ইরানি সিনেমার কবি আব্বাস কিয়ারোস্তামি মুমিত আল রশিদ
Published: 22nd, June 2025 GMT
আব্বাস কিয়ারোস্তামি—আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ নামগুলোর একটি। একাধারে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, কবি, চিত্রনাট্যকার, চিত্রগ্রাহক ও আলোকচিত্রী। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২২ জুন শুভ্র তুষারের বুনো সৌন্দর্যের আলবোরর্জ পর্বতমালার পাদদেশে গ্রীষ্মের প্রথম দিনে তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন। দার্শনিক কবি ওমর খৈয়াম পরবর্তী পাশ্চাত্যে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়—কিয়ারোস্তামি।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দে রাজধানী তেহরানে ৩৫তম আন্তর্জাতিক ফজর চলচ্চিত্র উৎসবে কিয়ারোস্তামির ৭৫তম জন্মজয়ন্তীকে কেন্দ্র করে উৎসব থিম হিসেবে ‘বন্ধুর বসত এখানে’ (খনে দুস্ত ইনজাস্ত) চিত্তাকর্ষক বাক্যটি ব্যবহার করে। আয়োজক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য ছিল কিয়ারোস্তামির ‘খনে দুস্ত কোজাস্ত?’ (Where Is the Friend’s House? ১৯৮৭ খ্রি.
ইরানি চলচ্চিত্রের মহান কবি আশির দশকের শেষভাগে নির্মাণ করেন বিশ্ববিখ্যাত অমর চলচ্চিত্র খনে দুস্ত কোজাস্ত। এর মাধ্যমে শুধু নিজেরই নন, বিশ্ব দরবারে ইরানি চলচ্চিত্রেরও কদর বাড়িয়ে দেন বহুগুণ। সিনেমাটি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দারুণ সাড়া ফেলে। বিশ্বের তরুণ পরিচালকদের মধ্যে তুমুল আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। ইরানের সিনেমার পথচলাও শুরু হয় নতুনভাবে।
আব্বাস কিয়ারোস্তামি আবারও তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন ক্লোজ আপ বা নামায়ে নাজদিক (১৯৯০ খ্রি.) ও মাশক্বে শাব (Homework, ১৯৮৯ খ্রি.) সিনেমা দিয়ে। এ দুটো চলচ্চিত্র প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের আঙিনায়ও তাঁর অনন্য দক্ষতার প্রমাণ বহন করে। চলচ্চিত্র দুটোর বিষয়বস্তুর দিকে তাকালে আমরা দেখব, এতে ফারসি সাহিত্যের অনন্য বৈশিষ্ট্যের একটি দিক ‘রেভায়াত পারদাজি’র সফল প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে। রেভায়াত পারদাজি বলতে বোঝায়—গল্পের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ছকে কথা বলা, লেখা, গান, সিনেমা, টেলিভিশনের কোনো কাজ, কম্পিউটার গেম, আলোকচিত্র, থিয়েটার বা কোনো সিকোয়েন্সে সংঘটিত গল্প অথবা অনাগত ভবিষ্যতের কাল্পনিক কোনো গল্প যা এখনো সংঘটিত হয়নি—এ রকম কিছু। আব্বাস কিয়ারোস্তামি উপর্যুক্ত দুটি চলচ্চিত্রের মধ্যে রেভায়াত পারদাজির অত্যন্ত সফল চিত্রায়ণ করেছেন। তাঁর ক্লোজ আপ চলচ্চিত্র বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছে—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও সিনেমা-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অপরিহার্য একটি বিষয় হিসেবেও স্থান করে নিয়েছে।
এই চলচ্চিত্র ফ্রান্সের বিখ্যাত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকার, লেখক ও কবি ক্রিস মার্কার ও স্পেনের চলচ্চিত্রকার লুইস বুনুয়েল এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকারের নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রের মতো দর্শকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়—নিগূঢ় সত্য কী? বা বস্তুনিষ্ঠ বিষয় কী? অবশ্য সব বাস্তবতা, যুক্তি-দলিল, আধুনিকতার বিবেচনা আমাদের শেষ পর্যন্ত এই ফলাফলে পৌঁছতে সাহায্য করে যে, বিষয়বস্তু হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসের কোন দিকটি ভয়ংকর? বিশ্বাস কি প্রশান্তি দেয়? কোনো মুক্তি বা উপহারের বার্তা দেয়?
অন্যদিকে আব্বাস কিয়ারোস্তামি তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র হয়্যার ইজ দ্য ফ্রেন্ড’স হাউস চলচ্চিত্রের ধারাবাহিকতায় প্রায় কাছাকাছি গল্পে নির্মাণ করেন মাশক্বে শাব। ‘আভভালি হা’ ও ‘খনে দুস্ত কোজাস্ত’ চলচ্চিত্র দুটি নির্মাণের মাধ্যমে শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণে নতুন দিগন্তের সূচনা করেন কিয়ারোস্তামি। বিশেষ করে, খনে দুস্ত কোজাস্ত নির্মাণ করে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে প্রচুর প্রশংসা ও পুরস্কার অর্জন করেন। গ্রামের সহজ-সরল শিশুদের চিন্তার সুপ্ত বিকাশমান ধারা, একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা, উদার দৃষ্টিভঙ্গি, কষ্টসহিষ্ণু জীবনধারা, নির্লোভ জীবনের সবুজ শ্যামল প্রকৃতি দেশকাল ভেদ করে চলচ্চিত্রটির প্রতি দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। উল্লেখ্য, এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের নজির যদিও পূর্বে ছিল না, কিন্তু ‘ইয়েক ইত্তেফাক্বে ছদেহ’ (A Simple Event, ১৯৭৪ খ্রি.) চলচ্চিত্রে ছোট্ট শিশুটির কাস্পিয়ান সাগর-তীরবর্তী এলাকা থেকে মাছের থলে কাঁধে নিয়ে দৌড়ানোর দৃশ্য দেখে, স্কুলের কাজ দেখে, মায়ের প্রতি কর্তব্যবোধ দেখে অনেকেই হয়তো আব্বাস কিয়ারোস্তামির হয়্যার ইজ দ্য ফ্রেন্ড’স হাউস?-এর নায়ক আহমাদের সহপাঠী বন্ধু নেয়ামতযাদেহর কর্তব্যবোধের কারণে বারবার পাহাড়ের একপাশের গ্রাম থেকে অন্যপাশের গ্রামে দৌড়ে ছুটে যাওয়ার কথা স্মরণ করতে পারেন। শুধু কি তাই? ছোট্ট মনের আকুতি-মিনতির এই পার্থিব অর্থকে অনেক বিজ্ঞ চলচ্চিত্র সমালোচক ইহজাগতিক তৃষ্ণা থেকে পরমাত্মার যাত্রার কথাই ইঙ্গিত করেছেন।
হয়্যার ইজ দ্য ফ্রেন্ড’স হাউস চলচ্চিত্রের নামটি ইরানের কবি সোহরাব সেপেহরির (জন্ম ১৯২৮ খ্রি.- মৃত্যু ১৯৮০ খ্রি.) বিখ্যাত কবিতা ‘খনে দুস্ত কোজাস্ত?’ থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পর লেখক বেহরুজ তাজুর দাবি করেন যে, সিনেমার গল্পটি তাঁর ছোট গল্প ‘চেরা খানম মোআল্লেম গেরিয়ে কার্দ?’ (নারী শিক্ষক কেন কান্না করেছেন?) থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিয়ারোস্তামি প্রদর্শনীর সময় সিনেমার গল্পটি বেহরুজের গল্প থেকে নেওয়া হয়নি বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
সিনেমার পটভূমি, লোকেশন, কলাকুশলী নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আব্বাস কিয়ারোস্তামিকে যিনি সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিয়েছেন, সেই কিউমারছ পুর আহমাদি চমকপ্রদ কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিউমারছ পুর আহমাদি পরবর্তীকালে সিনেমা ও টেলিভিশন মাধ্যমে ইরানিদের মাঝে মাজিদ নামের নস্টালজিক চরিত্রের রূপায়ণ ঘটিয়েছিলেন। তিনি হয়্যার ইজ দ্য ফ্রেন্ড’স হাউস চলচ্চিত্রের বিহাইন্ড দ্য সিনের বাস্তবচিত্র অঙ্কন করেছিলেন, যা খনে দুস্ত কোজাস্ত নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়। এই সময়ে কিয়ারোস্তামি জেন্দেগি ভা দিগার হিচ (Life, and Nothing More, ১৯৯২ খ্রি.) ও জিরে দেরাখ্তনে জেইতুন (Through the Olive Trees, ১৯৯৪ খ্রি.) নামে আরও দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। দুটি চলচ্চিত্রই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে সকলের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়। বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো হয়্যার ইজ মাই ফ্রেন্ড’স হোম চলচ্চিত্রের পর এই দুইটি চলচ্চিত্রও নির্মিত হয় গিলান প্রদেশে।
৭০-এর দশকের পূর্বে ইরানের শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র যেভাবে যাত্রা শুরু করেছিল, বিপ্লবের পরেও তা অব্যাহত ছিল। এ সময় অসাধারণ সব চলচ্চিত্রকারের আগমন ঘটে। শিশু ও কিশোরদের জন্য অসাধারণ সব চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। এক্ষেত্রে যিনি বিশ্ব চলচ্চিত্র-অঙ্গনে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন, তিনি হচ্ছেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। তাঁর আরেকটি বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র হচ্ছে তামে গিলা’ছ (Taste of Cherry, ১৯৯৭ খ্রি.)। চলচ্চিত্রটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য হিসেবেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সিনেমাগুলোর মধ্যে—জিরে দেরাখতে যেইতুন (Through the Olive Trees, ১৯৯৪ খ্রি.) মেছলে ইয়েক আ’শেক্ব (Like Someone in Love ২০১২ খ্রি.) উল্লেখযোগ্য।
আব্বাস কিয়ারোস্তামি ততদিনে ইরান ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন চলচ্চিত্রকার। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী প্রশংসার জোয়ারে ভাসছিল। এই সময়ে নির্মাণ তিনি করেন বদ ‘ম রা খহাদ বোর্দ’ (The Wind Will Carry Us, ১৯৯৯ খ্রি.), ‘তামে গিলাছ’ (Taste of Cherry, ১৯৯৭ খ্রি.), ‘এবিছি আফ্রিকা’ (ABC Africa, ২০০১ খ্রি.) ও ‘দাহ’ (Ten, ২০০২ খ্রি.)। টেস্ট অফ চেরি এর মধ্যে সবচাইতে দেদীপ্যমান সিনেমা, যেটির মাধ্যমে কিয়ারোস্তামি আবারও বিশ্বজোড়া আলোচিত হন। আব্বাস কিয়ারোস্তামি ফ্রান্স-ইতালিতে নির্মিত ‘কপি বরাবর আছলি’ (Certified Copy, ২০১০ খ্রি.) নিয়ে ২০১০ সালে কান উৎসবে অংশগ্রহণ করেন এবং চলচ্চিত্রটির নায়িকা জুলিয়েট বিনোশ সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। এই সিনেমাটির মাধ্যমে একটি যুগের অবসান হয়।
আব্বাস কিয়ারোস্তামিও বিশ্বখ্যাত গায়ক জিম মরিসন, ঔপন্যাসিক অস্কার ওয়াইল্ড, ভিক্টর হুগো, দার্শনিক রুশোর মতো— প্যারিসকে অন্তিম যাত্রার জন্য বেছে নেন। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৪ জুলাই প্যারিসেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরও তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোয় ইরানি চলচ্চিত্রের বিস্তৃত এক বেলাভূমির সৌন্দর্য প্রতিনিয়ত সারা বিশ্বের দর্শক, সমালোচক, চলচ্চিত্রপ্রেমীরা অবগাহন করছেন। ৮৫তম জন্মদিনে তেহরানের অদূরে লাভাসানের ছোট্ট মফস্বল শহরে ঘুমিয়ে থাকা এ মহান শিল্পীর প্রতি একরাশ মুগ্ধতা আর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র ন র ম র চলচ চ ত র ত চলচ চ ত র চলচ চ ত র র ন র ম ণ কর ণ কর ন ব শ বব
এছাড়াও পড়ুন:
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডির পর আইপিএলের শিরোপা-উৎসবের জন্য নিয়ম বেঁধে দিল বিসিসিআই
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল শিরোপা উদ্যাপন ঘিরে বেঙ্গালুরুতে ঘটে গেছে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলায় পদদলনের ঘটনায় মারা গেছেন ১১ জন। আর তাতে নড়ে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আইপিএলের শিরোপা উদ্যাপনে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে দলটি।
বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছে, ‘বোর্ড বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ঝুঁকির দিক বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।’
শুরুতে বিসিসিআই এ ঘটনার দায় নিতে অস্বীকার করলেও পরে তারা তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি ভবিষ্যতের জন্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা তৈরি ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে। উদ্যাপনে নতুন কিছু নিয়মও করতে যাচ্ছে তারা। সেই নিয়ম কী কী?
* শিরোপা জয়ের ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে কোনো উদ্যাপন করা যাবে না* হুটহাট ও তাড়াহুড়া করে কোনো আয়োজন নয়, যাতে বিশৃঙ্খলা এড়ানো যায়
* বিসিসিআইয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো ইভেন্ট আয়োজন করা যাবে না
* বোর্ডের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো উদ্যাপন নয়
* ৪ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা বাধ্যতামূলক
* প্রতিটি ভেন্যু ও যাতায়াতপথে মাল্টিলেয়ার নিরাপত্তা টিম রাখতে হবে
* দলের বিমানবন্দর থেকে ইভেন্ট ভেন্যু পর্যন্ত চলাচলের সময় সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
* খেলোয়াড় ও স্টাফদের জন্য ইভেন্টজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
*জেলা পুলিশ, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে
* সিটি করপোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আনুষ্ঠানিক ছাড়পত্র ছাড়া কোনো আয়োজন করা যাবে নাআরও পড়ুনওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে গেলেন বুমরা২ ঘণ্টা আগে
৪ জুন বেঙ্গালুরুতে শিরোপা নিয়ে ফেরে আরসিবি। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গে দেখা করে দলটি। পরে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভক্তদের জন্য আয়োজন হয় সংবর্ধনার।
যদিও ট্রাফিক পুলিশ বাস প্যারেডের অনুমতি দেয়নি, তবু ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজের মতো করে ঘোষণা দেয়। প্যারেড বাতিল হলেও সন্ধ্যার আগেই স্টেডিয়ামের আশপাশে ভিড় করেন দুই লাখের বেশি ভক্ত। ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি ভিড় সামলাতে না পেরে ঘটে ভয়ানক পদদলন।
এ ঘটনায় আরসিবির মার্কেটিং প্রধান ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন। নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুনবিনি সুতোর মালায় গাঁথা তাঁরা তিনজন, সেই ‘মালা’ ২২ জুন ২২ জুন ২০২৩