বিকাশ অ্যাপে এখন ডিপিএসে জমানো যাবে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা
Published: 24th, June 2025 GMT
গ্রাহকদের জন্য মাসিক ডিজিটাল সঞ্চয় বা সেভিংস সেবার পরিধি আরও বাড়িয়েছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এর ফলে এখন থেকে বিকাশ অ্যাপের গ্রাহকেরা ২০ হাজার টাকা কিস্তিতে গ্রাহক সঞ্চয়ী আমানত বা ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) খুলতে পারবেন। আগে এটি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছিল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিকাশ। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সে ২০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তিতে ডিপিএস খোলা যাবে। এর মেয়াদ হবে ছয় মাস।
বিকাশের ডিজিটাল সেভিংস বা সঞ্চয়ী সেবা কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মাধ্যমে মাসিক ভিত্তিতে ডিপিএস সেবা চালু হয়। পরবর্তী সময়ে চারটি ব্যাংক এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়। আর বিকাশ অ্যাপে সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবা চালু হয় ২০২৪ সালের শুরুতে। এ ছাড়া ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে সঞ্চয়ের জন্য সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবাও চালু করেছে বিকাশ। সেবাটি চালু হওয়ার পর বিকাশের গ্রাহকেরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখের বেশি ডিপিএস হিসাব খুলেছেন।
এত দিন ধরনভেদে ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমাতে পারতেন গ্রাহকেরা। এখন এই সীমা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে ২০ হাজার টাকা সঞ্চয়ের মেয়াদ ৬ মাস। বিকাশ জানিয়েছে, যাঁরা নিকট ভবিষ্যতে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে চান, তাঁদের জন্য বেশ কার্যকর ছয় মাস মেয়াদি এই ডিপিএস।
ডিপিএস খোলার পদ্ধতি
নতুন ডিপিএস খুলতে গ্রাহকের বিকাশ হিসাবে প্রয়োজনীয় অর্থ রেখে অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর ‘নতুন সেভিংস খুলুন’ অপশনে ক্লিক করে এগোতে হবে। এ পর্যায়ে সেভিংসের ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে এবং সেভিংসের মেয়াদ ছয় মাস বাছাই করে প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক, তা নির্বাচন করতে হবে। গ্রাহকেরা ২ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার বা ২০ হাজার টাকার ডিপিএস খুলতে পারবেন।
পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স অথবা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর নমিনি–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডিপিএসের বিস্তারিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে।
সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএসের আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। তখন বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ ফিরতি বার্তা। উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপ থেকে যেকোনো গ্রাহক একাধিক ডিপিএস খুলতে পারেন।
প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএসের টাকা কেটে নেওয়া হয়। ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেলে সুদ বা মুনাফাসহ মূল টাকা চলে আসবে গ্রাহকের বিকাশ হিসাবে। এই টাকা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশআউট করা যায়। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তির আগেই সঞ্চয় সেবা বন্ধ করতে পারবেন গ্রাহকেরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ২০ হ জ র ট ক ড প এস খ ল গ র হক র ড প এস র আর থ ক
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেকে ‘মুসলিম’ বলে ঘোষণা করেছেন আরিয়ান খান
রোমান্টিক, কমেডি, অ্যাকশন, সায়েন্স ফিকশন সব ঘরানার সিনেমার সফল নায়ক শাহরুখ খান। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করেছেনর হিন্দু ধর্মের অনুসারী গৌরী খানকে। ভালোবাসা আর পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিশ্বস্ততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এ দম্পতি।
এক সময় গৌরীকে পাওয়ার জন্য নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিতেন শাহরুখ। এই পরিচয়ে গৌরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাব জমাতেন তিনি। কিন্তু প্রেমে তিনি ছিলেন আধিপত্যবাদী। গৌরীকে খোলা চুলে দেখতে পারতেন না। গৌরী চুল খুলে রাখলেই তিনি রেগে যেতেন। সামান্য ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। গৌরী এক সময় এই সম্পর্ক ভেঙে দিতে চান। দুইজনের দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর শাহরুখ প্রেমের ধরণ পাল্টান। তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন, ‘মেয়েরা নম্র, ভদ্র, আর কিছুটা নারীসুলভ আচরণ পছন্দ করে।’ নিজেকে পাল্টে নেন শাহরুখ। গৌরী উপলব্ধি করেন, শাহরুখ তাকে অনেক ভালোবাসেন! কিন্তু শাহরুখের সঙ্গে গৌরীর বিয়ে নিয়ে আপত্তি তোলেন তার পরিবারের সদস্যরা। দুইজনের প্রেম তখনও চলছিলো। এরপর হিন্দু ধর্মমতে গৌরীর সঙ্গে শাহরুখকে বিয়ে দিতে রাজি হন গৌরীর বাবা-মা। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গৌরীকে উদ্দেশ্যে শাহরুখ বলে ওঠেন, ‘নামাজের সময় হয়েছে।’ শাহরুখের মুখে এ কথা শুনে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই।
দিল্লির সম্ভ্রান্ত এক ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে গৌরী শিবার হিন্দু ধর্ম পালন করেন, শাহরুখ পালন করেন মুসলিম ধর্ম। তিন দশকের বেশি সময় ধরে তাদের ভালোবাসায় ধর্ম বাধা হতে পারেনি।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের ঘড়ির মূল্য কারো এক জীবনের স্বপ্ন
‘শাহরুখকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের চেয়ে তাকে জানতে পারাটা সৌভাগ্যের’
তিন সন্তানের বাবা-মা তারা। সন্তানদের হিন্দু-মুসলিম হওয়ার বিষয়ে কোনো চাপ দেননি, ধর্ম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দিয়েছেন তারা।
শাহরুখ-গৌরীর বড় সন্তান আরিয়ান খানের ধর্ম কী?—এই বিষয়ে সম্প্রতি গৌরী জানিয়েছেন, ‘‘আরিয়ান খান ঘোষণা করেছে ও মুসলিম।’’
বলা যায়, বাবার ধর্মই বেছে নিয়েছেন আরিয়ান খান।
ঢাকা/লিপি