Samakal:
2025-10-03@04:05:28 GMT

স্বপ্ন না সম্ভাবনা

Published: 21st, June 2025 GMT

স্বপ্ন না সম্ভাবনা

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী আর সমুদ্রবেষ্টিত এই নগরী যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ, তেমনি দিনে দিনে সেই সৌন্দর্য আজ হুমকির মুখে। পরিবেশের অন্যতম প্রধান শত্রু হয়ে উঠেছে প্লাস্টিকদূষণ।
প্লাস্টিক এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ– খাবার প্যাকেট, পানির বোতল, বাজারের ব্যাগ সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার। সাগর, নদী, খাল প্রকৃতির প্রতিটি অংশেই এখন প্লাস্টিকের আবর্জনার স্তূপ। চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)-এর তথ্যমতে, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৯ মিলিয়ন থেকে ২৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জলজ পরিবেশে প্রবেশ করে, যা নদী, হ্রদ ও সমুদ্রকে ভয়াবহভাবে দূষিত করছে। এটি শুধু বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যই নষ্ট করছে না; বরং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রকৃতির সক্ষমতাকেও দুর্বল করছে। এ দূষণ লাখো মানুষের জীবিকা, খাদ্যনিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। চট্টগ্রাম শহরের বাস্তবতা আরও উদ্বেগজনক। বহদ্দারহাট থেকে নিউমার্কেট, ফিরিঙ্গি বাজার থেকে পতেঙ্গা– সবখানেই চোখে পড়ে ফেলে রাখা প্লাস্টিক বোতল, শপিং ব্যাগ, চিপসের প্যাকেটসহ সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিক। 
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তথ্যমতে, প্রতিদিন এ শহরে গড়ে প্রায় তিন হাজার টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুসারে, এর মধ্যে প্রতিদিন প্রায় ২৪৯ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়, যার মধ্যে প্রায় ১৪০ টন সরাসরি ড্রেন, খাল ও নদীতে মিশে যায়। এর ফলে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং কর্ণফুলী নদীর পলিথিন ও প্লাস্টিক স্তর ড্রেজিংয়ের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
২০০২ সালের ১ মার্চ বাংলাদেশ সরকার পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর ২০১০ সালে আরেকটি আইন করা হলেও বাস্তব প্রয়োগ ছিল দুর্বল। কিছু অভিযানে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হলেও, বেশির ভাগ উদ্যোগই ছিল ক্ষণস্থায়ী ও অসংগঠিত। চসিকও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন গঠনে সফল হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকল্পনা ও নাগরিক অংশগ্রহণের অভাবেই এসব উদ্যোগ টিকছে না। 
এ হতাশার মধ্যেও কিছু আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালে চসিক, ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও ইপসার মধ্যে গঠিত ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শুরু হয় একটি উদ্ভাবনী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগ। চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ডে এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
এ পর্যন্ত শহরের মোট বর্জ্যের প্রায় ১০ শতাংশের সমান বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সংগ্রাহক এই উদ্যোগের মাধ্যমে সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় এসেছেন। এক হাজার ৮২৭ জন কর্মীর জন্য চালু করা হয়েছে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স প্রোগ্রাম, যার আওতায় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা এবং চিকিৎসা, ডাক্তার ফি ও ওষুধ খরচের সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সচেতনতা তৈরিতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ১৫ হাজার পরিবার এবং ৭১টি স্কুলের সাত হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসস্থলেই বর্জ্য আলাদা করার বিষয়ে প্রচার চালানো হয়েছে।
ইউএনইপি-এর নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসেন বলেন, ‘শুধু পুনর্ব্যবহারযোগ্য করলেই চলবে না; আমাদের দরকার কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তর।’ চসিক, ইউনিলিভার ও ইপসা এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই কাজ করছে– একটি সার্কুলার ইকোনমি মডেল গড়ে তুলতে, যেখানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন সম্ভাবনা, সম্মান এবং জীবিকার সুযোগ। প্লাস্টিকদূষণ মোকাবিলায় শুধু সরকার বা সিটি করপোরেশন নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরের একযোগে কাজ জরুরি। সুতরাং প্রশ্নটা শুধু স্বপ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়– চট্টগ্রামকে প্লাস্টিকমুক্ত করা সম্ভব, যদি নাগরিক, প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় থাকে। সঠিক পরিকল্পনা, সদিচ্ছা ও ধারাবাহিক প্রয়োগ থাকলে এই স্বপ্ন একদিন বাস্তবে ধরা দেবে।
একটি প্লাস্টিকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, পরিবেশবান্ধব চট্টগ্রাম শুধু শহরবাসীর গর্ব নয়, বরং সমগ্র জাতিরই অহংকার হয়ে উঠতে পারে। প্রশ্ন হলো– আমরা কি সবাই মিলে সেই পরিবর্তনের অংশ হতে প্রস্তুত? 

শেষ বর্ষ
সাংবাদিকতা বিভাগ 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবহ র পর ব শ বর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

মনোযোগ জুলাই সনদে, আছে নির্বাচনী ঐক্যের চিন্তাও

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বড় দলগুলো যখন মুখোমুখি অবস্থানে, গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৯টি দল তখন এর সমাধান খুঁজতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে আটটি দলের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের বাইরে অন্য তিন দলও আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দলের শীর্ষ নেতা ইতিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে একটা ঐকমত্যে আসা যায় কি না, সে বিষয়টির ওপরই মূল মনোযোগ থাকছে এসব আলোচনায়। তবে দলগুলোর এ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক সম্ভাব্য মেরুকরণসহ নানা সমীকরণ নিয়ে পারস্পরিক ধারণা বিনিময় হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে নির্বাচনী ঐক্যের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা চলছে।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর হাতিরপুলের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্ট—এই পাঁচটি দলের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক হয়। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর একই স্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দলের বাইরে অন্য তিন দলও আলোচনা এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দলের শীর্ষ নেতা ইতিমধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন।

জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্যের লক্ষ্যে আলোচনা হলেও সেখানে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের সম্ভাব্য রাজনৈতিক মেরুকরণ নিয়ে আলোচনা হয় বলে বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক বৃহত্তর সমঝোতা নিয়েও নিজেদের চিন্তাভাবনা একে অপরকে জানিয়েছে দলগুলো।

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এই আলোচনা সমন্বয় করছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য তৈরির ওপরই আলোচনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ এবং আরও বৃহত্তর আসন সমঝোতা—দুটি ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্র মঞ্চ ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবে। তবে নির্বাচনের আগে এটা ঠিক কী রূপ নেবে, তা কিছুদিন পরে পরিষ্কার হবে।’

জোট বা সমঝোতা নিয়ে চিন্তা

গণতন্ত্র মঞ্চে ছয়টি দল রয়েছে—গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জেএসডি ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি। মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন দলের বৈঠকে সংস্কারের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক সমঝোতা বা জোট নিয়েও কথা হচ্ছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক বিষয়ে এখনো সংগঠিত আলোচনা না হলেও বিভিন্ন দল এ বিষয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।

গত ১৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বরের দুটি বৈঠকে অংশ নেওয়া চারটি দলের নেতারা জানিয়েছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর সঙ্গে তাঁরা বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতায় যেতে আগ্রহী। তবে কী বক্তব্য বা লক্ষ্য সামনে রেখে এটা হবে, তা নিয়ে আরও আলোচনা হবে।

অবশ্য নির্বাচনী জোট বা সমঝোতা প্রশ্নে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়ে দ্বিতীয় দফার বিভিন্ন দলের আপত্তি আছে।

নির্বাচনী জোট সম্প্রসারণ এবং আরও বৃহত্তর আসন সমঝোতা—দুটি ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্র মঞ্চ ঐকমত্য কমিশনে আলোচনায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করবে। তবে নির্বাচনের আগে এটা ঠিক কী রূপ নেবে, তা কিছুদিন পরে পরিষ্কার হবে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

এ বিষয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবি পার্টি, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ দক্ষিণপন্থী চিন্তায় আচ্ছন্ন। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার সুযোগ নেই। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে বৃহত্তর মঞ্চে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের আছে। কারণ, তারা আমাদের সমমনা।’

গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুশতাক হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সবাই চাইবে আগামী নির্বাচনটা যেন সুনির্দিষ্ট বক্তব্যের ভিত্তিতে হয়। সংস্কার প্রস্তাবে যারা যারা একমত, তারা একসঙ্গে নির্বাচন করলে জনগণের ম্যান্ডেট পেতে সুবিধা হবে। তবে নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত বৈঠকি আলাপ হয়েছে, সংগঠিত কিছু হয়নি।

এবি পার্টি, এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদ দক্ষিণপন্থী চিন্তায় আচ্ছন্ন। তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার সুযোগ নেই। তবে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে বৃহত্তর মঞ্চে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের আছে। কারণ, তারা আমাদের সমমনা।সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনবিএনপি–জামায়াতের সঙ্গেও আলোচনার চেষ্টা

গত ১৮ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে তিন দলের যে বৈঠক হয়, সেখান থেকে সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ও গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে।

এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সিপিবি–বাসদসহ বামপন্থী পাঁচটি দলের সঙ্গে হাতিরপুলে বৈঠক করে গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় দল। এই বৈঠকে এনসিপি, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের কেউ ছিলেন না।

অন্যদিকে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের সঙ্গে তাঁরা বসার চেষ্টা করছেন।

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাঁদের এই যোগাযোগও ‘৯ দলের উদ্যোগের’ অংশ বলে জানিয়েছেন মজিবুর রহমান। গত বুধবার সন্ধ্যায় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আলোচনায় অগ্রগতি আছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আলোচনায়। এটি হয়ে গেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনএবার সিপিবি, বাসদসহ বামপন্থী ৫ দলের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ