ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫২৬ তম সভা গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু। ব্যাংকটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশ নেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক জাকারিয়া তাহের, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো.

আবদুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক মেলিতা মেহজাবিন, নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদ, কোম্পানি সচিব মো. কায়সার রশিদ প্রমুখ।

সভায় নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল চৌধুরীকে পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। আদিল চৌধুরীও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। পরিচালনা পর্ষদের দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দক্ষ টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ব্যাংকটিকে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের পথে এগিয়ে নিতে পারব বলে আশা করছি। সুশাসন নিশ্চিতকরণ, গ্রাহকসেবা উন্নয়ন ও গ্রাহকের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

সভায় ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেব না: মামুনুল হক

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের মিশন স্থাপনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, গত ১৬ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও খুনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তা না করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য দরজা খুলে দেওয়ার মানে হলো অপরাধীদের দায়মুক্তি ও জনগণের  প্রতি অবিচার। তারা এই কার্যালয় স্থাপন করতে দেবে না।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের একটি মিশন স্থাপনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার অবিলম্বে সরে না এলে হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে তীব্র আন্দোলনের ডাক দেবে। জাতিসংঘের তথাকথিত মানবাধিকার বাস্তবে ইসলাম ও মানবতার পরিপন্থি পশ্চিমা আদর্শের হাতিয়ার। খাল কেটে কুমির আনার অধিকার সরকারকে কেউ দেয়নি।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ