ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা না দিলে ভিপি ও জিএস পদে কারা নির্বাচন করবেন, তা চূড়ান্ত করেছে।

ডাকসুর ভিপি পদে লড়বেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। আর জিএস পদে ঢাবি শাখার বর্তমান সভাপতি এসএম ফরহাদ।

সোমবার (১১ আগস্ট) ছাত্রশিবিরের একাধিক নেতা রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

জবিতে র‍্যাগিংয়ের নামে ‘অমানবিক’ নির্যাতনের অভিযোগ

ইবিতে নবীনবরণ, র‍্যাগিং বন্ধে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

শিবিরের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মোট ২৮টি পদের জন্য পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করবে। এর মধ্যে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ও জিএস পদে এস এম ফরহাদের লড়াই নিশ্চিত। ছাত্রী সংস্থার নারী প্রার্থীরা প্যানেলের অংশ হিসেবে থাকবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান বলেন, “সাদিক এবং ফরহাদ ভাই দুজনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আরো অনেকজনকে প্যানেলে আনার চেষ্টা চলছে। তবে ১৮ জনের সবাই নির্বাচনে থাকবেন না। খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা দেওয়া হবে।”

বিগত আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে সরকার দলীয় বাহিনী। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাস রাজনীতিতে নতুন প্রাণ পেয়েছে সংগঠনটি। বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে আলোচনায় থাকলেও এবার তারা হিসাব কষে এগোতে চলেছে।

আসছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৮ সদস্যের মধ্যে সবাই শিবিরের থাকবেন না। তবে প্যানেলে থাকতে পারেন বিভিন্ন অ্যাক্টিভিস্ট, ছাত্রী সংস্থার নেত্রী এবং অমুসলিম প্রার্থীরাও। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত করা না হলেও শিবিরের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হবে ডাকসু নির্বাচন। ইতোমধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার। এ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট।

মনোনয়নপত্র গ্রহণের সবশেষ তারিখ ১৯ আগস্ট। পরদিন ২০ আগস্ট ও ২১ আগস্ট প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৫ আগস্ট মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং ২৬ আগস্ট প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য জ এস প আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

আট দিনে এনসিপির ১ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি, লক্ষ্য ৩ হাজার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করার পর গত আট দিনে ১ হাজার ১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মনোনয়নপত্র বিতরণের পূর্বঘোষিত সময় শেষ হলেও তা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত এনসিপির মনোনয়নপত্র কেনা যাবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ সময় তিন হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনে আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা ইনশা আল্লাহ ছুঁতে পারব।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা জনগণের জনপ্রতিনিধিদের সংসদে পাঠানোর জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র ছেড়েছিলাম। ইতিমধ্যে ১ হাজার ১১টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। আমরা মানুষের কাছ থেকে অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। চিকিৎসক, আইনজীবী, পেশাজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, আলেম-ওলামা, শিক্ষক—সব জায়গা থেকে আমরা আবেদন পাচ্ছি। জনগণের উদ্দীপনা ও আগ্রহ দেখে আমরা এই সময়সীমা আরও বাড়িয়েছি। এটা আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।’

বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া অনলাইন থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান এনসিপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান।

সাংবাদিকদের মধ্যে যাঁরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চান, তাঁদেরও এনসিপির মনোনয়নপত্র কেনার আহ্বান জানান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘কারণ, আপনাদের যে মজুরি, এটা বাংলাদেশে এখনো ঠিক হয়নি। আপনারা সংসদে গিয়ে আপনাদের মজুরি, মালিকদের নিষ্পেষণ-নিপীড়ন নিয়ে কথা বলার জন্য মনোনয়নপত্র তুলবেন।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ পুরো বাংলাদেশের মানুষকে আমরা জানাতে চাই, আমরা দক্ষ ও যোগ্য প্রতিনিধি সংসদে পাঠাতে চাই। আমরা কোনো গডফাদারকে সংসদে পাঠাতে চাই না, চাঁদাবাজদের পাঠাতে চাই না, সন্ত্রাস যারা করে, তাদের পাঠাতে চাই না। আমরা কিছু ভালো মানুষকে পাঠাতে চাই।’

এর আগে ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই যোদ্ধা এবং স্বল্প আয়ের ব্যক্তিদের জন্য মনোনয়নপত্রের দাম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
  • জকসু নির্বাচন: স্বতন্ত্র থেকে ভিপি পদে মনোনয়ন নিলেন ছাত্রদল নেতা 
  • পঞ্চগড়-২: এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন শিশির আসাদ
  • সিদ্ধিরগঞ্জের নতুন বাজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাদক সেবীদের আস্তানা
  • আট দিনে এনসিপির ১ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রি, লক্ষ্য ৩ হাজার
  • কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে চান নুসরাত তাবাসসুম