সবই করছে রোবট। মানুষের মতো এই রোবটগুলো এগিয়ে দিচ্ছে পানীয়, করছে খেলা, তাকে সাজাচ্ছে বই—বক্সিংয়েও যোগ দিচ্ছে। এমন চিত্র দেখা গেছে চীনের সাংহাই শহরে বিশ্ব এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সম্মেলনে (ডব্লিউএআইসি)। এআই নিয়ে চীনের অগ্রগতি উঠে এসেছে এই আয়োজনে।

এআই সম্মেলন শুরু হয়েছে গত শনিবার। চলবে সোমবার পর্যন্ত। উদ্বোধনের দিন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বলেন, এআইয়ের ব্যবহার যেন নিরাপদ হয়, সে জন্য একটি কাঠামো ও  নিয়মনীতি তৈরিতে সহায়তার জন্য নতুন একটি সংস্থা গড়ে তোলা হবে। সতর্ক করে তিনি এ-ও বলেন, এআইয়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

আয়োজকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্মেলনে ৮০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তিন হাজারের বেশি পণ্য প্রদর্শন করছে তারা। একটি প্রতিষ্ঠানের স্টলে রোবটকে ড্রাম বাজাতে দেখা গেছে। কিছু কিছু রোবট দেখাচ্ছিল আরও দক্ষতা।

সম্মেলনে চীনের হ্যাংঝউভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউনিট্রি ঘোষণা দিয়েছে, তারা ‘আর-১’ নামে মানুষের আকৃতির একটি রোবট আনবে। তার দাম পড়বে ৬ হাজার ডলার।

অনেক প্রতিষ্ঠান আবার শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর ভর করেই তাক লাগিয়ে দিতে চাইছে। শনিবার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বাইডু নিজেদের তৈরি ‘ডিজিটাল মানুষ’-এ নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। এতে আসল মানুষের মতো করে এআই কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। বাইডুর দাবি, এই এআই কাঠামো মানুষের চিন্তা করতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং নানা কাজে সহায়তা করতে সক্ষম।

বাইডুর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা উ চেনসিয়ার সঙ্গে কথা হচ্ছিল এএফপির। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এআইয়ের কারণে মানুষের চাকরির ওপর কতটা প্রভাব পড়বে? জবাবে তিনি বলেন, এআই হচ্ছে একটি যন্ত্রের মতো। এ মাধ্যমে কাজের মান ভালো করা সম্ভব। সময় বাঁচানো সম্ভব। তবে এআই ব্যবহারের জন্য এখনো মানুষের সহায়তা লাগবেই।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার কৌশল শেখাতে নতুন বই

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে। আর তাই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ সহজে করার পাশাপাশি এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈধভাবে আয়ও করছেন অনেকে। বাংলাদেশেও এআই প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। আর তাই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অর্থ আয়ের পদ্ধতিগুলো তুলে ধরতে নতুন বই লিখেছেন লেখক ও সাংবাদিক মোজাহেদুল ইসলাম। ‘এআই শিখুন, টাকা গুনুন’ শিরোনামের বইটি প্রকাশ করেছে সিসটেক পাবলিকেশনস। বইটির মুদ্রিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা।

তিন ভাগে বিভক্ত বইটির প্রথম অংশে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অংশে আধেয় (কনটেন্ট) তৈরির পদ্ধতিসহ এআই প্রম্পট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কীভাবে আয় করা যায়, তা জানা যাবে। দ্বিতীয় অংশে সাংবাদিকদের জন্য এআই টুল ব্যবহার করে অনলাইনে তথ্য খোঁজা, সূত্র যাচাই ও সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ রয়েছে। আর তৃতীয় অংশে এআইয়ের ঝুঁকি, ডিপফেক বা ভুয়া খবর চেনার কৌশল তুলে ধরা হয়েছে।

মোজাহেদুল ইসলাম জানান, বইটিতে এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার অনেকগুলো উপায় সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে যে কেউ চাইলে এআইয়ের মাধ্যমে ব্র্যান্ড এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার কাজ করতে পারবেন। যাঁরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে কাজ করেন, তাঁরাও এআই-চালিত এসইও সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। চাইলে নিজস্ব জিপিটি বানিয়ে সেটি বিক্রি করেও আয় করা যাবে। একইভাবে এআই-চালিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড অ্যাডভারটাইজিং ম্যানেজমেন্ট এবং অপটিমাইজেশনও করা যাবে।

বর্তমানে এআই হয়ে উঠছে মানুষের নতুন সহকারী। নতুন এই সহকারীর মাধ্যমে আয় করার পাশাপাশি ভুয়া ছবি বা তথ্য শনাক্তসহ সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে বইটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এআইয়ের মাধ্যমে আয় করার কৌশল শেখাতে নতুন বই