জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে কেউ আটকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের সফলতা অনেক। ইতিমধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিছু অস্ত্র বাইরে রয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে আরও অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে। আগামী নির্বাচনে সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী থাকবে। এখন ৩০ হাজার মাঠে আছে। সেনাবাহিনীর সংখ্যা ওই সময় এক লাখ হবে। সঙ্গে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও প্রশাসনের লোকজন থাকবেন। নির্বাচন নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে কেউ আটকাতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য হয়ে গেলে নির্বাচন হতে সুবিধা। এরপর নির্বাচনী কর্মকর্তা, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু–সুন্দর নির্বাচন হবে।

গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা যদি সত্য ঘটনা প্রচার করেন, তবে গুজব ছড়ানোর সুযোগ কমে যাবে। অতীতে পাশের দেশ থেকে অনেক উল্টাপাল্টা খবর আসত। কিন্তু আপনারা কাউন্টার দেওয়ায় তা অনেক কমেছে। তবু তারা আবার চেষ্টা করতে পারে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, এবারও আপনারা সত্য তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দেবেন। আমি ডিসি ও এসপি সবাইকে বলেছি, সত্য তথ্য যেন গণমাধ্যমে যায়। সত্য ঘটনা প্রকাশ না হলে গুজব তৈরি হতে পারে।’

শান্তিপূর্ণ দুর্গাপূজার আশা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি। কোনো জায়গায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। দুর্গাপূজা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান, এ জন্য এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি। আমি অন্যান্য ধর্মের মানুষদেরও অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন সহযোগিতা করেন, যাতে পূজার আয়োজন শান্তিপূর্ণভাবে হয় এবং ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা পায়।’

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও মাদক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনারা এখন সীমান্ত এলাকায় নেই, পুরোটা আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখছে। আরাকান আর্মি মাদকের ওপর নির্ভরশীল। সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মাদক আসে। এর পরিবর্তে আমাদের দেশ থেকে চাল, শাক, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিস যায়। আমরা আলোচনা করছি, যাতে এগুলো আর না যায় এবং মাদকও ঢুকতে না পারে। মাদক আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে। এ জন্য আমরা ফোর্স বাড়িয়েছি, মাদক সমস্যা কমে আসবে।’

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। যত তাড়াতাড়ি তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ ঢাকায় মিছিল হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় আনতে। তারা সহজে জামিন না পায়, সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। নির্বাচনের সময় মিছিলের সংখ্যা বাড়বে, সবাই মাঠে নামবে। তবে ছোটখাটো এসব (ছাত্রলীগের) মিছিল আর হবে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ-এর গণসংযোগ 

​নারায়ণগঞ্জ: আগামী ত্রয়োদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ শুক্রবার  (৭ নভেম্বর) বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার  ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

​সকাল থেকে শুরু হওয়া এই গণসংযোগ ইস্পাহানী, মালামত, চানঁ মার্কেট, চৌরাবাড়ি এলাকায় এসে শেষ হয়। এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঐ এলাকার বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় তার সমর্থনে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানে স্লোগানে এলাকাটি মুখরিত হয়ে ওঠে। তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চান।

​গণসংযোগ শেষে মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি আগামী দিনে বাংলাদেশের মানুষ একটি ইসলামী রাষ্ট্র দেখতে চায় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এর-ই লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়।

​তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, "সব দল দেখা শেষ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ।" নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতির সমালোচনা করে তিনি যোগ করেন, "এই নারায়ণগঞ্জে ভাই, চাচা-চাচী, ভাতিজা, আপা কতো কিছুই দেখেছেন। কিন্তু কোনো উন্নয়ন দেখেননি। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো চাঁদাবাজকে দেখতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো জালেমের রাজত্ব কায়েম দেখতে চায়না।"

​মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, জামায়াতে ইসলামী আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। তিনি একটি ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে সবার একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান, যার মাধ্যমেই "আমাদের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।"

​উক্ত গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, বন্দর উত্তর থানা আমীর মাওলানা আতিকুর ররমান,  বন্দর উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা খোরশেদ আলম ফারুকী, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ সোলামায়ন মুন্না সহ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। নেতা-কর্মীরা জনগণের কাছে প্রার্থীর পরিচয় তুলে ধরেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে কঠোর কর্মসূচি: বাম গণতান্ত্রিক জোট
  • সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, নৈতিক: প্রধান বিচারপতি
  • বিএনপি আহ্বান করলে আমরা আলোচনায় যেতে প্রস্তুত: আযাদ
  • অভিজাততন্ত্র থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই
  • বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে
  • গণভোটকে নির্বাচনের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে সরকার, অভিযোগ তাহেরের
  • বন্দরে এমপি প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ-এর গণসংযোগ 
  • নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের সুযোগ নেই: প্রেস সচিব
  • সরকার, রাজনৈতিক দল সবার জন্য সতর্কবার্তা
  • যৌথ বাহিনীর অভিযান সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৯৪