Prothomalo:
2025-11-17@11:01:38 GMT

বাংলা সাহিত্য বীক্ষণ

Published: 28th, June 2025 GMT

‘দেখা’ ক্রিয়াপদটার আলোচনায় ফিরে গেলে: এক অর্থে দক্ষিণ এশীয় ভাষায় ‘বাংলা সাহিত্য দেখা’ বলতে বোঝাতে পারে সেই সাহিত্যের দর্শনলাভ করা, অর্থাৎ কারও ওপর দর্শন লাভের সহজাত উপকার কিংবা আনুকূল্য বর্ষিত হতে দেওয়া। আমাদের যাঁরা বাংলা সাহিত্য পড়েন, সে হিসেবে বলা যায়, তাঁরা সেটির দর্শন লাভ করছেন। যা-ই হোক, ‘দেখা’ বলতে নিশ্চিত করে ‘দর্শনলাভ’ বোঝায় না। ইংরেজি ভাষ্যে ‘to view as’ কিংবা ‘to view in a positive light’ অথবা ‘to view with a jaundiced eye’ বলতে সাধারণ অর্থে বোঝায় ‘বিশেষ দৃষ্টিতে’ কিংবা ‘ইতিবাচকভাবে’ অথবা ‘অস্পষ্ট দৃষ্টিতে দেখা’। অথচ ‘দর্শনলাভ করা’ বললে দৃষ্ট বিষয় তার অখণ্ডতা ধরে রাখে, অন্যদিকে দ্রষ্টার মধ্যে ঘটে পরিবর্তন (লাভবান হয়)। কারও ‘দৃষ্টিতে’ বললে হয় তার উল্টোটা। শেষোক্ত ক্ষেত্রে দৃষ্ট বিষয় সম্পর্কে নিজের সৃষ্ট মত অনুযায়ী ব্যাখ্যা দেন দ্রষ্টা।

আমরা সবাই জানি, দেখার কাজটি সরল বিশ্বাসে করা হলেও কখনোই সম্পূর্ণ, বিশদ ও নিখুঁত হয় না। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই যে রুডইয়ার্ড কিপলিংয়ের ‘কিম’ উপন্যাসের নামচরিত্র কিমকে শিখিয়ে দিতে হয়েছিল, যাতে সে সিমলায় লারগ্যান সাহেবের কিউরিও শপের জিনিসপত্র আরও বেশি করে লক্ষ করে, কারণ ব্রিটিশদের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল সে, যেটাকে বলা হতো ঔপনিবেশিক সম্প্রসারণ ও সংহত করার বড় খেলা। কিউরিও শপটা কলকাতার আশপাশে নয়, হিমালয়ের একটা হিল স্টেশন সিমলায়। একইভাবে আমাদের স্মরণ করানোর দরকার নেই যে কিপলিংয়ের উপন্যাসটা রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ উপন্যাসে আমরা যে রকম দেখি, তার চেয়ে ভিন্নদৃষ্টিতে দেখা ভারতকে উপস্থাপন করে। একমাত্র মিল উভয় উপন্যাসের নামীয় নায়কদের মধ্যে: দুজনই গত শতাব্দীতে আইরিশ মা-বাবার এতিম সন্তান। ‘ভিন্নদৃষ্টিতে দেখা ভারত’ বলতে স্বভাবতই আমরা বুঝি, কিপলিংয়ের ভারত (কেবল ভারত সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি নয়) রবীন্দ্রনাথের ভারতের চেয়ে আলাদা, কারণ, এই উভয় ক্ষেত্রের দ্রষ্টারা দর্শন লাভকারী মানুষের বিপরীতে প্রকৃতপক্ষে দৃষ্ট বিষয়কে সৃষ্টি করে সুবিধামতো ব্যবহার করেন।

দৃষ্ট বিষয়কে ‘সুবিধামতো ব্যবহার’ করার বিষয়টা খোলাসা করি। প্রায় সংজ্ঞাগতভাবে সাহিত্য সৃষ্ট হয় লেখকদের দ্বারা সুবিধামতো ব্যবহার করা নির্মিত বয়ানে, নিজের বাস্তবতাকে সৃষ্টি করেন তাঁরা। শামসুর রাহমানের ‘ক্ষয়কাশ’ কবিতায় তাঁর দেখা ঢাকার কথা উল্লেখ করতে পারি আমরা:

কে যেন উঠলো কেশে কলোনির ফ্ল্যাটে খক্খকিয়ে,

যে মোটর কিছুতে নেয়না স্টার্ট ঠিক তারই মতো

শব্দ করে ঠান্ডা রাতে কাশছে লোকটা অবিরত।

গলিপথে অন্য কেউ কেশে ওঠে, প্রাণক্ষয়ী কাশ—

পাশের দালানে কেউ, কেউ বা মাটির ভাঙা ঘরে

বস্তিতে বাজারে আর অভিজাত পাড়ার অন্দরে,

ভয়াবহ শব্দে সেই ছেয়ে গেল সমস্ত আকাশ।

ন্যূনতম নব্বুই হাজার বাসগৃহে নিদ্রাহর

শব্দের ধমকে নড়ে সংখ্যাহীন বুকের পাঁজর

এবং আমার বুক পূর্ব বাংলার মতোই হু হু, তীব্রতর

কাশির দমকে বড্ড দুমড়ে যাই, কুঞ্চিত চাদর

গোধূলি-তরল রক্তে বারংবার ওঠে ঝক্ঝকিয়ে।

দৃশ্যের এ রকম জীবন্ত চিত্রায়ণ, পয়ার ছন্দের মসৃণ প্রবাহ এবং সমাপ্তিসূচক শক্তিশালী চিত্রকল্প সত্ত্বেও কবিতাটি পাঠকের চোখে তুলে ধরতে পারে কিছুটা হতাশাজনক, অসুস্থ ঢাকাকে। উপরন্তু এ রকম একটা ধারণা আমেরিকায় বরং সাধারণ দৃষ্টিতে দেখা বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণার একটা উদাহরণ। মরণাপন্ন মানুষদের জন্য কলকাতায় মাদার তেরেসার সেবা সদনটার কথা মনে পড়ে যায় তাৎক্ষণিক। এ বছর (১৯৯২-৯৩) শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক বাংলা পাঠ্যক্রমে ভর্তি হওয়া আটজন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছয়জনই বাঙালি-আমেরিকান কিংবা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাঙালি অথবা নিজেদের বহুজাতিক বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করা বাঙালি, কিংবা ঘরে কিছু বাংলা বলে থাকেন এমন হাইফেনবর্জিত আমেরিকান, যেহেতু তাদের মধ্যে অন্যরা নিজেদের এভাবেই পরিচয় করান। অনেকের মধ্যে এসব তরুণের বাংলাদেশ সফরের একটা সাধারণ ধারণা হচ্ছে, এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। সেটা অবশ্য আমরা যা বাস্তব বলে ভাবি তার একটা অংশ, একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা একটা অংশ কেবল।

ঢাকার সেই যক্ষ্মা রোগাক্রান্ত দৃশ্যের বিপরীতে শামসুর রাহমান অনেক বেশি ইতিবাচক, আকর্ষণীয় স্বস্তিকর জায়গা হিসেবে ইতিহাস-সমৃদ্ধ, স্মৃতিবাহী বাখরখানির সুঘ্রাণযুক্ত নগরীটির বহু বর্ণনা চিত্রিত করেছেন। কিশোরদের জন্য তাঁর স্মৃতির শহর এ রকমই একটা গদ্যের বই। উভয় রচনাই শামসুর রাহমানের দেখা ঢাকার দৃশ্য—এসব লেখায় ভিন্ন ভিন্ন আবহ আনার জন্য নিজের মতো করে ব্যবহার করা হয়েছে আপন সৃষ্ট ঢাকাকে।

ক্লিনটন বি সিলি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র উপন য স র জন য র একট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম হিজরতকারী ৫ নারী সাহাবি

নবুওয়তলাভের পঞ্চম বছর, নবীজি (সা.) দেখলেন শুধুমাত্র ইসলামগ্রহণের ‘অপরাধে’ নিজ গোত্রের আপন লোকেরাই সাহাবিগণের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে। দিন যত যায়, জুলুম-নিপীড়ন আর অবমাননা বাড়তে থাকে। যারা সমাজে খুব সম্মানের সাথে চলাফেরা করতেন, তাদেরই এখন আড়ালে-আবডালে থাকতে হয়।

সাহাবিগণের এই ‘পরাধীনতা’ নবীজির (সা.) মনে খুব কষ্ট দিল। তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর জমিনের কোথাও হিজরত করে চলে যাও, আল্লাহ শীঘ্রই তোমাদের একত্রিত করবেন। সাহাবিগণ আরজ করলেন, কোথায় যাব? তিনি হাবশার দিকে ইঙ্গিত করেন।’ (সীরাতুল মুস্তফা, ইদরীস কান্ধলবী, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২১১-২১২, ইফাবা)

আরেক বর্ণনায় আছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা হাবশায় চলে যাও, এটাই তোমাদের জন্য ভালো। কারণ সেখানে একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ আছেন, যার রাজত্বে কেউ জুলুমে শিকার হয় না। সেই দেশটা সত্য ও ন্যায়ের দেশ। আল্লাহ যতদিন পর্যন্ত তোমাদের জন্য এই জুলুম থেকে বাঁচার পরিবেশ না করে দেন, ততদিন পর্যন্ত তোমরা সেখানে থাকতে পারো। (সীরাতুন নবী, ইবনে হিশাম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ২৮৪, ইফাবা)

এই নির্দেশ পেয়ে ৬১৫ খ্রিষ্টাব্দে, হিজরিপূর্ব ৭ সালের রজব মাসে সাহাবিগণ মক্কা ছেড়ে সমুদ্রপথে আফ্রিকার দিকে রওনা দেন, যা ইতিহাসের কিতাবে ‘হাবশায় প্রথম হিজরত’ নামে প্রসিদ্ধ।

তারা খ্রিষ্টান রাজা নাজ্জাশি শাসিত আকসুম রাজ্যে (বর্তমান ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া) গিয়ে নোঙর ফেলেন, এবং সেখানে বেশ নিরাপত্তার সঙ্গে তিন থেকে চারমাস বসবাস করেন। এরপর এমন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে মক্কার সবাই ইসলামগ্রহণ করে ফেলেছে, তাই তারা ফিরে আসেন।

আরও পড়ুনআবিসিনিয়ায় নারী সাহাবিদের দ্বিতীয় হিজরত১৪ নভেম্বর ২০২৫

সেই দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় এগারোজন পুরুষের সাথে পাঁচজন নারী সাহাবিও ছিলেন, যাদের ত্যাগ ও কোরবানি পরবর্তীতে অন্য নারীদেরকেও ‘ধর্মপালনের স্বাধীনতার’ যুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আমরা এখানে সংক্ষেপে সেই পাঁচজন নারী সাহাবি সম্পর্কে জানব।

১. রুকাইয়া বিনতে মুহাম্মদ (রা.)

তাঁর জন্ম ৬০১ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি ছিলেন নবীজির (সা.) দ্বিতীয় মেয়ে। আবু লাহাবের ছেলে উতবাহর সাথে তাঁর বিয়ের চুক্তি (আকদ) হয়েছিল। কিন্তু নবীজি (সা.) নবুওয়তপ্রাপ্তির ঘোষণা দিলে আবু লাহাব সেই আকদ ভেঙে দেয়। এরপর রুকাইয়ার (রা.) বিয়ে হয় হযরত ওসমান ইবনে আফফানের (রা.) সাথে। তিনি স্বামীর সাথে হাবশায় হিজরত করেছিলেন, এই সময় তার বয়স ছিল ১৫।

তারা যখন হিজরত করার উদ্দেশ্যে রওনা দেন, নবীজি (সা.) তাদের কোনো খোঁজখবর পাচ্ছিলেন না। তিনি প্রতিদিন তাদের খবর নিতে বের হতেন। একদিন জনৈক মহিলা জানান তারা হাবশায় পৌঁছেছেন, নবীজি (সা.) এ খবর শুনে মন্তব্য করেন, ‘হজরত লুতের (আ) পর ওসমানই (রা.) প্রথম ব্যক্তি যিনি সপরিবারে হিজরত করেছেন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদিস: ১৪৯৯৮) হযরত রুকাইয়া (রা.) ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

২. উম্মে সালামাহ হিন্দ বিনতে আবু উমাইয়া (রা.)

তাঁর জন্ম ৫৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি ছিলেন নবীজির (সা.) ফুফাতো ভাই ও দুধভাই আবু সালামাহ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল আসাদের (রা.) স্ত্রী। স্বামীর সাথে তিনি হাবশায় হিজরত করেন, তখন তার বয়স ছিল ২১।

সে সময় তিনি সন্তানসম্ভাবা ছিলেন, হাবশায় তাদের প্রথম পুত্র সালামাহর জন্ম হয়। উহুদ যুদ্ধের পর আবু সালামাহ (রা.) শাহাদাতবরণ করলে নবীজির (সা.) সাথে উম্মে সালামাহর (রা.) বিয়ে হয়। তিনি ছিলেন খুবই সাহসী ও জ্ঞান অনুরাগী নারী। তার অনেক প্রশ্নের ওপর কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছিল।

জীবনের শেষদিকে তিনি একদম সবার আড়ালে চলে যান, এমনকি তার মৃত্যুর তারিখ সঠিকভাবে জানা যায় না।

আরও পড়ুনমদিনায় হিজরত: ইসলামের ৬টি মাইলফলক০২ জুলাই ২০২৫৩. উম্মে আবদুল্লাহ লায়লা বিনতে আবু হাসমা (রা.)

তিনি ছিলেন হজরত আমির বিন রবিয়াহর (রা.) স্ত্রী। হাবশার হিজরতের ঘটনা নিয়ে তিনি দুটো হাদিস বর্ণনা করেন। এর একটি হাদিস থেকে জানা যায় হিজরতের সময় এক মুসলিম অপর মুসলিমের কতটা আপন হয়ে উঠেছিল। উম্মে আবদুল্লাহ বলেন:

সাহাবিগণ যখন হাবশার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের ঘরে এলেন এবং বললেন, ‘মুসআব ইবনে উমাইরকে (রা.) তার মা আটকে রেখেছে। তিনি আজ রাতেই বের হতে চান। যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়বে, তখন তিনি চলে আসবেন।’

আমার স্বামী, আমির ইবনে রবিয়াহ (রা.) বললেন, ‘আমরা তার জন্য অপেক্ষা করব, দরজা বন্ধ করব না।’

রাত গভীর হলে মুসআব (রা.) আমাদের কাছে এসে পৌঁছালেন। সেদিন রাতটা আমাদের সঙ্গেই কাটালেন। পরদিনও ছিলেন, তারপর রাতে চুপিসারে বেরিয়ে পড়লেন। আমরা তার সঙ্গে দেখা করার অঙ্গীকার করেছিলাম—তিনি সেই জায়গায় এসে মিলিত হলেন, আর আমরা একত্রে রওনা হলাম। আমরা সবাই পায়ে হেঁটে চলছিলাম, কেবল একটি উট ছিল, তাতে আমি ছিলাম।

মুসআবের (রা.) শরীর ছিল খুবই নাজুক, তিনি পায়ের তলায় মাটি সহ্য করতে পারছিলেন না। আমি দেখেছি, তিনি কদম ফেলছেন আর তার পা থেকে রক্ত ঝরছে। আমির (রা.) তা দেখে নিজের জুতা খুলে তাকে দিয়ে দিলেন।

শেষ পর্যন্ত আমরা জাহাজে পৌঁছালাম। সেখানে একটি জাহাজ পাওয়া গেল, যা সদ্য ভুট্টা বোঝাই করে মাওর থেকে ফিরেছে। আমরা ভাড়া করে তাতে উঠলাম—সাগর পেরিয়ে প্রথমে মাওর, তারপর মাওর থেকে হাবশা।

লায়লা (রা.) আরও বলেন, ‘আমি দেখেছি, আমির (রা.) মুসআবের (রা.) প্রতি এমন মায়া দেখাচ্ছিলেন, এতটা মায়া নিজের সন্তানের প্রতিও দেখান না। অথচ মুসআবের (রা.) কাছে কানাকড়িও ছিল না, আর আমাদের কাছে ছিল সবমিলিয়ে পনের দিনার।’ (জামিউস সুন্নাতি ওয়া শুরুহিহা, হাদিস: ৩০৬৭)

৪. সাহলা বিনতে সুহায়ল (রা.)

তিনি ছিলেন হযরত আবু হুযায়ফা ইবনে উতবার (রা.) স্ত্রী। হাবশায় হিজরতের সময় তিনিও সন্তানসম্ভাবা ছিলেন। সেখানে তাদের পুত্র মুহাম্মদ বিন আবু হুজায়ফার (রা.) জন্ম হয়।

৫. উম্মে কুলসুম বিনতে সুহায়ল (রা.)

তিনি ছিলেন নবীজির (সা.) ফুফাতো ভাই হযরত আবু সাবরাহ ইবনে আবু রাহমের (রা.) স্ত্রী। তার স্বামী হাবশায় দুই-দুইবার হিজরত করেছিলেন।

কিন্তু তিনি প্রথমবার স্বামীর সাথে ছিলেন কিনা এই বিষয়ে মতবিরোধ আছে। হাফিজ ইবনে সাইয়িদুন নাস ‘উয়ুনুল আসার’-এ প্রথম হিজরতকারীদের তালিকায় তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে ইবনে ইসহাক তাকে দ্বিতীয় হিজরতকারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। (কিতাবুল ইসাবাহ ফি তাময়িজিস সাহাবাহ, খণ্ড ৮, পৃষ্ঠা ৪৬২, মাকতাবায়ে শামেলা)

[email protected]

মওলবি আশরাফ: আলেম, লেখক ও অনুবাদক।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)–এর হিজরত কেন মদিনায় হলো?১০ আগস্ট ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ