বাবু, বাড়ি গিয়ে দুধ খেয়ে আসো: পাকিস্তানে টেন্ডুলকারের সেই ভয়ংকর শুরু
Published: 21st, September 2025 GMT
শচীন টেন্ডুলকার খেলা ছেড়েছেন ২০১৩ সালে। এক যুগ পরও সবচেয়ে বেশি রান (৩৪৩৫৭), সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (১০০), সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য ম্যাচসহ (৭৬) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক রেকর্ডই তাঁর দখলে। দুই যুগ বিশ্ব ক্রিকেটে পদচারণ করা টেন্ডুলকারের শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৬ বছর ২০৫ দিন বয়সে টেস্ট আঙিনায় পা রাখা টেন্ডুলকারের শুরুটা ঘটনাবহুল। যা লেখা আছে ২০১৪ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে-তে।কী লিখেছেন শচীন টেন্ডুলকার
ভারতের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে উজ্জীবিত ছিলাম। আত্মবিশ্বাস নিয়েই পাকিস্তান সফরে যাই। বয়স কম ছিল বলে কোনো বাড়তি চাপ ছিল না। ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট ঘিরে থাকা রাজনৈতিক বোঝাও বুঝতাম না। আমার কাছে এটা নিছকই প্রথম সফর ছিল।
আসলে কেউ ভাবেনি এত অল্প বয়সে আমি একাদশে জায়গা পাব। বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচে তো নয়ই। কারও ধারণা ছিল ওয়ানডেতে হয়তো সুযোগ পাব। তা–ও দলের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করছে। আবার অনেকে ভেবেছিল আমাকে শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহ নেওয়ানোর জন্যই দলে রাখা হয়েছে।
করাচিতে প্রথম টেস্টের আগের রাতে অধিনায়ক শ্রীকান্তের কাছ থেকে একাদশে থাকার খবর পাই।
ওই অনুভূতি ভাষায় ধরা কঠিন। আমি ১১ জন সৌভাগ্যবান মানুষের একজন হয়ে গেলাম, যাদের কাঁধে দেওয়া হয়েছিল ১০০ কোটি ভারতীয়কে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব। এটি ছিল বিশাল সম্মান। এমন সম্মান প্রত্যেক জাতীয় দলের খেলোয়াড়ই স্বপ্ন দেখে।
(টিম হোটেলে) আমার রুমমেট ছিল ফাস্ট বোলার সলিল আঙ্কোলকার, যিনি পরে অভিনেতা হয়েছিলেন। সলিলেরও পরদিন অভিষেক হবে। ম্যাচের আগের রাতে আমাদের কারও ঘুম হয়নি। দুজনেই জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছিলাম, জানতাম—এটি এমন একটি সুযোগ, যা হয়তো আমাদের জীবনকে চিরদিনের মতো বদলে দিতে পারে।
প্রথম টেস্ট, করাচি, ১৫–২০ নভেম্বর ১৯৮৯পাকিস্তান টস জিতে সবুজাভ উইকেটে ব্যাটিং বেছে নেয়, তাই ভারতের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামতে আমার খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ঘটনাচক্রে এটি ছিল কপিল দেবের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার প্রথম দিন নাটক ছাড়া কাটেনি। বরং একটি বিশেষ ঘটনা আমার মনে অস্বস্তিকর ছাপ রেখে যায়। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় সেশনে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি সালোয়ার–কামিজ পরে মাঠে ঢুকে সরাসরি কপিল দেবের কাছে চলে আসে। কপিল কেন পাকিস্তানে এসেছে এ জন্য তাকে গালাগাল করতে থাকে। তখন কপিল বল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরে আমাদের বলেন, তিনি ওই লোকটিকে বলেছেন আমাকে খেলতে দাও।
শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেক টেস্ট ছিল কপিল দেবের ক্যারিয়ারের ১০০তম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ন ড লক র র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন: সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্ত্রীর ড্রাইভারের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথি জব্দ
আরো পড়ুন:
রেলের সাবেক ডিজি তৌহিদুলসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
সম্পদের পাহাড়: বিমানের পরিচালক মোমিনুলের দুর্নীতির খোঁজে দুদক
দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ হাসানুল ইসলাম এ আদেশ দেন। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিস্তারিত আসছে...
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ