সোনারগাঁয়ে রাস্তার পাশ থেকে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ওলামানগর বারগাঁও এলাকা থেকে রতন মিয়া (৪০) নামে ওই ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নিহত রতন উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সেনপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি একটি ওয়ার্কশপে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ওলামানগর বারগাঁও এলাকার রাস্তার পাশে গতকাল মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা এক ব্যক্তির লাশ পরে থাকতে দেখে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এলাকাবাসী জানায় অন্য কোথাও হত্যার পর লাশটি ওখানে ফেলে যেতে পারে দুর্বৃত্তরা।

সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান জানান, নিহত রতন একজন মাদকাসক্ত ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় আগামী ১ আগষ্ট। দীর্ঘ ২৪ বছর পরে অবশেষে আলোচিত এই মামলাটির বিচার কাজ শেষ হতে যাচ্ছে।

২০০১ সালের ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। সেদিন নিহত হয়েছিল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পী, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সাবেক জিএস আকতার হোসেন ও তার ভাই সঙ্গীত শিল্পী মোশাররফ হোসেন মশু, সঙ্গীত শিল্পী নজরুল ইসলাম বাচ্চু, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের তৎকালীন যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ভাসানী, নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ বি এম নজরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইদুর রহমান সবুজ মোল্লা, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পলি বেগম, ছাত্রলীগ কর্মী স্বপন দাসসহ ২০ জন।

নৃশংস এ বোমা হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এক যুগ পরে ২০১৩ সালে ৬জনকে অভিযুক্ত ও ৩১জনকে অব্যাহতি প্রদান করে চার্জশীটটি দাখিল করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।

অভিযুক্ত ৬জন হলেন সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান (ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর), জঙ্গী নেতা ওবায়দুল্লাহ রহমান, ভারতের দিল্লী কারাগারে আটক সহোদর আনিসুল মোরসালিন, মুহিবুল মুত্তাকিন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এর ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু।

দু’টি মামলায় ১৩৮ জনকে সাক্ষী করা হলেও গত ১২ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও চলেছে অনেক ঢিমেতালে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার করা নিয়ে সদিচ্ছার অভাব ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতিতে হওয়ায় নিহত ও আহতদের স্বজনরাও ছিলেন চরম হতাশ।

মামলাটির বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, বিগত সরকারের আমলে মামলাটির বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রিতা ছিল।

আলোচিত এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। আশা করছি আগামী ১ আগস্ট মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন আদালত। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজে চুরি
  • নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত 
  • নারায়ণগঞ্জে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার 
  • নারায়ণগঞ্জে নালায় পড়ে ছিল তরুণের বস্তাবন্দী লাশ
  • জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • ফতুল্লায় জুস ফ্যাক্টরিতে যৌথবাহিনীর অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
  • জাতীয় যুবশক্তি'র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
  • চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট 
  • চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে বর্বরোচিত বোমা হামলার রায় ১ আগষ্ট