এশিয়ার ‘সাসটেইনেবল এসএমই ফাইন্যান্সিয়ার অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা পেয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। পানি, পয়োনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) ফাইন্যান্সিং প্রোগ্রামের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক এ স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

গত সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আয়োজিত ‘গ্লোবাল এসএমই ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

উন্নয়ন অংশীদার ‘ওয়াটার ডট ওআরজি’র সহযোগিতায় মাত্র এক বছরের বেশি কিছু সময়ের মধ্যেই ব্যাংকটি একটি উল্লেখযোগ্য ওয়াশ পোর্টফোলিও গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের সাড়ে ৩ লাখের বেশি মানুষের স্যানিটেশন এবং ৮ লাখের বেশি মানুষের নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত হয়েছে।

এই অর্জনের বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ‘এই সম্মাননা আমাদের উদ্ভাবনী এসএমই ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে। আমরা এমন সব উদ্যোগে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের অধীন এসএমই ফাইন্যান্স ফোরামের আয়োজনে জি-২০ গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের (জিপিএফআই) অফিশিয়াল ইভেন্ট হিসেবে গ্লোবাল এসএমই ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক এশিয়া অঞ্চলে সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় অবদান রাখা অগ্রণী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী শতাধিক আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়, যেখানে বাংলাদেশ থেকে স্থান করে নিয়েছিল তিনটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে এশিয়া অঞ্চলের বিজয়ী হিসেবে এই সম্মাননা জিতে নেয় ব্র্যাক ব্যাংক, যার মাধ্যমে বৈশ্বিক মঞ্চে ব্যাংকটির নেতৃত্বস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের ফর্ম নিউ জিল্যান্ডেও ধরে রাখল উইন্ডিজ

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বুধবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে শেই হোপের নেতৃত্বে ব্যাট হাতে লড়াকু ইনিংস গড়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কিউইরা। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা থামে ১৫৭ রানে।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেখান থেকে দলকে স্থিতি এনে দেন অধিনায়ক হোপ। শান্ত স্বভাবের এই ব্যাটার খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস, গড়েন গুরুত্বপূর্ণ জুটি রোস্টন চেসের সঙ্গে। হোপের ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কায়। তাকে বোল্ড করেন জ্যাকারি ফক্স ১৬তম ওভারে।

আরো পড়ুন:

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে বড় চমক: ফিরলেন লাবুশেন, নতুন মুখ তিন

বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হলেন আশরাফুল

চেস করেন ২৮ রান। আর মধ্য ওভারে রভম্যান পাওয়েল যোগ করেন ২৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও জেসন হোল্ডারের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস দলকে ১৬০ রানের ঘর পেরোতে সাহায্য করে।

লক্ষ্য তাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়ে। আর ক্যারিবীয় স্পিন-বোলিংয়ের জালে আটকে যায় বাকি ব্যাটাররা। শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনার একাই লড়াই চালিয়ে যান। মাত্র ২৮ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস। কিন্তু তারপরও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান ছিল দূরে। ফলাফল- মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে পরাজয়।

বল হাতে রোস্টন চেস ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩টি ও জেডেন সিলস ৪ ওভারে ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।

এই জয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে তারা জিতেছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালের কিংস্টনের ম্যাচে।

এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেই ফর্ম তারা নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেও ধরে রেখেছে। এখন দেখার বিষয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তারা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ