চীনে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি
Published: 26th, July 2025 GMT
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় গানসু প্রদেশে আজ শনিবারও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
প্রাদেশিক প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ ও প্রাদেশিক আবহাওয়া দপ্তর ভারী বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সময় সকাল ৬ টার দিকে পিঙ্গলিয়াং ও কিংইয়াংয় অঞ্চলে এই রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
একই দিনে, সংস্থা দুটি পরবর্তীতে একই অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কার জন্যও রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
আরো পড়ুন:
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে থেমে থেমে বৃষ্টি
ঝিনাইদহে তিন গ্রামের আবাদি জমি পানির নিচে, দুর্ভোগে চাষীরা
প্রাদেশিক আবহাওয়া দপ্তর পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮০ থেকে ১২০ মিলিমিটারের মধ্যে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৫৫ মিলিমিটারের মধ্যে হতে পারে আশঙ্কা করা হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, যার ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস উভয়ই ঘটাতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনে চার স্তরের আবহাওয়া সতর্কতা ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্য রেড অ্যালার্ট হলো সবচেয়ে গুরুতর সতর্কতা। এরপরে রয়েছে অরেঞ্জ, ইয়েলো ও ব্লু অ্যালার্ট।
এর আগে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কাছের শিল্পনগরী বাওডিংয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ব্যাপক এই বৃষ্টিপাতের ফলে রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে ১৯ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর চীনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টিপাত দেখা গেছে। যার ফলে বেইজিংসহ ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলো বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। কিছু বিজ্ঞানী চীনের সাধারণত শুষ্ক উত্তরে বেশি বৃষ্টিপাতকে বিশ্ব উষ্ণায়নের সাথে যুক্ত করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম ধস আশঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।