টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নানা আয়োজনে সাজিয়েছে ঈদুল আজহার অনুষ্ঠানমালা। ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নাটক-টেলিফিল্ম। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের দিন যেসব নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হবে তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।
মাছরাঙা টেলিভিশন
বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঘ্রাণ। রচনা ও পরিচালনা: মাসরিকুল আলম। অভিনয়ে: অপূর্ব, নাজনীন নিহা প্রমুখ। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: শ^শুরের বিয়ে। রচনা: আল আমিন স্বপন। পরিচালনা: তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে: শরাফ আহমেদ জীবন, নাদিয়া মীম, আশরাফ সুপ্ত, মিহি আহসান প্রমুখ। রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: মনে পড়ে তোমাকে। রচনা: আহমেদ তাওকীর। পরিচালনা: হাসান রেজাউল। অভিনয়ে: ইয়াশ রোহান, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। রাত ৯টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: থ্রি ইডিয়টস। রচনা: অনামিকা মন্ডল। পরিচালনা: ইমরান হাওলাদার। অভিনয়ে: মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা নাদিয়া প্রমুখ। রাত ১০টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: আশিকি। রচনা: পারভেজ ইমাম। পরিচালনা: ইমরোজ শাওন। অভিনয়ে: জোভান, নাজনীন নিহা প্রমুখ। রাত সাড়ে ১১টায় প্রচার হবে টেলিফিল্ম: হৃদয়ের কথা। রচনা ও পরিচালনা: জাহিদুল ইসলাম সুজন। অভিনয়ে: তৌসিফ, তটিনী প্রমুখ।
এনটিভি
দুপুর আড়াইটায় প্রচার হবে টেলিফিল্ম: একটি পুরানো ছবি। রচনা: ফারিয়া হোসেন। পরিচালনা: চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয়ে: আবু হুরায়রা তানভীর, সামিরা খান মাহি, সাদিয়া ইসলাম মৌ, সমু চৌধুরী প্রমুখ। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও। রচনা ও পরিচালনা: মোহন আহমেদ। অভিনয়ে: সাইদুর রহমান পাভেল, চাষী আলম, ইশকিয়াক আহমেদ রুমেল, সালহা খানম নাদিয়া, ফাহমিদা বন্যা, পামির, জারা নূর, শেলী আহসান প্রমুখ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: কোটিপতি। রচনা: জায়েদ জুলহাস। পরিচালনা: বর্ণ নাথ। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুুমাইয়া হিমি, মাসুম বাশার প্রমুখ। রাত ৯টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ডাকাইতের দল। রচনা: আল আমিন স্বপন। পরিচালনা: তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, সাদ্দাম, রোবেনা রেজা জুঁই প্রমুখ। রাত ১১টায় প্রচার হবে একক নাটক: আবেগ। রচনা: রিয়াজুল আলম শাওন। পরিচালনা: তুহিন হোসেন। অভিনয়ে: ফারহান আহমেদ জোভান, আইশা খান প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
‘তাণ্ডব’ এর সংবাদ সম্মেলনে কে কী বললেন?
ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত
এটিএন বাংলা
সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঠিক বেঠিক। পরিচালনা: হামেদ হাসান নোমান। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি, চিত্রলেখ গুহ, মাসুম বাশার। রাত ৭টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ভাঙ্গা আয়নার গল্প। পরিচালনা: মিশুক মিঠু। অভিনয়ে: তৌসিফ মাহবুব, তানজিন তিশা। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: পিঞ্জর। পরিচালনা: আদিব হাসান। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি, তানিয়া বৃষ্টি, মাসুম বাশার। রাত ১১টায় প্রচার হবে টেলিফিল্ম: কোটি টাকার চেয়ারম্যান। পরিচালনা: মিতুল খান। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি।
চ্যানেল আই
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে টেলিফিল্ম: চাঁদের হাট। রচনা ও পরিচালনা: কে এম সোহাগ রানা। অভিনয়ে: তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, মুনিরা মিঠু, ড.
দীপ্ত টিভি
সন্ধ্যা ৭টায় প্রচার হবে একক নাটক: স্বামীর সুখ মনে মনে। পরিচালনা: শামীম জামান। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, মীম চৌধুরী, শামীম জামান। রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: বাবলার জাদুর বাক্স। পরিচালনা: মারুফ হোসেন সজীব। অভিনয়ে: খায়রুল বাসার, প্রিয়ন্তী উর্বী। রাত ৯টায় প্রচার হবে তুর্কি ধারাবাহিক নাটক: গুড ডক্টর। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: ওই পাড়া থেকে সাবধান, পরিচালনা: শামীম জামান, অভিনয়: শামীম জামান, ইশানা, আ খ ম হাসান, আল মনসুর, চিত্রলেখা গুহ, আহসানুল হক মিনু, স্বাগতা, প্রাণ রায়। রাত ১০টায় প্রচার হবে একক নাটক: ভালোবাসি তোমায়, পরিচালনা: এ বি শুভ, অভিনয়: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, নীলাঞ্জনা নীল।
আরটিভি
সন্ধ্যা ৭টায় প্রচার হবে একক নাটক: সানগ্লাস ফ্যামিলি। রচনা: জুয়েল এলিন। পরিচালনা: জাকিউল ইসলাম রিপন। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: লেডি জমজ। রচনা ও পরিচালনায়: আদিবাসী মিজান। অভিনয়ে: মানসি প্রকৃতি, তন্ময়া সোহেল, আশরাফুল আলম সোহাগ প্রমুখ। রাত ৯টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: মুশকিল আসান কোম্পানি। রচনা: মশিউর রহমান। পরিচালনা: সহিদ উন নবী। অভিনয়ে: শামীম হাসান সরকার, চাষী আলম, তানজিম হাসান অনিক, আনিকা কবীর শখ প্রমুখ। রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে একক নাটক: মিস্টার নেগেটিভ। রচনা ও পরিচালনা: হামেদ হাসান নোমান। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। রাত ১১টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: কন্টেন্ট অব দ্য ইয়ার। রচনা: পাপ্পু রাজ। পরিচালনা: মেহেদী রনি। অভিনয়ে: যাহের আলভী, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, তানজিম হাসান অনিক, ইফফাত আরা তিথি প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ধ র ব হ ক ন টক আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরো পড়ুন:
কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল
জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত
লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, “২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।”
“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”
তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ