জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের পূর্বঘোষিত ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)’ প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে। এর পরিবর্তে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি’ গঠনের। 

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত রাজনৈতিক সংলাপের ষষ্ঠ দিনের বৈঠকে এ তথ্য জানান কমিশনের সহসভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড.

আলী রীয়াজ।

তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনায় এনসিসির গঠন কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির উপস্থিতি নিয়ে যে আপত্তি উঠেছিল, সেটি আমলে নিয়েই তারা নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর বাস্তব মতামত ও প্রাসঙ্গিক আপত্তিগুলো বিবেচনা করেই এনসিসির প্রস্তাব থেকে সরে এসেছি। নতুন কাঠামোতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে থাকবেন নিম্নকক্ষের স্পিকার, যিনি এই কমিটির সভাপতি হবেন।’’

আলী রীয়াজ স্পষ্ট করে বলেন, ‘‘এই কমিটি শুধুমাত্র সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়ে কাজ করবে। অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধানের নিয়োগ এই কমিটির আওতার বাইরে থাকবে।’’

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এ ধরনের বিকল্প প্রস্তাব আলোচনার অগ্রগতি নির্দেশ করে। তবে অনেকে মনে করছেন, প্রস্তাবটি বাস্তবায়নযোগ্য করতে হলে সংবিধানে সংশোধনী আনাও জরুরি হতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যভিত্তিক একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে তা জনসমক্ষে উপস্থাপন করা হবে।

এএএম//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক প রস ত ব এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু

বাংলাদেশের মানুষ সাংঘর্ষিক রাজনীতি দেখতে চায় না, স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে তবে অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘কথায় কথায় আপনি রাস্তায় যাবেন। এখন অন্য দল যদি আবার তার প্রতিবাদে আবার রাস্তায় যায় তাহলে কি হবে সংঘর্ষ হবে না? বৃহত্তর দল বাংলাদেশে যদি রাস্তায় নামে এগুলোর প্রতিবাদে, আমাদের সংঘর্ষ হবে। এইজন্য আমরা কি শেখ হাসিনা বিদায় করেছি?’

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেস কনসালটেন্সি নামে এক সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলো ‘অবসেসড’ হয়ে গেছে বলেন আমীর খসরু। কিছু কিছু রাজনীতিবিদদের মধ্যে এ ধরনের মনমানসিকতা ডেভেলপ করে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে বিশ্বাস করতে হবে যে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে তার বাইরে গিয়ে আবার নতুন ইস্যু সৃষ্টি করলে কিন্তু ঐকমত্যের শ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে না। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও ঐকমত্য হতে হবে।’

প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে বিষয়গুলো আলোচনাতেই আসে নাই, সেগুলোও ঢুকিয়েছে ঐকমত্য কমিশন: সেলিমা রহমান
  • অন্তর্বর্তী সরকার কেন জবাবদিহির সংস্কৃতি চালু করতে পারল না
  • কথায় কথায় রাস্তায় যাবেন, বৃহত্তর দল যদি নামে সংঘর্ষ হবে: আমীর খসরু
  • নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে কিছু থিঙ্কট্যাংক বলছে, জুলাই সনদে নারী, কৃষক, শ্রমিক নেই: প্রেস সচিব
  • মতৈক্য হবে না, কারণ দলগুলো বিভিন্ন মহলের স্বার্থ দেখে: ফরহাদ মজহার
  • ঐকমত্যের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: আমীর খসরু
  • ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে
  • ঐকমত্য কমিশনের আপ্যায়ন ব্যয় ৪৫ লাখ টাকা
  • ঐকমত্য কমিশন কী হলো না হলো কিছু আসে যায় না: আমীর খসরু
  • কমিশনে কী হলো না হলো কিছু আসে যায় না, ৩১ দফা বাস্তবায়ন হবে: আমীর খসরু