সীতাকুণ্ডে এবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ তিন নেতার সদস্যপদ স্থগিত
Published: 7th, November 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদরসহ তিন নেতার সদস্যপদ স্থগিত করেছে বিএনপি। অন্য দুই নেতা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব কুরবান আলী।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও সংগঠনবিরোধী অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া তিন নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই।
আসলাম চৌধুরীর অনুসারী নেতাদের দাবি, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি তাঁর নেতৃত্বে একতাবদ্ধ। মনোনয়ন নিয়ে কিছু নেতার প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বিএনপি আসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বহিষ্কার করছে।
এর আগে ৪ নভেম্বর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো.
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ৩ নভেম্বর আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেই ঘটনার পরই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করছি। তিনি ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসও পেয়েছেন। হয়তো সেই কারণেই আমাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।’
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া অন্য নেতা মো. মোরসালিন বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে বিএনপি এখনো আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমি কোনো দলবিরোধী কাজ করিনি। মামলা–মোকদ্দমার ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্যই কাজ করছি। সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ দ ন দল র স র সদস উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে এবার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ তিন নেতার সদস্যপদ স্থগিত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদরসহ তিন নেতার সদস্যপদ স্থগিত করেছে বিএনপি। অন্য দুই নেতা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব কুরবান আলী।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও সংগঠনবিরোধী অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া তিন নেতা বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই।
আসলাম চৌধুরীর অনুসারী নেতাদের দাবি, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি তাঁর নেতৃত্বে একতাবদ্ধ। মনোনয়ন নিয়ে কিছু নেতার প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় বিএনপি আসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ নেতাদের বহিষ্কার করছে।
এর আগে ৪ নভেম্বর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. মামুন এবং সোনাইছড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন উদ্দিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ চারজনও আসলাম চৌধুরীর অনুসারী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ৩ নভেম্বর আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছিলেন। সেই ঘটনার পরই তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমল কদর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করছি। তিনি ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসও পেয়েছেন। হয়তো সেই কারণেই আমাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।’
সদস্যপদ স্থগিত হওয়া অন্য নেতা মো. মোরসালিন বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে বিএনপি এখনো আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমি কোনো দলবিরোধী কাজ করিনি। মামলা–মোকদ্দমার ঝুঁকি নিয়ে দলের জন্যই কাজ করছি। সদস্যপদ স্থগিতের বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করব।’