগত ২০০৫ইং সালে সাব ক্যাবলা দলিল মুলে খরিদ করে, আমার বোন জামাই মারা যাওয়ায় তার এতিম দুই সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করে।

এই সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসী ইয়াসিন গং এর সাথে আমার বোনের সাদা কাগজে কোনো চুক্তি না থাকা শর্তেও স্বৈরাচারী দোসরদের প্রভাব খাটিয়ে যাহা ইতিমধ্যে (সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে) জোর পূর্বক দখল করে আমার বোন এর বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী রায়ের পায়তারা করে।

পরবর্তীতে আপিল আদালত দেওয়ানী আপিল মোকাদাম্মা নং ২৬৭/২২ মূলে বিগত ১৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে আমার বোন সানজিদা আক্তার এর পক্ষে রায় দেয় আদালত।

ইয়াসিন গং আপিল আদালতের রায় এর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মোকাদ্দমা দায়ের করে, আমার বোন হাইকোর্ট এর আদেশ এর বিরুদ্ধে মহামান্য আপিল বিভাগের এর আদালত ৮ (আট) সপ্তাহের জন্য ঝঃধু দেন। সন্ত্রাসী ইয়াসিন গং দের কোনো মামলা না থাকায় আমি বিগত ২৬/০৫/২৫ইং তারিখে তাদের দোকান ছেড়ে দিতে বলি। সন্ত্রাসী ইয়াসিন গং আমার কাছে ৭ (সাত) দিনের সময় চায় দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এই সাত দিন তারা বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে, তাদের বৈধতা না থাকায় সকল তদবির তাদের বিফলে যায়।

‎‎পরিশেষে ৩০/০৫/২০২৫ ইং তারিখে কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে আমার বড় ভাই এর মিশনপাড়া অফিস এ আসে ঐ সময় আমার বড় ভাই আমাকে ফোন করে অফিস এ আসতে বলে বিষয়টি জানার জন্য। আমি বিষয়টি সবার সামনে জানালে ইয়াসিন গং কে আমার বড় ভাই বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলে।

তাৎক্ষণিক তারা সবার সামনে ২৫ লক্ষ টাকা ও মামলা বাবদ যতো টাকা খরচ করেছে তা দাবি করে। তাদের দাবি পূরণ করলে সে দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবার সামনে সম্মতি প্রদান করে। আমার বড় ভাই তখন ৩১/০৫/২০২৫ ইং শনিবার সকাল ১০ টায় ঐ সকল গন্যমান্য বক্তি সহ বৈধ কাগজ নিয়ে আসতে বলে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। 

পরবর্তীতে শনিবার সকাল ১২ টা পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করি কিন্তু তারা কেউ আসে না, এমতাবস্থায় তাদেরকে ০১/০৬/২০২৫ ইং তারিখ রবিবার আমি এবং আমার তিন জন বন্ধু মিলে মদিনা পেপার স্টোর এ আসলে ইয়াসিন গং কেন আসে নাই, বিষয়টি জানতে চাইলে আমাকে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে এবং ইয়াসিন গং আসে পাশের দোকান থেকে হাতুড়ি এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা করলে আমি বাম হাত দিয়ে তা প্রতিহত করলে তাতে আমার বাম হাতে আঘাত পায় এবং পরবর্তীতে আমি ডাক্তার এর শরণাপন্ন হলে আমাকে ডাক্তার মেডিসিন ও বাম হাত এক্স করার জন্য বলে।

‎‎প্রশাসনের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, আমার বোন যাতে করে ইয়াসিন গং দ্বারা কোন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা বা জোর করতে না পারে আমি প্রতিকারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আম র ব ন র জন য ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা

মানবেন্দ্র নারায়ণ (এম এন) লারমাই দেশে প্রথম আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে বৈজ্ঞানিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি প্রথম দেশে কাঠামোগতভাবে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে স্পষ্ট করেন। একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এন লারমার ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

‘বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৮৬ম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন কমিটি’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, ১৯৫৫-৬৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ‘বাইনারি বিভাজন’ পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশে সরকার। ‘বাইনারি’ মনস্তত্ত্বকে এখনো এই দেশে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এম এন লারমা ‘বাঙালি হেজিমনি’র বিরুদ্ধে আত্মপরিচয়ের বয়ান বাঁচিয়ে রাখতে তৎকালে জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন।

জেএসএসের কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, কাপ্তাই বাঁধ না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই ছাত্র এম এন লারমার প্রতিবাদী জীবন শুরু হয়। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, এম এন লারমা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালেই এসব বিষয় নিয়ে জোরালো বক্তব্য দিয়েছিলেন।

দীপায়ন খীসা বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন বা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কখনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে সংলাপ করেনি। আমরাও এই দেশের অংশ। তাহলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের কেন কোনো সংলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো না?’ তিনি বলেন, চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদেরও অংশীদারত্ব আছে। কিন্তু অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে তাদেরই ভুলে গেল এই সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাঙালি হয়ে যাও’ কথাটার পেছনে বাঙালি মুসলিমদের জাত্যভিমানের ব্যাপারটি রয়েছে। এম এন লারমা বাংলাদেশের মধ্যে থেকে নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক শান্তিময় চাকমার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের অর্থ সম্পাদক মেইনথিন প্রমীলা, সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা।

অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এম এন লারমাকে সম্মান জানিয়ে কবিতা পাঠের মাধ্যমে। কবিতা পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেই চাকমা ও লাল নিকিম বম। কবিতা আবৃত্তির পর এম এন লারমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়া চাকমা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হিরণ মিত্র চাকমা, জেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তিদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতিআগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন টিআইবির
  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • ডাকসুর ব্যালট পেপারে ২ ভোট নিয়ে যা বলছে নির্বাচন কমিশন
  • নরসিংদীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি স্থগিত
  • দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা: দক্ষিণ এশিয়ায় জেন–জি বিপ্লবের পরবর্তী নিশানা কে
  • গাজায় পাগলের মতো বোমা ফেলছে ইসরায়েল
  • ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
  • দেশে বহুত্ববাদী রাষ্ট্রের ধারণা দিয়েছিলেন এম এন লারমা
  • ফতুল্লায় প্রতারণা করে ১৫ লাখ টাকার রড নিলো প্রতারক চক্র, কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ৩