একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওঠা মাদক সেবনের অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালনের সময় মাস্ক কি সত্যিই মাদক নিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আমার মনে হয় না। আশা করি, না।’

এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর (মাস্কের) সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আমি তাঁর মঙ্গল কামনা করি।’ সম্প্রতি তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিলেও, মাস্কের মাদক গ্রহণ-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে এটিই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে সবচেয়ে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া।

মাস্কের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালনকালে মাদক সেবনের অভিযোগ তোলে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তারা জানায়, ২০২৪ সালে ট্রাম্পের প্রচারাভিযানে অংশ নেওয়ার সময় কেটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুমের মতো মাদক গ্রহণ করেছেন মাস্ক। সূত্রের বরাতে বলা হয়, গত বছর মাদকের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তিনি। এমনকি প্রতিদিন একটি মেডিসিন বক্স সঙ্গে নিয়ে যেতেন তিনি। যাতে প্রায় ২০টি ওষুধ থাকত। এর মধ্যে কিছু ছিল অ্যাডেরাল নামক উত্তেজক ওষুধের চিহ্নযুক্ত।

তবে মাস্ক এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পরিষ্কার করে বলছি, আমি মাদক নিচ্ছি না! নিউইয়র্ক টাইমস পুরোপুরি মিথ্যা বলেছে। তিনি আরও বলেন, আমি কয়েক বছর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কেটামিন ব্যবহার করেছিলাম এবং সেটা আমি এক্সে জানিয়েছি। এটি কোনো নতুন খবর নয়। এটা আমাকে মানসিক অন্ধকার থেকে বের হতে সাহায্য করেছিল, তবে এর পর আমি আর তা নিইনি।

এর আগে মাস্ক নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি ‘নেগেটিভ ফ্রেম অব মাইন্ড’ থেকে বের হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে কেটামিন নিয়েছিলেন এবং এই মাদক সেবনের ফলে তাঁর কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক কর ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরে সঙ্গী হচ্ছেন ফখরুল, তাহেরসহ চার রাজনীতিবিদ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন চারজন রাজনীতিবিদ। তাঁরা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মহাসচিব আখতার হোসাইন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরের বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দেশের বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে চারজন রাজনীতিবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন প্রধান উপদেষ্টা। ২২ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক পৌঁছাবেন। তিনি দেশে ফিরবেন ২ অক্টোবর।

২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ দেবেন জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বিগত এক বছরে দেশে ঘটে যাওয়া সংস্কার ও আগামী দিনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ বছরের অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিস ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এমন একটি উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন এবারই প্রথম। এই উচ্চ পর্যায়ের সভা থেকে যেন রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের একটি কার্যকর পরিকল্পনা উঠে আসে, সেজন্য আন্তর্জাতিক অংশীদার ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গত মাসে কক্সবাজারে একটি অংশীদার সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফর ২২ সেপ্টেম্বর, সঙ্গী মির্জা ফখরুলসহ চার রাজনীতিক
  • প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফরে সঙ্গী হচ্ছেন ফখরুল, তাহেরসহ চার রাজনীতিবিদ
  • নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মামলা করবেন ট্রাম্প
  • ইসরায়েলি বন্ডে আর বিনিয়োগ নয়—ঘোষণা দিলেন জোহরান মামদানি