ওপেনএআই আনছে পকেট আকারের এআই যন্ত্র
Published: 21st, September 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ওপেনএআই নতুন এক যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি অ্যাপলের শীর্ষ সরবরাহকারী লাক্সশেয়ারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনফরমেশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স। যন্ত্রটি এখনো নমুনা পর্যায়ে রয়েছে। পকেট আকারের এ গ্যাজেট ব্যবহারকারীর প্রেক্ষাপট বুঝে কাজ করতে পারবে এবং সরাসরি ওপেনএআইয়ের নিজস্ব এআই মডেলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। আইফোন ও এয়ারপড তৈরির জন্য পরিচিত লাক্সশেয়ার এ প্রকল্পে বৃহৎ পরিসরে উৎপাদনের সুবিধা দেবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ স্মার্টফোন ও প্রচলিত যন্ত্রের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। ব্যবহারকারীরা এ যন্ত্রের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা পাবেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওপেনএআইয়ের এই পণ্য বাজারে এলে সরাসরি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি নির্মাতাদের সঙ্গে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওপেনএআই চীনা প্রতিষ্ঠান গোরটেকের সঙ্গেও আলোচনা করছে। এয়ারপড, হোমপড ও অ্যাপল ওয়াচ তৈরিতে অভিজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান থেকে স্পিকার মডিউলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরবরাহ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তারা। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ পদক্ষেপ এআইভিত্তিক কোম্পানিগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ও সম্ভাবনার মধ্যে একটি। কারণ, এখানে বিদ্যমান প্ল্যাটফর্ম স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের ওপর নির্ভর না করে সম্পূর্ণ নতুন ডিভাইস তৈরির চেষ্টা করছে ওপেনএআই।
এর আগে ওপেনএআই ৬৫০ কোটি ডলারে (৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন) অ্যাপলের সাবেক প্রধান ডিজাইনার জনি আইভ প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়্যার কোম্পানি ‘আইও প্রোডাক্টস’ অধিগ্রহণ করে। এ চুক্তির মাধ্যমে জনি আইভ ও তার সাবেক অ্যাপল ডিজাইন দলকে নিজেদের দলে টেনে নেয় ওপেনএআই। বর্তমানে ওপেনএআইয়ের নতুন যন্ত্রের নকশার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনি আইভ। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নতুন প্রজন্মের কনজ্যুমার ডিভাইস তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন। প্রথম পণ্যটি ২০২৬ সালে বাজারে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান আশাবাদী, প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ১০ কোটি (১০০ মিলিয়ন) এআই ডিভাইস বিক্রি করতে পারবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য পল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।