ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশ (ওসিবি) যৌথভাবে ‘ইকোসিস্টেম ইন অ্যাকশন: পাওয়ারিং ফিউচার বিল্ডারস’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

ইউনিলিভার জানিয়েছে, অরেঞ্জ কর্নারস বাংলাদেশের সহায়তা পাওয়া তরুণ উদ্যোক্তা, বেসরকারি খাত, সরকার, দূতাবাস এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা তরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও ব্যবসায় আরও সহায়তা ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ভবিষ্যতে বিনিয়োগ, পরামর্শ ও বাজারে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ গড়ে তোলার পরিকল্পনা দেন।

বিকাশের সিইও কামাল কাদীর এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন সাজিদা ফাউন্ডেশনের ইমপ্যাক্ট পার্টনার্স বিভাগের প্রধান সারা ইকবাল।

অন-ডিমান্ড রিসাইক্লিং সেবা, সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা, সহজে পচনশীল ফ্লেক্স ব্যানার, পরিবেশ পর্যবেক্ষণের যন্ত্র এবং হালকা ইলেকট্রিক যানবাহনের মতো নানা উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে এই তরুণ উদ্যোক্তারা সৃজনশীলতা ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে জরুরি সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি আরও টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল ভবিষ্যৎ গঠনে তাদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। অরেঞ্জ কর্নারসের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্ব একটি কৌশলগত বিনিয়োগ যা উদ্দেশ্যনির্ভর উদ্যোক্তাদের সহায়তা উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করছে।’

তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যবসাগুলো তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও দৃঢ় মনোভাবের বাস্তব উদাহরণ যা দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন। এই উদ্যোগগুলোর পেছনে বেসরকারি খাতের সক্রিয় ভূমিকা থাকা জরুরি।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ল ভ র ইউন ল ভ র ব অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়

কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী সমীক্ষার বরাত দিয়ে শনিবার প্রেস ট্রাস্প অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ। একই সময়ে, যেখানে চীনের পরে ১৫ কোটি ২০ লাখ।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এই রোগটি মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল। একই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কিডনি রোগে মারা গেছে।

উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই দুই অঞ্চলে ১৮ শতাংশ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার পরে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হিসাবে স্থান পেয়েছে।

গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জন্য ১৪টি ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক ও আইএইচএমই এর ইমেরিটাস অধ্যাপক থিও ভোস বলেছেন, “দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ স্বাস্থ্য ক্ষতির অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং এটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য রোগের বোঝা। তবুও, অন্যান্য অ-সংক্রামক রোগের তুলনায় এটি এখনো অনেক কম নীতিগত মনোযোগ পাচ্ছে, যদিও এর প্রভাব ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য বৈষম্যের মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ