প্রতিষ্ঠা করতে হবে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা: আখতার হোসেন
Published: 11th, June 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, “দেশে যেন ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে, সে জন্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। আগামীতে যে দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তারা যেন কখনো জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াতে না পারে। জনগণের মতামতের মূল্যায়ন থাকা বাঞ্ছনীয়।”
তিনি বলেন, “শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব শ্রেণিপেশার মানুষ এখন এনসিপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সব ধরনের সেবা। প্রশাসন হবে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। সেই রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যেই কাজ করে যাচ্ছে এনসিপি।”
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা শহরে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরো পড়ুন:
আগামী দিনের রাজনীতি হবে জনতার: আখতার হোসেন
দৃশ্যমান সংস্কার হলে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনে দ্বিমত নেই: সারজিস
আখতার হোসেন বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর জুলুম করেছে। তারা খুন, গুম ও নির্যাতন করেছিল। সেই অন্ধকার থেকে মুক্তির জন্য ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।”
সুষ্ঠু ধারার ভোটের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করে অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের অধিকার আদায়ে কাজ করার কথা জানান তিনি।
পীরগাছা উপজেলা কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আগত এনসিপির কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পারুল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত থেকে এনসিপির আদর্শের সাথে ঐক্যমত ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন এবং আগমী দিনে রংপুর-৪ আসনে আখতার হোসেনকে সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট আখত র হ স ন এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া নির্বাচন করবেন: মিন্টু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, “নির্বাচনে ফেনীর ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন। নির্বাচন নিয়ে ফেনীতে কোনো চিন্তা নেই।”
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “লন্ডনে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই যে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে, দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় তার আগেও নির্বাচন হয়ে যেতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে একটি মামলা চলমান আছে। যদি কেয়ারটেকার সরকার পুনঃপ্রবর্তন হয়, তাহলে এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেয়ারটেকার হবে না। কেয়ারটেকার সরকারে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলা আছে।”
আরো পড়ুন:
প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের তালিকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকলে ভালো কাজ করবে না, উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, “বিগত ১৯ বছর আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। কেউ যদি বলে, আমরা হঠাৎ করে নির্বাচন চাচ্ছি, বিষয়টি সঠিক নয়। বরং, ২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে, তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না। তাই, আমরা চাচ্ছি নির্বাচন হোক।”
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা আরো বলেন, “আমরা বলে আসছি, ২০০৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেটি অবাধ ও সুষ্ঠ হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে দেশে কোনো নির্বাচনকালীন সরকার নেই। দুই যুগ ধরে যদি নির্বাচিত সরকার না থাকে, তাহলে মানুষের অর্থনৈতিক বা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে না। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত থাকে একটি সরকার, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে।”
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/রফিক