আকরামের লেখা ‘ডার্টি মানি’ অধ্যায়টির আগের পর্ব পড়ুন এখানেশেষ পর্ব: ওয়াসিম আকরাম যা লিখেছেন

জোহানেসবার্গে পৌঁছালাম ম্যান্ডেলা ট্রফির সেরা-তিন ফাইনাল সিরিজের ঠিক আগে। অস্ত্রোপচারের পর আমি তখনো পুরোপুরি ফিট হইনি। কিন্তু তার চেয়েও বড় চিন্তার বিষয় ছিল, দলটা যেন আবার সেই পুরোনো অবস্থায় ফিরে গেছে। মনে হচ্ছিল, আমি এই দলে একেবারেই বাইরের একজন। একটা সুখী দলের যে বৈশিষ্ট্য, তার কিছুই ছিল না। কোনো আড্ডা নেই, হাসাহাসি নেই। সবাই যেন কারও না কারও ভয়ে আছে, কেউ ঘরে ঢুকলেই কথা থেমে যাচ্ছে।
আমিও শেষমেশ নিঃশব্দে এটাই মেনে নিলাম। হুমা (আকরামের স্ত্রী) তখন পাশে ছিল না, ফলে কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলার সুযোগও ছিল না। ভাবলাম, ঠিক আছে, নিজের মতো থাকব, একা ঘুরে বেড়াব, সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করব। তখনকার দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল পার্টির দেশ, রাতজাগা রঙিন জীবনের ঠিকানা। কিন্তু কিছু ঘটনা ছিল, যেগুলো উপেক্ষা করা যাচ্ছিল না।

আগের গ্রীষ্মের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জানতাম, দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে স্কোরবোর্ডে রান তুলে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হ্যান্সি ক্রনিয়েদের দল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে ভালোবাসত। তারা অসাধারণ ডিফেন্সিভ দল—বল হাতে আঁটসাঁট, ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্র। তবে লক্ষ্য তাড়া করার মতো ব্যাটিং শক্তি তাদের ছিল না। তার ওপর ওদের মাঝারি মানের ফ্লাডলাইটে বলও বেশ সুইং করত। কিন্তু ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে আমরা ব্যাটিং না করে তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিলাম—আর সেই সিদ্ধান্ত ছিল একেবারে ভয়ানক। ইজাজ (আহমেদ) আর বাসিত (আলী) ক্যাচ দিয়ে আউট; সেলিম (মালিক), রশিদ লতিফ, আমির সোহেল রানআউট—২২ রানে ৬ উইকেট পড়ে গেল!

আরও পড়ুনকোকেন, কান্না আর হুমার হারিয়ে যাওয়া: ওয়াসিম আকরামের জীবনের অন্ধকার অধ্যায়০৪ মে ২০২৫

দ্বিতীয় ফাইনালের আগে নিউল্যান্ডসে দল যখন একত্র হলো, তখন সবাই একে অন্যকে দোষ দিচ্ছিল। ইনতিখাব (পাকিস্তান দলের ম্যানেজার) প্রস্তাব দিলেন, সবাই যেন একটা পবিত্র তাবিজ ছুঁয়ে সততার শপথ নেয়। কিন্তু সেলিম কীভাবে যেন সেই আনুষ্ঠানিকতায় থাকতে পারলেন না, এলেন টসে জেতার পর। এবার ব্যাটিং করার যুক্তি ছিল আরও শক্তিশালী—বৃষ্টি হতে পারে আর বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা যে বৃষ্টি-ফর্মুলা চালু করেছিল, তা ছিল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দলের পক্ষে একতরফা। টস হারার পর ক্রনিয়ের তাই মাথায় হাত দেওয়ার অবস্থা, কিন্তু তারপর সে রীতিমতো চমকে গেল, যখন সেলিম বলল—আমরা আগে ফিল্ডিং করব।

সেলিম মালিকের সঙ্গে ওয়াসিম আকরাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকর ম

এছাড়াও পড়ুন:

তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পেছনে লেগেছে: তথ্য উপদেষ্টা

তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা তদবির ও লবিংয়ের অভিযোগ নিয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।” 

তথ্য উপদেষ্টা দাবি করেন,  তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে কোনো আপস করেননি এবং প্রস্তাব পেয়ে স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে সামরিক অভিযানের ভিডিওটি ভুয়া: বাংলা ফ্যাক্ট

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢাবি অধ্যাপক

তিনি লেখেন,  “তদবিরের কথা উঠলো যখন, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু একজন ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ার সাথে দেখা করায়। বিটিভির একটা টেন্ডারের কাজ করে দিলে তারা পার্সেন্টেজ দিবে এবং জুলাই নিয়ে কয়েকটা দেশে প্রোগ্রামের জন্য হেল্প করবে। আমি জানার পর এটা নিষেধ করে দেই। সদুদ্দেশ্যে হলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরবর্তীতে সে টেন্ডারের কাজ ও স্থগিত হয়।”

“সে ব্যক্তি কনভার্সেশন রেকর্ড করে একজন সাংবাদিককে পাঠায়। সে সাংবাদিক যোগাযোগ করলে আমি বলে দিই, ভাই আমরা একাজ করতে দেইনি। আর,  ওই লোক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের প্রোগ্রামের কথা বলে একাজ করেছে। উনি আমার কথা বিশ্বাস করে আর রেকর্ডটি পাবলিক করেননি। ”

তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।” প্রথমে নতুন দলের কয়েকজন মহারথী জড়িত লিখলেও কিছুক্ষণ পর তা পরিবর্তন করে  বিভিন্ন দলের লেখেন। 

তিনি আরো লেখেন, “পুনশ্চঃ আমার নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত ১২ মাসে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ করলেও দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেনি। বিভিন্ন দলের মহারথীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তাতে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পবিত্র আমানত। হাজারকোটি টাকার চাইতেও ইজ্জত ও রাষ্ট্রের আমানত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” 

সংশোধনের বিষয়ে তিনি লেখেন, “বিঃদ্রঃ কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যডার।একটা না কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিন্তু, সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদী বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।” 

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভেনেজুয়েলায় নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে বিরোধীদের প্রতিরোধের ডাক
  • মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ নারীকে হত্যায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, পরিবার বলছে ষড়যন্ত্র
  • তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পেছনে লেগেছে: তথ্য উপদেষ্টা
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন না হলে জাতিসংঘের দপ্তরে আপত্তি কেন