সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, ছাড় নয়: রকিবুল ইসলাম
Published: 24th, June 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, অস্ত্রবাজ ও চাঁদাবাজ- যে দলেরই হোক না কেন, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অতীতে বিএনপি সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে সরব ছিল, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে।
মঙ্গলবার খুলনা তেলিগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার সরকারের ওপর গুলিবর্ষণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর ফুলবাড়িগেট বাসস্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, দীপক কুমার আগেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেও পুলিশ প্রশাসন তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। দীপক কুমার হয়তো ভাবছেন তিনি হিন্দু বলে তার পক্ষে কেউ থাকবে না, বিচার পাবেন না, তিনি সংখ্যালঘু বলে সমাজে তার অবস্থান থাকবে না। কিন্তু না, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সংখ্যালঘু তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আমরা মনে করি, যার ধর্ম তার কাছে, কিন্তু আমরা সবাই বাংলাদেশি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান হোক বা মুসলমান হোক আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশি।
এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যদি খানজাহান আলী থানাসহ খুলনা নগরীর কোথাও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে প্রতিহত করব।
গুলিতে আহত শিক্ষক দীপক কুমার সরকার বলেন, চাঁদাবাজরা ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করলে আমি থানায় জিডি করি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেছে চাঁদাবাজরা। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, রেহানা ঈসা, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মুর্শিদ কামাল, মোহাম্মাদ আলী বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ল ইসল ম ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরে পৃথক এই কর্মসূচি পালিত হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের পাশে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে ভর্তি হয়ে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান ওরফে খুশি ও সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৫৫) নিহত হন।
আজ সকালে সুনামগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদর মোড়ে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এখানে ‘কথায় কথায় অবরোধ, এখন তোমার কোথায় বোধ’, ‘আর কত খুশি মরলে, প্রশাসনের টনক নড়বে’, ‘আমার বোন কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ফিটনেসবিহীন যান চলাচলে বাধা না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে সড়কে অবস্থান নিয়ে বেলা একটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন, জাকারিয়া নাইম, রাহাত আহমেদ, আশরাফ হোসেন; টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী হুমায়ুন আহমদ, শান্ত রায়, সুমাইয়া আক্তার, আমিন উদ্দিন, পূর্বা তালুকদার, তাহমিদা জাহান, বুশরা আক্তার প্রমুখ।
আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষে মেয়েকে তুলে দেন অটোরিকশায়, ১০ মিনিট পর পেলেন মৃত্যুর খবর১৮ ঘণ্টা আগেবক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে এখন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ প্রশাসন, পুলিশ উদাসীন। এই সড়কে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলে। অদক্ষ চালকেরা গাড়ি চালান। কিন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ তুচ্ছ কোনো কিছু অজুহাত পেলেই পরিবহনশ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকে মানুষকে ভোহান্তিতে ফেলেন। সড়কে এসব হত্যা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থী স্নেহা, আফসানার মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে একই দাবিতে মানববন্ধন করে বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এরপর একই স্থানে মানববন্ধন করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। এসব কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, নিহত শিক্ষার্থী আফসানা জাহানের মামা সাইফুল ইসলাম (ছদরুল), সাংবাদিক লতিফুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান পীর, শিক্ষক শাহিনা চৌধুরী, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ওবায়দুল হক, উন্নয়নকর্মী সালেহিন চৌধুরী, বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুল হাসান আতাহের, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্ণ বাবু দাস প্রমুখ।
আরও পড়ুনজন্মদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, ব্যাগে ছিল সহপাঠীদের দেওয়া উপহার৪ ঘণ্টা আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন। আজ দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে