গর্ভকালীন সচেতনতা ঠেকাবে ডায়াবেটিস
Published: 10th, November 2025 GMT
দেশে এক–চতুর্থাংশ নারী গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ভবিষ্যতে মহামারির মতো এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগ নিয়ন্ত্রণে তাই এখন থেকেই সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ও এর প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা বলেন, গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই সচেতন থাকলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
যৌথভাবে গোলটেবিলের আয়োজন করে অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এবং প্রথম আলো। এতে সায়েন্টিফিক পার্টনার ছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওজিএসবির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিরোজা বেগম। গর্ভধারণের আগে সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, অনেক নারী গর্ভধারণের আগে নিজের ডায়াবেটিস ঝুঁকি সম্পর্কে জানেন না। অথচ গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, পরামর্শ ও জীবন নিয়ন্ত্রণ—মা ও শিশুর জটিলতা কমানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। যদি গর্ভধারণের আগে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে জন্মগত ত্রুটি, প্রসবজনিত জটিলতার ঝুঁকি কমে যায়। যেসব নারীর ডায়াবেটিস রয়েছে, গর্ভধারণের অন্তত তিন মাস আগে থেকেই তাঁদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ওজিএসবির সদস্যসচিব অধ্যাপক মুসাররাত সুলতানা বলেন, গর্ভাবস্থার শুরু থেকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকা খুবই জরুরি। কারণ, চিকিৎসকের কাছে রোগী এলে গর্ভকালে ডায়াবেটিসের সচেতনতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করা সম্ভব। তিনি বলেন, বিশেষ করে বেশি বয়সে মাতৃত্ব যাঁদের জন্য উচ্চ ঝুঁকির, তাঁদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। তা ছাড়া যেসব মায়ের ওজন বেশি, তাঁদের জন্যও সচেতন হওয়া অনেক জরুরি।
একই পরামর্শ দেন ওজিএসবির সদস্য অধ্যাপক জিন্নাত আরা নাসরিন। তিনি বলেন, ‘রোগীকে আমরা সচেতন করতে পারব, সাবধান করতে পারব। এটি তখনই করতে পারব, যখন একজন নারী বা একটি দম্পতি গর্ভধারণের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করেন। যখন তিনি আসবেন আমাদের কাছে, তখনই তো আমরা তাঁকে জানাতে পারব, পথ দেখাতে পারব।’
ওজিএসবির সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ১০ বছর আগের সমীক্ষায় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ব্যাপকতা ১০ শতাংশ ছিল, কিন্তু এখন তা ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। এ সমস্যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি মনে করেন, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসকে শুধু প্রসূতির সমস্যা হিসেবে না দেখে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখতে হবে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের পাশাপাশি সবার প্রচেষ্টা থাকা উচিত।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজা আসমা বলেন, ডায়াবেটিস একটি নীরব ঘাতক। এটি এখন মহামারির আকারে রূপ নিয়েছে। প্রায় এক–চতুর্থাংশ গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
স্ক্রিনিং আবশ্যকঢাকা মেডিকেল কলেজের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা মাহমুদ বলেন, ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথম কাজ হচ্ছে তাকে শনাক্তকরণ। এই শনাক্তকরণের কাজ যদি গর্ভধারণের পূর্বেই করা সম্ভব হয়, তবে তা সবচেয়ে ভালো। তিনি বলেন, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসের মধ্যে একজন মাকে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এই সময়েই প্রথম স্ক্রিনিং করা হবে। তিনি আরও বলেন, যদি প্রথম তিন মাসের মধ্যে কোনো ডায়াবেটিস শনাক্ত না হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের দিকে একটি স্ক্রিনিং করতে হবে। এটি আবশ্যিক।
কমিউনিটি হাসপাতালগুলোতে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন কুমুদিনী মহিলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.
আইপাস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নুরুন নাহার বেগম বলেন, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এবং নিয়মিত চেকআপ না করা হলে মায়ের গর্ভেই বাচ্চার হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। এই ঝুঁকি ছোট সমস্যা থেকে বড় সমস্যায় রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া প্রসবের পরও বাচ্চার অনেকগুলো সমস্যা হতে পারে।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের সন্তানদের ডায়াবেটিস পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওনাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদেকা চৌধুরী বলেন, প্রত্যেক মা যেমন ঝুঁকিতে থাকেন, তাঁর গর্ভের সন্তানও ঝুঁকিতে থাকে। মা–বাবার ধারণা থাকে, বাচ্চা সুস্থ–স্বাভাবিক, তাকে কেন বারবার গ্লুকোজ মনিটর করব? কিন্তু এই জায়গায় সবাইকেই আরও সচেতন হতে হবে। কারণ, এই বাচ্চাগুলো অন্য স্বাভাবিক বাচ্চার চেয়ে আলাদা। কোনো উপসর্গ ছাড়াই তারা হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগতে পারে।
খাবার কেমন হবেবৈঠকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের খাবার সম্পর্কে জানান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র নিউট্রিশন অফিসার ফাহমিদা মাহমুদ। তিনি বলেন, একজন সাধারণ গর্ভবতী এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের খাবার মোটামুটি একই। তবে খেয়াল রাখতে হবে তাঁর শর্করা গ্রহণের পরিমাণ এবং ধরনের ওপর। কারণ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের খাবারটা এমনভাবে দিতে হবে, যাতে তাঁর গ্লুকোজের মাত্রা একবারে একসঙ্গে না বেড়ে ধীরে ধীরে বাড়ে।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাবাসসুম পারভিন বলেন, খাদ্যাভাস পরিবর্তন এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে আসলে ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই সুগার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ডায়াবেটিস মানেই সিজার নয়আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শেহরিন এফ সিদ্দিকা বলেন, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্ন থাকে, তা হলো ডায়াবেটিস হলে কি শতভাগ সার্জারি করতে হয়? এর উত্তর হলো, একেবারে নয়। তবে ডায়াবেটিস প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে সিজার সেকশনের হার সামান্য হলেও বেশি থাকে। এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্বেই। গোলটেবিল বৈঠকে সূচনা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী। বৈঠক শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসকেএফ ফার্মার অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. মুরাদ হোসেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ র চ ক ৎসক র বস থ র সমস য প রথম র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা আন্দোলনে বার্ষিক পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়ার শঙ্কা
সহকারী শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করাসহ তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দিন ধরে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এর পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে গতকাল রোববার থেকে অর্থাৎ দুই দিন ধরে কর্মবিরতিও চলছে।
শিক্ষকদের টানা আন্দোলনের কারণে শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে এসে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকেরা।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী এক কোটির বেশি এবং শিক্ষক রয়েছেন পৌনে চার লাখের বেশি। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত পদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২১৬ টি, কিন্তু বর্তমানে কর্মরত ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন। ১৭ হাজার ৮টি পদ এখনো শূন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর লালবাগ শিক্ষা এলাকার অধীন একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধানশিক্ষক আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, আগে দেখা যেত এ ধরনের কর্মবিরতি সব বিদ্যালয়ে খুব একটা পালন করা হতো না। কিন্তু এবার তা ব্যতিক্রম। যেমন, লালবাগ শিক্ষা এলাকার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্য সময় শিক্ষা কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে কঠোর থাকলেও এবার সেটাও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
এই প্রধান শিক্ষক আরও জানান, আজ তাঁদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এসেছিল। কিন্তু সহকারী শিক্ষকেরা ক্লাস নেননি। ফলে তিনিই কিছু পড়িয়েছেন। বার্ষিক পরীক্ষার আগে আর অল্পদিন ক্লাস হওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু ইতিমধ্যে দুই দিন ধরে কর্মবিরতি চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে বার্ষিক পরীক্ষার ওপর প্রভাব পড়বে।
আজ দুপুর ১২টার কিছু আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায় সারা দেশ থেকে আসা অসংখ্য শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১১ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব, হলে কত টাকা লাগবে০৯ নভেম্বর ২০২৫শহীদ মিনারে কথা হয় একজন নারী শিক্ষকের সঙ্গে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। বললেন তিনি সহকারী শিক্ষক, কিন্তু প্রশাসনিক প্রয়োজনে ২০১৮ সাল থেকে তিনি প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁদের বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের সবাই কর্মবিরতিতে আছেন। তবে সবাই শহীদ মিনারে আসেননি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকবেন।
এই শিক্ষক বললেন ‘বাচ্চাদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা এটা করতে চাই না। আমরা দ্রুত বিদ্যালয়ে ফিরতে চাই। আমরা চাই রাষ্ট্র আমাদের দ্রুত বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুক।’
জামালপুরের মেলান্দহ থেকে আসা আরেকজন সহকারী শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার থেকে আন্দোলনে আছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলন চলার মধ্যে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক শিক্ষক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধির বিষয়ে কাজ করছে। এ জন্য সময় চাওয়া হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। তবে শিক্ষকেরা তা মানেননি।
তবে আলোচনার সুবিধার্থে প্রথমে বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হলেও সাধারণ শিক্ষকেরা তাতে আপত্তি জানান। তাঁরা তা মানেননি।
আজ সোমবার বিকেলে অর্থ বিভাগের সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকের পর শিক্ষকেরা পরবর্তী পদক্ষেপ জানাবেন।
শিক্ষকদের অপর দুটি দাবি হলো শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া। তিন দফা দাবিতে তাঁরা গত শনিবার থেকে কর্মসূচি পালন করছেন। কর্মসূচির প্রথম দিনে গত শনিবার শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশ হামলা করেছেন। এর ফলে সারা দেশে শিক্ষকেরা বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩ তম গ্রেডে বেতন পান। প্রধান শিক্ষকেরা আছেন ১১ তম গ্রেডে। সম্প্রতি দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়িয়ে দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে, যা সারা দেশের সব প্রধান শিক্ষকের জন্যও প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১ তম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় গত ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে আন্দোলন পরিস্থিতি এবং শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তার আগে একই ধরনের প্রস্তাব পাঠানো হয় অর্থ বিভাগে।
জাতীয় বেতন স্কেলে দশম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১ তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১৩ তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা যোগ হয়।