নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে নারী ও পুরুষের দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

সকাল ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএনডি লেকে আনুমানিক ২১ বছর বয়সী একজন যুবকের মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৯টায় চিটাগাংরোডস্থ শিমরাইল মোড় এলাকায় গৃহবধূ লাকি আক্তারের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হয়।

লাকি আক্তার (৩৫) শিমরাইল মোড় এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ লাকি নিজের স্বামীকে রেখে নিরব নামে আরেক প্রতিবেশীর বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে যাতায়াত করছিলেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি নিরবের বাসায় যান। ওই বাসার সামনেই মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নিহত লাকি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করতে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, নিহত নারীর স্বামীর নাম রুবেল মিয়া। তিনি নিজের স্বামীর পরিবর্তে নিরব নামে আরেক যুবকের সঙ্গে থাকছিল। আমরা ওই নিরবের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, “গৃহবধূ লাকি আক্তার নিরব নামক আরেক ব্যক্তির বাসায় ছিল। আশপাশের মানুষ জানিয়েছে, এই নারী দীর্ঘ ৬-৭ মাস ধরে নিরবের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রেখে তার বাসায় যাতায়াত করতো। তার ধারাবাহিকতায় রাতেও এসেছিল।”

তিনি বলেন, “মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে পরকীয়া প্রেমিক নিরব পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।”
 

ঢাকা/অনিক/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে আনিসুল হক কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান (১৯) হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে হাজির করা হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, আনিসুল হককে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের ২২ আগস্ট সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শামীম ওসমানসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেছিলেন। সোলাইমান মাদারীপুরের রাজৈর থানার কবিরাজপুর এলাকার মিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি রাজধানীর মিরপুর দারুর রাসাত মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পণ্ড করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। আসামিদের নির্দেশে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ও আক্রমণ করা হয়। বেলা দেড়টার দিকে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন সোলাইমান। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা 
  • ফতুল্লায় ১৭ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, ৫ লাখ টাকা জরিমানা
  • নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার পরিদপ্তর নিয়ে যা বললেন রাজিব-সজল-সাহেদসহ কর্মকর্তারা
  • বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ
  • সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুলকে কারাগারে প্রেরণ 
  • সিদ্ধিরগঞ্জে সওজ’র কলোনি থেকে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
  • মাদ্রাসাছাত্র সোলাইমান হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে আনিসুল হক কারাগারে
  • আরাফাত রহমান কোকোর জম্মদিনে মহানগর বিএনপির দোয়া 
  • নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২