এক জাহাজেই আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৬৮ কোটি টাকা
Published: 25th, June 2025 GMT
১২ জুন রাত তিনটার দিকে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলার ঠিক এক দিন পর ৩৪ হাজার ৬১৭ টন ডিজেল বোঝাই একটি জাহাজ মালয়েশিয়া থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায় ১৮ জুন। যুদ্ধের প্রভাবে ওই এক জাহাজেই জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা।
পৃথিবীতে জ্বালানি তেলের দরদামের ক্ষেত্রে মোটা দাগে দুটি বাজার রয়েছে—সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের জ্বালানি তেল আমদানি ও সরবরাহের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বা বিপিসি। সংস্থাটি সিঙ্গাপুরের বাজারদরে তেল কেনে। দাম নির্ধারণ করা হয় সিঙ্গাপুরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘প্ল্যাটস’-এর দর অনুযায়ী। যেদিন বিপিসির জন্য জাহাজে তেল ভর্তি (লোড) করা হয়, তার দুই দিন আগের দাম, সেই দিনের দাম ও তার পরের দুই দিনের দাম—মোট পাঁচ দিনের দাম গড় করে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম পরিশোধ করে বিপিসি।
বিপিসি সূত্র জানায়, ১৩ জুন এমটি পিভিটি আভিরাতে ৩৪ হাজার ৬১৭ টন পরিশোধিত ডিজেল ভর্তি (লোড) করা হয়। ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন এ তেল সরবরাহ করেছে। চট্টগ্রামে জাহাজটি এসে পৌঁছায় ১৮ জুন। ২২ জুন জাহাজ থেকে সব তেল খালাস করা হয়। জাহাজটি যেদিন লোড হয় (১৩ জুন), সেদিন থেকেই ডিজেলের দাম বাড়তে থাকে।
প্ল্যাটসের দর অনুযায়ী, ১১ জুন ডিজেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেলে ৭৯ দশমিক ২৪ মার্কিন ডলার, ১২ জুন ৮১ দশমিক ৩৭ ডলার। সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই দাম এক লাফে ৪ ডলার বেড়ে যায়। ১৩ জুন দাম পৌঁছায় ৮৫ ডলারে। এরপর ১৪ ও ১৫ জুন দাম প্রকাশিত হয়নি। তবে ১৬ জুন দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬ দশমিক ৭৮ ডলারে। আর ১৭ জুন ৮৬ দশমিক ৭৯ ডলারে প্রতি ব্যারেল ডিজেল বিক্রি হয়েছে।
সারা বিশ্বে তেলের দাম বাড়ছে। বিপিসিরও বাড়তি দামে তেল কিনতে হচ্ছে...সর্বশেষ যে জাহাজটি এসেছে, সেটিতে বাড়তি খরচ হয়েছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকাএ কে এম আজাদুর রহমান, পরিচালক, বিপিসি
বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পাঁচ দিনের দর গড় করে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম পড়েছে ৮৩ দশমিক ৮৪ ডলার। সেই হিসাবে ৩৪ হাজার ৬১৭ টন বা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৯ ব্যারেল ডিজেলের দাম পড়ে প্রায় ২ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৪ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা। সাধারণত তেল খালাসের এক মাসের মধ্যে এ দাম পরিশোধ করতে হয়।
তবে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ার আগে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম আরও কম ছিল। সংঘাত শুরুর আগে সর্বশেষ বিপিসির জন্য তেলবাহী জাহাজটি এসেছিল ৭ জুন। এমটি সিওয়েস টাইটান নামের জাহাজে ১০ হাজার ৮৬ টন ডিজেল লোড করা হয়েছিল ২ জুন। মালয়েশিয়া থেকে ডিজেল নিয়ে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে। ওই জাহাজে তেল সরবরাহ করেছে ইউনিপেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্ল্যাটসের দর অনুযায়ী, ২৯ মে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ ডলার, ৩০ মে ৭৫ দশমিক ৪১ ডলার, ৩১ ও ১ জুন দর প্রকাশিত হয়নি। তবে ২ জুন দাম ছিল ৭৬ দশমিক ৪৭ ডলার, ৩ জুন ৭৬ দশমিক ১২ ডলার ও ৪ জুন দাম ছিল ৭৭ দশমিক ৬০ ডলার। ফলে মোট পাঁচ দিনের গড় দরের ভিত্তিতে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম পড়েছিল ৭৬ দশমিক ৬৯ ডলার। তার মানে সংঘাতের কারণে ব্যারেলপ্রতি ডিজেলের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ১৫ ডলার।
বিপিসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, ১৮ জুন ডিজেল এসেছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৯ ব্যারেল। সংঘাত শুরুর আগে জাহাজটি এলে এই তেলের জন্য খরচ হতো ১৯৭ কোটি টাকা (প্রতি ব্যারেল ৭৬ দশমিক ৬৯ ডলার ধরে)। তবে সংঘাতের পর জাহাজে তেল লোড হওয়ায় খরচ হচ্ছে ২৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ যুদ্ধের কারণে এক জাহাজে ৬৮ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সারা বিশ্বে তেলের দাম বাড়ছে। বিপিসিরও বাড়তি দামে তেল কিনতে হচ্ছে। এই যেমন সংঘাত শুরুর আগে প্রতি ব্যারেল ডিজেলের দাম ছিল ৭৬ থেকে ৭৯ ডলারের মধ্যে। কিন্তু ১৩ জুন থেকেই ডিজেলের দাম বাড়তে থাকে। সর্বশেষ যে জাহাজটি এসেছে, সেটিতে বাড়তি খরচ হয়েছে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা।
তেলের দাম কত বাড়ছে
দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের মধ্যে বেশি চাহিদা ডিজেলের। কৃষি, শিল্প উৎপাদন ও পরিবহন খাতে এ তেল ব্যবহার হয়। তাই ডিজেলের দাম বাড়লে পণ্যের দামও বেড়ে যায়, বাড়ে জীবনযাত্রার ব্যয়। প্ল্যাটসের দাম বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা শুরুর আগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম ছিল। ১ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত তেলের দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৭৬ থেকে ৭৯ ডলারের মধ্যে। ১২ জুন গভীর রাতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে হামলা শুরু হয়। এর পরদিন থেকে ডিজেলের দাম বাড়তে থাকে। ১২ জুন ডিজেলের প্রতি ব্যারেলের দাম ছিল ৮১ দশমিক ৩৭ ডলার। এক দিনের ব্যবধানে এটি ৪ ডলার বেড়ে ১৩ জুন দাম দাঁড়ায় ৮৫ ডলারে। ১৬ জুন দাম আরও বেড়ে পৌঁছায় ৮৬ ডলারে, আর ১৯ জুন এই দাম উঠে ৯৩ দশমিক ৪১ ডলারে। ২০ জুনও দাম ৯৩ দশমিক ১৬ ডলার ছিল। ২১ ও ২২ জুন দর প্রকাশিত হয়নি। তবে এরপরই দাম কমতে থাকে। ২৩ জুন ডিজেলের দাম ছিল ৮৯ দশমিক ৮৮ ডলার। আর গতকাল মঙ্গলবার সেটি নেমে আসে ৮২ ডলারে। তবে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে প্রতি ব্যারেলে ১১ ডলার, অকটেন প্রতি ব্যারেলে ৯ ডলার, ফার্নেস তেল প্রতি টনে ৩৩ ডলার, মেরিন ফুয়েল প্রতি টনে ৫১ ডলার।
বিপিসির বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে জ্বালানি তেলের দাম আরও বাড়বে। ডিজেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০০ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে বিশ্ববাজার বিশ্লেষণ করে তাঁরা নতুন করে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে। জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আমাদের তেল আমদানিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ল য টস শ র র আগ ইসর য় ল সরবর হ ১৩ জ ন জ হ জট ৬৮ ক ট ১২ জ ন আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে
আগামী অক্টোবর–নভেম্বরে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার মৌসুম থাকে। এই সময়ে আয়কর রিটার্ন জমার যাবতীয় কাগজপত্র সংগ্রহ, ফরম পূরণ, রিটার্ন জমা—এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকেন কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীরা (টিআইএন)।
এ দেশে টিআইএনধারীদের মধ্যে কারা রিটার্ন দেবেন, তা ঠিক করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ দেশে প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখের মতো টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী সারা বছরের আয়–ব্যয়ের খবর জানিয়ে এনবিআর রিটার্ন দেন।
এবার দেখা যাক কারা রিটার্ন দেবেনকারা রিটার্ন দাখিল করবেন, তা দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১. যাঁদের করযোগ্য আয় রয়েছে।
২. আয় যা–ই হোক না কেন, যাঁদের আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
আয়ের ভিত্তিতে যাঁদের রিটার্ন বাধ্যতামূলক
ছয় ধরনের করদাতাদের করযোগ্য আয়ের ভিত্তিতে যাঁদের রিটার্ন জমা দিতে হবে। এগুলো হলো—
১. কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়।
২. নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়।
৩. তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে পৌনে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয়।
৪. গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয়।
৫. কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাতা–পিতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হলে। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা ও মাতা উভয়েই করদাতা হলে যেকোনো একজন এই সুবিধা ভোগ করবেন।
৬. বাংলাদেশে অনিবাসী (অনিবাসী বাংলাদেশি ব্যতীত) করদাতার জন্য এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য হবে না।
পেশা ও কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে যাঁদের রিটার্ন বাধ্যতামূলকএ ছাড়া আয় যা–ই হোক না কেন, এনবিআর কিছু বিশেষ ধরনের করদাতার জন্য রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করেছে। পেশা ও কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে কিছু শ্রেণির টিআইএনধারীর রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআরের নির্দেশনায় ৪৫ ধরনের এমন টিআইএনধারীর কথা বলা হয়েছে। এসব হলো—
১. করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে।
২. সংশ্লিষ্ট আয় বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তাঁর আয় করযোগ্য হয়ে থাকে।
৩. কোম্পানি, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার কর্মচারী হলে।
৪. ফার্ম, ফার্মের অংশীদার বা কোনো ব্যক্তিসংঘ হলে।
৫. কোনো ব্যবসায় নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভোগী কর্মী হলে।
৬. গণ কর্মচারী (সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী) হলে।
৭. কোনো অনিবাসী যাঁর বাংলাদেশে স্থায়ী স্থাপনা আছে।
৮. কর অব্যাহতি পাওয়া বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য আয় থাকলে।
৯. ধারা ২৬১ অনুসারে করদাতা হিসেবে নিবন্ধনযোগ্য কোনো ব্যক্তি।
১০. করারোপযোগ্য আয় না থাকা সাপেক্ষে ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ নিলে।
১১. আমদানি নিবন্ধন সনদ বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদ পেতে ও নবায়ন করতে।
১২. সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য।
১৩. সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার লাইসেন্স নবায়ন করতে।
১৪. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় জমি, বিল্ডিং বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রয় বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধন করতে।
১৫. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ নবায়ন করতে।
১৬. মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ (নিবন্ধন) আইন অধীনে নিকাহ রেজিস্ট্রার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইনের অধীন হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অধীন রেজিস্ট্রার হিসেবে লাইসেন্স পেতে বা নবায়ন করতে।
১৭. কোনো বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্যপদ পেতে ও বহাল রাখতে।
১৮. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডার বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নবায়নে।
১৯. ড্রাগ লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্স, কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্স, ফ্রেট ফরওয়ার্ডিং লাইসেন্স ও বায়িং হাউস নিবন্ধন পেতে ও নবায়নে।
২০. যেকোনো এলাকায় গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগ পেতে ও বহাল রাখতে এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাসের সংযোগ পেতে।
২১. সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগ পেতে।
২২. লঞ্চ, স্টিমার, কার্গো, কোস্টার ও ডাম্ব বার্জসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেট পেতে ও বহাল রাখতে।
২৩. পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইট উৎপাদনের অনুমতি পেতে ও নবায়নে।
২৪. সিটি করপোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে।
২৫. কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পেতে ও বহাল রাখতে।
২৬. আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে ও বহাল রাখতে।
২৭. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়।
২৮. ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত খোলায় ও বহাল রাখতে।
২৯. ১০ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনায়।
৩০. পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে।
৩১. ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন–ভাতা পেতে।
৩২. স্বাভাবিক ব্যক্তি ব্যতীত অন্যান্য করদাতার ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ পাওয়ার ক্ষেত্রে।
৩৩. অ্যাডভাইজরি বা কনসালট্যান্সি সার্ভিস, ক্যাটারিং সার্ভিস, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, জনবল সরবরাহ, নিরাপত্তাসেবা সরবরাহ বাবদ নিবাসী কর্তৃক কোনো কোম্পানি থেকে কোনো অর্থ পেতে।
৩৪. বিমা কোম্পানির এজেন্সি সার্টিফিকেট নিবন্ধন বা নবায়নে।
৩৫. দ্বি–চক্র বা ত্রি–চক্র মোটরযান ব্যতীত অন্যান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নের সময়।
৩৬. এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোয় নিবন্ধিত এনজিও বা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি থেকে লাইসেন্স পাওয়া ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার অনুকূলে বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড় করতে।
৩৭. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই–কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স নবায়নে।
৩৮. কোম্পানি আইন ও সোসাইটিজ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অধীনে নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদ লাভ ও নবায়নের ক্ষেত্রে।
৩৯. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিবাসী কর্তৃক টেন্ডার ডকুমেন্টস দাখিলের সময়।
৪০. পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের সময়।
৪১. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সরকার কর্তৃক গঠিত অনুরূপ কর্তৃপক্ষ অথবা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য ভবন নির্মাণের নকশা জমা দেওয়ার সময়।
৪২. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক সিটি করপোরেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া বা লিজ গ্রহণের সময় বাড়ির মালিকের।
৪৩. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক পণ্য বা সেবা সরবরাহ গ্রহণের সময় সরবরাহকারীর বা সেবা প্রদানকারীর।
৪৪. হোটেল, রেস্টুরেন্ট, মোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স পেতে ও নবায়নের সময়।
৪৫. সামাজিক অনুষ্ঠান, করপোরেট প্রোগ্রাম, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণসহ সমজাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া বা অন্য সেবা গ্রহণের সময় সেবা গ্রহণকারীর।