বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ দ্বিতীয় ঢাকা, সুরক্ষায় নগরবাসীর কী করতে হবে
Published: 21st, September 2025 GMT
বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুর মান সাধারণত ভালো থাকে। অবশ্যই তা বৃষ্টির জন্য। এবারের বর্ষার মধ্যেও বায়ুর মান মোটামুটি ভালো থেকেছে। কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার দূষণ বেড়ে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে ৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও বায়ুর মান ভালো হয়নি। রাজধানীতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের ঢাকার গড় বায়ুমান ১৬৮। এই মান মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষ স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৮৪। এরপরই ঢাকার অবস্থান।
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
বর্ষাকালে সাধারণত বায়ুদূষণ কম থাকে মূলত বৃষ্টির কারণে। মোটামুটি মে মাসের শেষ থেকেই কমে আসতে থাকে দূষণ। কারণ, এ সময় থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। প্রাকৃতিক এ ঘটনা ছাড়া দূষণ রোধে আর কোনো ব্যবস্থাই আসলে নেই। সরকারি নানা উদ্যোগ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। বৃষ্টি হলে নগরীর দূষণ কমে কয়েক দিন, তারপর আবার বাড়ে। জুলাই সবচেয়ে কম দূষণের মাস।
রাজধানীর বেশি দূষিত এলাকাগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউসিং, স্কোর ১৮০; পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, স্কোর ১৭৯।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.
আজ ঢাকার যে বায়ুমান, তার পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউ এয়ার। এর মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম করা এড়িয়ে যেতে হবে।
গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল ঘোলাটে। খানিকটা মনে হচ্ছিল যেন কুয়াশা পড়ছে। এর সঙ্গে ছিল প্রচণ্ড গরম আর গুমোট ভাব। সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত এমন আবহাওয়া দেখা গেছে। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান এর কারণ হিসেবে লো ক্লাউড বা মেঘ নিচে নেমে আসা ও বায়ুদূষণের কথা বলেছেন। আজ সকালেও আকাশ কিছুটা ঘোলাটে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ দ্বিতীয় ঢাকা, সুরক্ষায় নগরবাসীর কী করতে হবে
বর্ষাকালে ঢাকার বায়ুর মান সাধারণত ভালো থাকে। অবশ্যই তা বৃষ্টির জন্য। এবারের বর্ষার মধ্যেও বায়ুর মান মোটামুটি ভালো থেকেছে। কিন্তু বৃষ্টি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার দূষণ বেড়ে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে ৪ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও বায়ুর মান ভালো হয়নি। রাজধানীতে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের ঢাকার গড় বায়ুমান ১৬৮। এই মান মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষ স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ১৮৪। এরপরই ঢাকার অবস্থান।
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।
বর্ষাকালে সাধারণত বায়ুদূষণ কম থাকে মূলত বৃষ্টির কারণে। মোটামুটি মে মাসের শেষ থেকেই কমে আসতে থাকে দূষণ। কারণ, এ সময় থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। প্রাকৃতিক এ ঘটনা ছাড়া দূষণ রোধে আর কোনো ব্যবস্থাই আসলে নেই। সরকারি নানা উদ্যোগ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। বৃষ্টি হলে নগরীর দূষণ কমে কয়েক দিন, তারপর আবার বাড়ে। জুলাই সবচেয়ে কম দূষণের মাস।
রাজধানীর বেশি দূষিত এলাকাগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউসিং, স্কোর ১৮০; পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, স্কোর ১৭৯।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।
নগরবাসীর জন্য পরামর্শআজ ঢাকার যে বায়ুমান, তার পরিপ্রেক্ষিতে নগরবাসীর জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে আইকিউ এয়ার। এর মধ্যে আছে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে, জানালা বন্ধ রাখতে হবে, ঘরের বাইরে ব্যায়াম করা এড়িয়ে যেতে হবে।
গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল ঘোলাটে। খানিকটা মনে হচ্ছিল যেন কুয়াশা পড়ছে। এর সঙ্গে ছিল প্রচণ্ড গরম আর গুমোট ভাব। সকাল ৬টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত এমন আবহাওয়া দেখা গেছে। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান এর কারণ হিসেবে লো ক্লাউড বা মেঘ নিচে নেমে আসা ও বায়ুদূষণের কথা বলেছেন। আজ সকালেও আকাশ কিছুটা ঘোলাটে।