রাজধানীর চানখাঁরপুলে শিক্ষার্থী আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার পলাতক হাবিবুর রহমানসহ চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ রোববার বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। তবে কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে পরে জানাবেন ট্রাইব্যুনাল।

এদিন এই মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করেন  ট্রাইব্যুনাল। এ সময় এই মামলার চার আসামি হাজির ছিলেন। 
এরা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি অপারেশন মো.

আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলাম। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লালমাইয়ে পাল্টাপাল্টি জিডি প্রকৌশলী ও সাংবাদিকের

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক গতকাল শনিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আজ রোববার বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুটি জিডির তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার। এ ছাড়া তাঁদেরও পরামর্শ দিয়েছি, নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলার জন্য।’

দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বিকেলে আমিসহ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন দেখতে যাই। সেখানে দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ আটটি কক্ষের দরজায় এলজিইডি লেখা দেখতে পাই। পরে সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজের কাছে জানতে চাই, তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কেউ কক্ষ ভাগ করে (বরাদ্দ) দিয়েছেন কি না? এ প্রশ্ন শুনেই উপজেলা প্রকৌশলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; বলতে থাকেন, “আমি কক্ষ বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব, এই ভবন আমাদের। আমি ঠিক করব কে কোথায় বসবে।’”

মাসুদ রানার দাবি, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। পরে তিনি ওই দিন রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি শুনেছেন, সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীও তাঁর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. সাবরীন মাহফুজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (মাসুদ) হঠাৎ এসে আমাকে উদ্দেশ্যমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এরপরও আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে মাসুদ সাহেব আমার অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। আমি তাঁকে বারবার বলেছি, আপনি আমার অনুমতি ছাড়া এভাবে ভিডিও করতে পারেন না। কিন্তু তিনি ভিডিও করেই গেছেন। আমি একজন নারী অফিসার, নিরাপত্তারও একটি বিষয় থাকে। পরে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানালেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি।’

আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী থানায় যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ