খুলনায় উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৩০
Published: 21st, September 2025 GMT
খুলনার মুজগুন্নিতে বাস্তুহারা কলোনী উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বলছে, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত রয়েছে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
এলাকাবাসী জানান, আজ সকালে প্লট মালিকদের জায়গা বুঝিয়ে দিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। শুরু থেকেই টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বাসিন্দারা। সকাল ১০টার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষের শুরু হয়। স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া বুলডোজার ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ জানায়, মুজগুন্নির বাস্তুহারার ২ একর জায়গায় বাস করছেন প্রায় ২০০ পরিবার। ১৯৮৭ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এই জায়গাটি লটারির মাধ্যমে প্লট আকারে বিক্রি করেন। ৩৫ বছর পার হলেও এখনো জায়গা বুঝে পাননি সেখানকার ৪২জন প্লট মালিক।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য যাই। এ সময় অবৈধ দখলদারদের সরাতে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তাদের হামলায় আমিসহ ১৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা মাতাল ব্যক্তির
রাজধানী মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক শহরতলির রাস্তায় নাগরিকদের সাথে কথা বলার সময় মঙ্গলবার মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেছে এক মাতাল ব্যক্তি। তবে একজন সরকারি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের আগেই প্রেসিডেন্টকে স্পর্শ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিটি চুম্বনের জন্য প্রেসিডেন্ট শাইনবাউমের দিকে ঝুঁকে পড়ে। একপর্যায়ে সে হাত দিয়ে প্রেসিডেন্টের দেহ স্পর্শ করে। এসময় প্রেসিডেন্ট আলতো করে তার হাতটি সরিয়ে দেন, তার দিকে মুখ ফিরিয়ে হাসিমুখে বলেন. “চিন্তা করবেন না।”
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করার অনুরোধের সাথে সাথে সাড়া দেয়নি।
শাইনবাউম, তার পূর্বসূরী এবং রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোরের মতো জনগণের সাথে সংযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রায়শই তিনি সেলফি এবং করমর্দনের জন্য জনগণকে সুযোগ দেন।
মঙ্গলবারের ভিডিওতে তার নিরাপত্তার চিত্র তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান ছিল না।
পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যে একজন মেয়রের প্রকাশ্যে হত্যার পর রাজনৈতিক সহিংসতা সম্পর্কে শাইনবাউমকে বারবার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে, এমন এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল এক অস্থির দৃশ্য। মঙ্গলবার, শাইনবাউম মেয়রের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।