দেশের বাজারে নতুন গেমিং ল্যাপটপ
Published: 22nd, September 2025 GMT
গেমস এখন শুধু ভিজ্যুয়াল কোনো চমক নয়, বিনোদনের অন্যতম মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। আর তাই নতুন প্রজন্মের উচ্চ রেজল্যুশনের সব গেমের জন্য বাজারে একাধিক মডেলের শক্তিশালী গেমিং ল্যাপটপ এনেছে আসুস বাংলাদেশ। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আসুসের নতুন প্রজন্মের আরওজি বা রিপাবলিক অব গেইমারস, টাফ সিরিজ ও ভি সিরিজের নতুন গেমিং ল্যাপটপ উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের আলোচিত গেমার, প্রযুক্তিপ্রেমী ও আধেয় (কনটেন্ট) নির্মাতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনভিডিয়া আরটিএক্স ৫০ সিরিজের জিপিইউ ব্যবহারের কারণে ল্যাপটপগুলোর কাজের গতি অনেক বেশি, আর তাই সহজেই গেম খেলা যায়। ১৮ ইঞ্চি পর্দার আরওজি স্ট্রিক্স স্কার ১৮ মডেলের ল্যাপটপে আরটিএক্স ৫০৯০ জিপিইউ থাকায় ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতো সুবিধা পাওয়া যায়। ল্যাপটপটির দাম ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা। আরওজি স্ট্রিক্স সিরিজের বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপগুলোর সর্বনিম্ন দাম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে গেমারদের জন্য আরওজি জেফাইরাস জি১৪ ও জি১৬ দুটি ল্যাপটপ প্রদর্শন করা হয়। আরওজি জেফাইরাস জি১৪–এর দাম ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং জি১৬–এর মূল্য ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
আরওজি সিরিজ ছাড়াও অনুষ্ঠানে ২০২৫ ভার্সনের টাফ গেমিং এ১৪, এ১৬ এবং এফ১৬ মডেলের ল্যাপটপ প্রদর্শন করা হয়। আরটিএক্স ৫০৬০ জিপিইউ থাকায় উচ্চ গতি, গেমিং অভিজ্ঞতা ও স্থায়িত্বের কারণে গেমারদের পাশাপাশি পেশাজীবীদের জন্যও ল্যাপটপগুলো উপযোগী। আসুসের টাফ গেমিং এ১৪ মডেলের ল্যাপটপের দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, এ১৬ মডেলের দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং এফ১৬ মডেলের সর্বনিম্ন দাম ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
অনুষ্ঠানে আসুস গেমিং ভি১৬ (ভি৩৬০৭) মডেলের ল্যাপটপও প্রদর্শন করা হয়। ইন্টেল কোর ৫ সিরিজের প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৫০ জিপিইউযুক্ত ল্যাপটপটির পর্দার আকার ১৬ ইঞ্চি। রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্টজ হওয়ায় সহজেই উন্নত রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও দেখা যায় ল্যাপটপটিতে। দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়
কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে চীন। দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্বব্যাপী সমীক্ষার বরাত দিয়ে শনিবার প্রেস ট্রাস্প অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ভারতে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ। একই সময়ে, যেখানে চীনের পরে ১৫ কোটি ২০ লাখ।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতৃত্বে এই রোগটি মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ ছিল। একই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কিডনি রোগে মারা গেছে।
উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। এই দুই অঞ্চলে ১৮ শতাংশ করে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ১৬ শতাংশ এবং সাব-সাহারান আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ১৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ এবং ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুর প্রায় ১২ শতাংশের জন্য দায়ী। ডায়াবেটিস ও স্থূলতার পরে এটি হৃদরোগজনিত মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হিসাবে স্থান পেয়েছে।
গবেষণায় দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের জন্য ১৪টি ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্থূলতা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের সিনিয়র লেখক ও আইএইচএমই এর ইমেরিটাস অধ্যাপক থিও ভোস বলেছেন, “দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ স্বাস্থ্য ক্ষতির অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ এবং এটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য রোগের বোঝা। তবুও, অন্যান্য অ-সংক্রামক রোগের তুলনায় এটি এখনো অনেক কম নীতিগত মনোযোগ পাচ্ছে, যদিও এর প্রভাব ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য বৈষম্যের মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।”
ঢাকা/শাহেদ