আবার ভূমিকম্প, এবার উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের মধ্যেই
Published: 21st, September 2025 GMT
সাত দিনের মাথায় দেশে আবার ভূমিকম্প অনুভূত হলো আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টার পর। আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে সিলেট অঞ্চলে। সিলেটের ছাতকেই এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪। এর আগে গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল অবশ্য ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে। এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
আজ বেলা ১২ টা ১৯ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকা থেকে ১৮৫ কিলোমিটার উত্তর–পূর্বে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মাঝামাঝি। এটি মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার ভূমিকম্প।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার প্রথম আলোকে, আজ যেখানে ভূমিকম্প উৎপত্তি হয়েছে সেটি ডাউকি ফল্ট (ডাউকি চ্যুতি) অঞ্চলে হয়েছে। বাংলাদেশের ভূমিকম্পের দুটি উৎস আছে। একটি উত্তরের দিকে আছে, আরেকটা হচ্ছে পূর্ব দিকে। উত্তরের দিকটা হলো ডাউকি ফল্ট (ডাউকি চ্যুতি)। এটা বাংলাদেশের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। তাই আজ স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এটা একটা সতর্ক সংকেত দিচ্ছে।
অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, আজ যেখানে ভূমিকম্প উৎপত্তি হয়েছে এখানে ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি ৪ বা এর চেয়ে কিছু বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এই এলাকাটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
এই ডাউকি ফল্টে ১৭৯৭ সালের ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্রের গতি পথ পরিবর্তন হয়ে যায়। আবার এর ১০০ বছর পর ১৮৯৭ সালে ‘গ্রেট ইন্ডিয়া আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিতি ভূমিকম্পও এখানে হয়। এর ফলে শুধু আসাম ও মেঘালয় নয়, ঢাকা শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার। তিনি বলেন রিখটার স্কেলে তখন ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২। ভূমিকম্প ঢাকায় পাঁচজন নিহত হয়। সে সময় ঢাকায় থাকা ইংরেজ কর্মকর্তারা এখনকার রমনায় তাঁবু করে থাকতেন ভূমিকম্পের পরের কয়েক মাস। কেউ কেউ বুড়িগঙ্গায় বজরায় থাকতেন বলেও ঐতিহাসিক তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ত র র ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ফর্ম নিউ জিল্যান্ডেও ধরে রাখল উইন্ডিজ
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বুধবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে শেই হোপের নেতৃত্বে ব্যাট হাতে লড়াকু ইনিংস গড়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনারের প্রাণপণ চেষ্টা সত্ত্বেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কিউইরা। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা থামে ১৫৭ রানে।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্র্যান্ডন কিংয়ের উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সেখান থেকে দলকে স্থিতি এনে দেন অধিনায়ক হোপ। শান্ত স্বভাবের এই ব্যাটার খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস, গড়েন গুরুত্বপূর্ণ জুটি রোস্টন চেসের সঙ্গে। হোপের ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কায়। তাকে বোল্ড করেন জ্যাকারি ফক্স ১৬তম ওভারে।
আরো পড়ুন:
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে বড় চমক: ফিরলেন লাবুশেন, নতুন মুখ তিন
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হলেন আশরাফুল
চেস করেন ২৮ রান। আর মধ্য ওভারে রভম্যান পাওয়েল যোগ করেন ২৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ও জেসন হোল্ডারের ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংস দলকে ১৬০ রানের ঘর পেরোতে সাহায্য করে।
লক্ষ্য তাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়ে। আর ক্যারিবীয় স্পিন-বোলিংয়ের জালে আটকে যায় বাকি ব্যাটাররা। শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনার একাই লড়াই চালিয়ে যান। মাত্র ২৮ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস। কিন্তু তারপরও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান ছিল দূরে। ফলাফল- মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে পরাজয়।
বল হাতে রোস্টন চেস ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩টি ও জেডেন সিলস ৪ ওভারে ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এই জয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জয়ের স্বাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে তারা জিতেছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালের কিংস্টনের ম্যাচে।
এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশকে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে গিয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেই ফর্ম তারা নিউ জিল্যান্ডের মাটিতেও ধরে রেখেছে। এখন দেখার বিষয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তারা।
ঢাকা/আমিনুল