জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঈদের চার দিনে সাড়ে তিন লাখ দর্শনার্থীর সমাগম
Published: 10th, June 2025 GMT
এবার ঈদুল আজহার চার দিনে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে গেছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ দর্শনার্থী।
জাতীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন ৭ জুন (শনিবার) চিড়িয়াখানায় প্রায় ৩৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়। ঈদের পরদিন চিড়িয়াখানা ঘুরতে আসেন প্রায় এক লাখ মানুষ। ঈদের ছুটির মধ্যে এখন পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী এসেছেন গতকাল সোমবার (৯ জুন)। সেদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শনার্থী এসেছিলেন চিড়িয়াখানায়। আজ মঙ্গলবার প্রায় ৮০ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন।
প্রতিবছরই ঈদের সময় রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় চিড়িয়াখানায়। তবে ঈদুল ফিতরে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী বেশি হয়। গত ঈদুল ফিতরের প্রথম চার দিনে প্রায় পাঁচ লাখ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন।
আরও পড়ুনভোঁদড়, কানিবক, হরিণ, বানরের চঞ্চলতায় খুশি দর্শনার্থীরা০৯ জুন ২০২৫বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর দুই ঈদের সময় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সমাগম বেড়ে যায়। আগামী শুক্রবারও প্রচুর দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। সাধারণত প্রতি রোববার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকে। তবে ঈদের ছুটির কারণে গত রোববার খোলা ছিল। আগামী রোববার চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুনভালুকটি বারবার বেড়া ধরে দাঁড়াচ্ছিল, আবার সরে যাচ্ছিল০৮ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্নমত
ইসরায়েল গত সপ্তাহে ইরানে নজিরবিহীন হামলা শুরুর সময় দাবি করেছিল, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে। যেকোনো সময় এ অস্ত্র তৈরি করে ফেলবে তারা। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকাতেই দেশটিতে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
তবে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মতো অবস্থায় নেই। শুধু তাই নয়, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে তেহরানের অন্তত তিন বছর লাগবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এসব তথ্য দিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ট্রাম্প প্রশাসনের চারজন কর্মকর্তা।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে। যদি তারা একটি (পারমাণবিক অস্ত্র) তৈরি করতে চায়, তাহলে এর জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই তাদের কাছে রয়েছে।
সেই চার কর্মকর্তার একজনের মতে, ইরানে টানা পাঁচ দিন ধরে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর মার্কিন গোয়েন্দারা এখন ধারণা করছেন, ইসরায়েল সম্ভবত ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতাকে মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়ে দিতে পেরেছে।
অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে হয়। এ জন্য দরকার পড়ে সেন্ট্রিফিউজের। ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় সেই সেন্ট্রিফিউজ আছে। ইসরায়েলের হামলায় নাতাঞ্জের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু দেশটির সুরক্ষিত আরেকটি পারমাণবিক স্থাপনা ফরদো এখনো অক্ষত।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় অস্ত্র না দিলে ও আকাশপথে হামলা চালাতে সহায়তা না করলে ফরদোর ক্ষতি করার মতো সক্ষমতা ইসরায়েলের নেই।
ইরানের ফরদো পারমাণবিক কেন্দ্র