বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে: তারেক রহমান
Published: 2nd, July 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী করতে বিএনপিকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। এ দেশের বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রচনা বিএনপি করেছে। এটা আমাদের গর্বের বিষয়। গণতন্ত্র মানেই বিভিন্ন রকম মতপার্থক্য থাকবে। তাই অন্য যারা আছে, যারা আমাদের সমান নয়, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব নেতাকর্মীকে সহনশীল হতে হবে।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় পৌর শহরের ব্যায়ামাগারে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার সংস্কার শুরু করেছে। রাষ্ট্রের যৌক্তিক সংস্কার বিএনপি সমর্থন করে। সবার আগে বিএনপিই সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না করার কারণে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে বিতারিত করে দিয়েছে। তাই মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’’
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টির সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
পরে সন্ধ্যা ছয়টায় জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্বের জন্য গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট শুরু হয়। জেলার ১৫১১ কাউন্সিলর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট দিতে পেরে এবং দীর্ঘ ২৩ বছর পর সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পেরে বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলনের মাধ্যমে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ইমরান//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণতন ত র র ন ত কর ম ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মোমবাতি প্রজ্বালনে শহীদদের স্মরণ করলো ছাত্রদল, ৩৬ দিনের কর্মসূচি উদ্বোধন
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে ছাত্রদল। ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার রাত ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শিরোনামে এ কর্মর্সূচি পালন করেন সংগঠনটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী। একইসঙ্গে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি আসিফুজ্জামান রিপন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এটি শুধু মোমবাতি প্রজ্বলন নয়, গণতন্ত্রের নতুন যাত্রার সূচনা। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একসময় ছিলো ভয় আর আতংকের প্রতীক; আজ তা আশার আলো ছড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা ছাত্রদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। আজকের এই আলোক প্রজ্বালনের মাধ্যমে আমাদের ৩৬ দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা হলো।’
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘জুলাই মাসে ছাত্রদলের এই আয়োজন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বহন করে। একদিনে এই আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। হাজারো মানুষের রক্ত ও ত্যাগের মাধ্যমে এটি গঠিত হয়েছে। আজ আমরা খুনি হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ দেখছি। শহীদ ওয়াসিম ও সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং শতাধিক নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না।”
ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে। কিন্তু ছাত্রদল রাজপথে এককভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। হামলা-মামলার সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই।’
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্রদলের নেতৃত্বে শুরু হলো ৩৬ দিনব্যাপী একাধিক আন্দোলন-প্রচারণা ও স্মরণ কর্মসূচি। যা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত থাকবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।