ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কিছু দাবি উত্থাপন করেন নবাব পরিবারের বংশধর ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈম। তার দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সানন্দে গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৪ জুন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, সেমিনার, কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় জন্মবার্ষিকী। দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈম, যিনি নবাব সলিমুল্লাহর উত্তরসূরি।

ফেসবুক পোস্টে নাঈম লেখেন, “৭ জুন ছিল নবাব স‍্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নবাব সলিমুল্লাহর বংশধরের পক্ষ থেকে আমরা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং আমাদের পক্ষ থেকে নবাব সলিমুল্লাহর অবদানের জন‍্য দাবি পেশ করি; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সকলেরও দাবি ছিল এবং কর্তৃপক্ষ সানন্দে গ্রহণ করেন। হলের ছাত্র-ছাত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন‍্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এত চমৎকার আয়োজনের জন্য।”

আরো পড়ুন:

সমুদ্রতটে উজ্জ্বল ববি

নোংরা মন্তব্য, মিষ্টির আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি

নাঈমের দাবিগুলোর মূল বিষয় ছিল—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের উচ্চশিক্ষা ও মুসলিম সমাজের উন্নয়নে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান যথাযথভাবে স্মরণ ও স্বীকৃতি দেওয়া।

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জমি দান ও জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার ঐতিহাসিক অবদান স্মরণেই এই আয়োজন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা

দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা। 

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন

বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল

শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।

পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।

দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।

স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”

অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।

দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”

আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”

ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
  • দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
  • বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু, সদরঘাটে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা
  • দেবী দুর্গা শক্তি ও সাহসের মূর্ত প্রতীক: মির্জা ফখরুল 
  • আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা অনুচরেরা এখনো তৎপর: মির্জা ফখরুল
  • সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সব রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা সদিচ্ছা অপরিহার্য: নিসচা
  • ‎চার দিনের ছুটিতে পুঁজিবাজার
  • ব্যাংক টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে টাকা তুলবেন কীভাবে
  • পূজার ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন
  • চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন