আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। নারায়ণগঞ্জে দুর্গোৎসবকে সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়মিত মতিবিনিময় করছেন, যা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। তাই এবার নারায়ণগঞ্জে একটি উৎসবমুখর পূজার অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী।

দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের উৎসব। উৎসবকে রাঙিয়ে তুলতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাসের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি থানা এবং উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপের সকল সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

দুর্গোৎসবের সফল আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবারও জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। সেইসাথে পূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছে। প্রস্তুতি সবার রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী সঙ্গেও।

তাছাড়া এবারই প্রথম আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রস্তুতি সভা করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাথে পৃথকভাবে মতবিনিময় সভা করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের কার্যালয়ে বসে দুর্গোৎসবের আয়োজনে প্রস্তুতি সভা করেছেন জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। 

শারদীয় দুর্গোৎসবকে সফল করতে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সাথে মতবিনিময় করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। মত বিনিময় করেছে বাংলাদেশ গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দের সাথেও।

তাছাড়া পূজা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তর যেমন ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নো পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার, পল্লী বিদ্যুৎসহ সকলের সাথে সমন্বয় সাধন করছেন পূজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ এটি উৎসবমুখর পূজা আয়োজনে কোনো ঘাটতি রাখছেন না তারা।

শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজনে এভাবে সকল রাজনৈতিক দল ও মতের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করার বিষয়টি ইতিপূর্বে কখনো ঘটেনি। সকলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর উৎসব আয়োজন করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ নারায়ণগঞ্জের সকল দল-মত নেতৃবৃন্দকে এক সুতায় গেঁথে এনেছেন।

আর এর পুরো কৃতিত্ব পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের। নারায়ণগঞ্জবাসী এখন একটি উৎসবমুখর দুর্গা পূজা উদযাপনের ক্ষণ গুনছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সংকর কুমার দে বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপজা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের সকলে মিলে একটি উৎসবমুখর দুর্গোৎসব আয়োজনে বদ্ধ পরিকর।

তবে বিশেষ করে বলতে হয় একজনের কথা, তিনি হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন। একটি দলে ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে একজন ম্যারাডোনা বা মেসি থাকে যিনি সবার চেয়ে আলাদা পারফরম্যান্স দেখান।

তেমনি আমাদের পূজা উদযাপন পরিষদের মেসি হচ্ছেন শিখন সরকার। পুরো জেলা জুড়ে তার বিচরণ, যেখানে সমস্যা সেখানেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন। আমরা সকলে মিলে একটি পরিবারের মত সনাতনীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। সবাইকে অগ্রিম শারদীয় শুভেচ্ছা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল প রস ত ত ন সরক র র সকল

এছাড়াও পড়ুন:

ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। নন্দনের ধনধান্য অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদীপ প্রজ্বলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা, পরিচালক রমেশ সিপ্পি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী ও বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়, বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত শিকদার মহম্মদ আশরাফুর রহমান, প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।  উদ্বোধনী দিনে দেখানো অদ্বৈত মল্লবর্মণ -এর উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘‌তিতাস একটি নদীর নাম'। উল্লেখ্য চলচ্চিত্রটি চ্যানেল আইয়ের আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে। 

উদ্বোধনী মঞ্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবিভূষণ সম্মান প্রদান করেন দুই বরেণ্য শিল্পী—শত্রুঘ্ন সিনহা ও আরতি মুখোপাধ্যায়কে। 

১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এবারের উৎসব। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ৩৯টি দেশের মোট ২১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৩০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর মধ্যে রয়েছে ৩০টি বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র। প্রদর্শিত হবে ভারতের কোঙ্কনি, বোরো, তুলু ও সাঁওতালি ভাষার ছবিও।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ‘ইয়ামাহা বাইক কার্নিভ্যালে’
  • সুস্থ থাকার মন্ত্রে নানা আয়োজনের ফ্লো ফেস্ট
  • ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবর্ষে কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব
  • নেত্রকোনায় ঐতিহ্যবাহী দেউলি উৎসবে হাজংদের মিলনমেলা
  • নেত্রকোনায় আজ ‘কিচ্ছা উৎসব’
  • কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে শত্রুঘ্ন–মমতা–সৌরভ এক মঞ্চে
  • ‘আলফ্রেড কোভালকোভিস্কি পুরস্কার’ পেলেন হাসানআল আব্দুল্লাহ
  • মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির ১০০ দিন এবং সঙ্গীত ও শিল্পকলা চর্চার গুরুত্ব
  • এলাকার নামেই সিনেমা—আবেগে ভাসলেন পাইকগাছার মানুষ
  • মহারাসলীলা উৎসব