ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ
Published: 27th, June 2025 GMT
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সামার সেশনের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করেছে। গত বুধবার এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের নানা বিষয় সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, নতুন প্রযুক্তির প্রভাব, দায়িত্বজ্ঞানহীন জনপ্রিয়তাবাদ ও বৈষম্য। এসব সংকট মোকাবিলায় একমাত্র তরুণ প্রজন্মই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তোমরা কৌতূহলী হও, প্রশ্ন করো, সামাজিক সিস্টেমকে চ্যালেঞ্জ করো, যারা তোমার থেকে ভিন্ন তাদের প্রতি সম্মান দেখাও। বিভেদকে মনে না রেখে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করো। তোমাদের শিক্ষা যাতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে, সেই চেষ্টাটাই সব সময় করো।’
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইরাসমাস’ কর্মসূচির আওতায় ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ইরাসমাস হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ কর্মসূচি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নিজেদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত হিসেবে গড়ে তুলছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নারী শিক্ষার্থীকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড—সামার–২০২৫’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মময় জীবন নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাব ‘মনন’-এর নৃত্য পরিবেশনা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের আয়োজনে ‘আই হ্যাভ গট দ্য পাওয়ার’ শীর্ষক প্রদর্শনী ছিল অনুষ্ঠানে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব র য ক ইউন ভ র স ট র অন ষ ঠ ন ইউর প য
এছাড়াও পড়ুন:
আজ প্রথম প্রেম দিবস
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রথম প্রেম পূর্ণতা পায় না। কিন্তু প্রথম প্রেমের মিষ্টিমধুর সময়টা মনে গেঁথে থাকে। কখনও কবিতায়, কখনও গানে সেই প্রেমের স্মৃতি ফিরে পায় মানুষ। আজ প্রথম প্রেম দিবস। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, প্রথম প্রেম দিবস। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দিবসটি পালন করা হয়।এরপর থেকে প্রতিবছরই উদ্যাপিত হচ্ছে দিবসটি।
প্রথম প্রেম মানুষ ভোলে না কেন?
মানুষ প্রথম প্রেমে পড়ে কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে। এ সময় শরীরে হ্যাপি হরমোনের প্রভাব থাকে প্রবল। যার ফলে ভালোবাসার মানুষের প্রতি আকর্ষণ থাকে বেশি।
আরো পড়ুন:
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
ভালো লাগার মুহূর্তগুলোত মানুষকে সুখের অনুভূতি দেয়। যাকে ভাবলে এই সুখ অনুভূতি হয়, যে কাছে থাকলে নিজেকে পৃথিবীর সেরা সুখী মানুষ মনে হয়-সেই মানুষটিকে কোনো কারণে হারিয়ে ফেললেও ভোলা যায় না।
আক্ষরিক অর্থে কেউ কাউকে ভালোবাসা শেখায় না, কিন্তু ভালোবাসার উপলক্ষ্য এনে দেয়। ভালোবাসার অনুভূতিগুলো যাকে প্রথম বলা যায়, তাকে তো ভোলার কথা না!
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি